গোলাপ গোঁজা আম্মুজানের খোঁপায়
কন্যা দেখে বায়না ধরে, ফোঁপায়,
আমার কখন হচ্ছে অমন চুল?
গুঁজবো কবে রক্তজবার ফুল?
আব্বু যখন নেই থাকবেন বাড়ী,
পুত্র করে রেজর নাড়ানাড়ি,
আর ভাবে সে কখন হবে দাড়ি?
শেভটা করার বেজায় তাড়াতাড়ি!
এক.
তারপর আর কোন কথা বাকি থাকবেনা কোনদিন, তারপর নীরবতা থেকে গেছে পনেরো-আনা --
এক আনা মানুষ বুঝেছো - যতখানি অনুবাদ করেছো- তার বেশী প্রশ্রয় দেবোনা!!
(২৭.০৮.২০১১)
দুই.
ধরে রাখতে শিখিনি, নাকি জোর করলেই হতো?
নাকি অধিকার আদায় করে নিতে হয় নিজের মত---
এই “নিজের মত” বলেই বলে দিতে পারি এখনি-
মদের বোতলে মাতালের থাকে
মৃতু্যর উল্লাস,
ছিপি খোলা হলে সংকেতে জাগে
চিনে বাসনের লাশ।
বিবমিষাময় ক্লান্ত নগরে
রজনীর চুল যতো,
তারও চেয়ে ঢের গিলেছো পাঁচন
রমনদূতের মতো।
০৪. ফড়িং ও ঘুড়ি
ছোটবেলায় ফড়িং ধারা ও ঘুড়ি উড়ানো এদু’টি বিষয়েই মায়ের কড়া নিষেধ ছিল। আমাদের দু’ভাইয়ের প্রায় প্রতিটি সকালই বেপোরোয়া হ’য়ে উঠতো ঘুড়ি উড়ানো অথবা ফড়িং ধরার নেশায়। একটি টকটকে লাল অথবা গাঢ় বেগুনী রঙের ফড়িঙের পিছু পিছু ছুটতে ছুটতে কতো সকাল মধ্যাহ্নের কড়া নেড়েছে তার হিসাব নেই। স্কুল ছুটির পর সহপাঠিরা যখোন পোশাক ছেড়ে খেয়েদেয়ে লাঠিম অথবা গুলতির আড্ডায় মশগুল আমরা তখনো একটি লাল ফড়িঙের পিছু ছুটছি।
০।
এটা এই সিরিজের ১৩তম পর্ব। উপরের শিরোনামে ১৩ সংখাটা টাইপ করতে গিয়ে মনে পরল ছোটকালে এই সংখ্যাটা কে দারুণ ভয় পেতাম, অহেতুক। কারণ অবশ্য ছিল আশেপাশের সবার থেকে শোনা অদ্ভুত সব গল্প। স্কুলে একবার এক ছেলে দারুণ এক ভূতের গল্প বলে ঠিক ঠিক বিশ্বাস করিয়ে ফেলল যে ১৩ সংখ্যাটা ভূতড়ে সংখ্যা এবং অতি অবশ্যই শয়তানের প্রিয় সংখ্যা। কে কে আবার এরপর শুনে আসল কোন এক নামকরা হোটেলে নাকি ১৩ সংখ্যা দিয়ে কোন রুম নেই। সেটা আমরা সবাই সদলবলে বিশ্বাস করেছিলাম কারণ শয়তানের প্রিয় সংখ্যা দিয়ে রুম নাম্বার দেয়াতো আর বুদ্ধিমানের কাজ না।
সিলভা
- সুমাদ্রি শেখর।
সিলভার মুখে সেই তেজ আমি আর দেখতে পাইনা। ওকে দেখলে এখন ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া কোন কুটিরের কথা মনে পড়ে।
জীবনের ছয় ছয়টা বছর যেখানে কাটালাম, তা নিজের বাড়ির মতই হয়ে গেছে। তাই রেনেসাঁর এই গানটাই মনে পড়ে গেল ছবিগুলো কম্পাইল করার সময়।
সচলায়তনের অনেকেই হয়তো চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে যাননি। আইয়ূন আঁরার লয় চিটাগং ইউনিভার্সিটি গান এককানা ঘুড়ি জন……………।
[justify]এইযে এখানে দেখছেন রঙের ছটা, নীল আর সাদা মিশে মেঘাকাশ, পাশে কোন প্রিয়তম কবির দু'ছত্র স্মৃতিচারণ, জ্বল জ্বলে বর্ণে পঙ্ ক্তিগুলো হয়তো আপনাকে আবিষ্ট করছে মোহে! অথচ কালও কিন্তু এমন পেলবতা ছিল না; ছিল দৃপ্ত বজ্রমুষ্টি বদ্ধাকারী শ্লোগান অন্যায়ের বিরুদ্ধে অথবা ছিল শোকে মুহ্যমান কোন ব্যথার অভিমানী গান। আরেকটু সরে এদিকটায় এলে ছয়টি ব্যঞ্জন আর একটি স্বরবর্ণের শব্দঝঙ্কার বড় সুষমিত!
আমি কি জানি? শেষরাত্রি ছুঁলে কীভাবে
বুকপাথর থেকে খুলে পড়ে মর্মভেদী যত
কথা ও ভয়
শক্ত পাথর আকুল হয়ে উঠে; নরম ছোঁয়া পেতে পেতে
যে কথা বলা হলো না; তার জন্য জমছে কি বেদনা?
দোহাই তোমাদের; আমাকে জড়াতে বলো না রাত্রিকথা
আমার হাঁটার ফাঁকে জমছে হাওয়াপাগলা; মৌনধুলা
১
অনেকদিন আগে দেখা এক স্ট্যান্ড-আপ কমেডিতে কমেডিয়ান দুর্দান্ত একটা কথা বলেছিলেন রসিকতার ছলে। কথাটা অনেকটা এমন ছিলো, মানুষজন হিটলারের প্রতি যতোটা না আক্রোশ বোধ করে তারচেয়ে বেশি আক্রোশ বোধ করে বাসে চুপিসারে যে পকেটমার তার পকেট মেরে দিয়েছিলো তার উপর। "ঈশ! শালারে যদি হাতের কাছে পাইতাম"- বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা এমন অনুভূতি আমরা হিটলারের উদ্দেশ্যে বোধ করিনা, বোধ করি পকেটমারের প্রতি।