কিছুটাতো ভুল রয়েই গেছে, রয়ে গেছে কিছু কিছু দায়!
যেমন হয়নি খোঁজা কোনদিন কিছু কিছু নাগরিক উপায় -
যা-দিয়ে সবাইকে যার যার মতো করে তৃপ্ত করা গেলে
এ-জীবন থেকে যেত পুরোপুরি নাগরিক নাগালে।
তাই কি হয় নাকি, সবকিছুতে কি আপোষ করা চলে,
সবকিছু কি করা যায়, যাওয়া যায় সবকিছু ফেলে? -
দিবাগত রাত মানে কি শুধুমাত্র দিবাগত রাত,
দরোজায় করাঘাত মানে-কি কেবলই দরোজায় করাঘাত!
বন্ধুদের কাছে আমার সিভিক সেন্স রীতিমত প্রবাদতুল্য। আমার বাবা মা তাদের একমাত্র মেয়েকে সভ্য করতে কোনো কার্পণ্য করেন নি। এবং আমি প্রায় অচল পয়সার মতো সভ্য। রেগে গেলে আমি চুপ করে থাকি, অভিমান হলে কেঁদে ফেলি, চরম বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হয়তো কখনো সখনো উফফফফ করে উঠি। জীবনে এই প্রথম আমার ঘৃণা হচ্ছে। আমার খুব রাগ হচ্ছে, অসহায় লাগছে এবং একটা খুব বাজে গালি দিতে ইচ্ছে করছে। জীবনে প্রথমবারের মতো আমি বর্ণবাদ
[justify]কীটপতঙ্গে বেশিরভাগ মানুষেরই যেন এলার্জি আছে। অনেকে দু’চোখে দেখতে পারে না কোনো কীট। এই যে তাদের এই অপছন্দটা একবারে অযৌক্তিক - সেটাই বা কী করে বলি? রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল আর কিছুক্ষণের মধ্যে আপনি টের পেলেন একটি হৃষ্টপুষ্ট তেলাপোকা আপনার শরীরকে আমিউসমেন্ট পার্ক মনে করে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে!
০৩. ভ্রোমর ও কলি
হলুদ রঙের ঝুটিওয়ালা একটি কালো ভ্রোমর যে কতোরকম পুলক নিয়ে আসতে পারে স্কুল পলাতক কোন কিশোরের মনে; তা আমার চেয়ে আর কে বেশী জানবে? শীতের সকালে সকল আলস্যকে উপেক্ষা করে ছুটতাম আমরা কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ছাত্ররা। রাস্তার দুইধারে সাদা ভাটফুলের সুতীব্র গন্ধ ছুটতো আমাদের পিছু পিছু।
বেগম সুফিয়া কামালের একটা কবিতা আমাদের পাঠ্যবইয়ে ছিলো। শুরুর লাইনগুলো ছিলো এরকম
‘আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুলখেলা
তোমরা এখন সেই বয়সেই লেখাপড়া করো মেলা’
তো আমরা সেই লেখাপড়া মেলা করা শিশুরা বড় হয়ে গেছি। এখন পৃথিবীময় আমাদের ছানাপোনারা চরে বেড়াচ্ছে। কবিতাটা বর্তমানে এই চেহারা নিয়েছে-
‘আমাদের যুগে আমরা যখন করেছি লেখাপড়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করছি। সচলায়তনে আমার দ্বিতীয় লেখা এটা। ভাবলাম অল্পস্বল্প পড়াশোনা করে যা শিখতে পেরেছি তার কিছুটা share করি সবার সাথে।
জানালা দিয়ে কালো অন্ধকারের দিকে চেয়ে দু’চোখ ভরে পানি আসে অমির। খুব ইচ্ছে করে আকাশকে সব কথা বলে দিতে। তার নিজের ভেতরের কথাগুলো,হাজার চেষ্টা করেও কাউকে কখনো বলতে পারেনি যেগুলো, কিংবা বলা যায়, কখন কেউ শুনতে চায়নি যেগুলো।হয়ত আকাশও শুনতে চাইবেনা,বিরক্ত হবে...একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে, এসব ভেবেই কখনো বলা হয়নি কাউকে। হয়ত কোনদিন আর বাইরে বেরোবেনা কথাগুলো, ভেতরে থাকতে থাকতেই মরে যাবে একসময়।
১.
আন্না হাজারে একজন অর্ধশিক্ষিত, স্থূল এবং সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি, ঠিক সেই রাজনীতিবিদদের মতনই যাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে তাকে খাড়া করিয়েছে ভারতের কর্পরেট মিডিয়া এবং টিভিসৌখিন মধ্যবিত্ত। জ্বী, আমিও টিভিসৌখিন। কিন্তু, ন্যাটোর সাথে গাদ্দাফির ইঁদুরবিড়াল খেলা বাদ দিয়ে আন্না হাজারে ও তার স্যাঙাৎদের কাজকাম দেখছি। সুতরাং এই লিখা।
প্রায় সাত-আট মাস আগের কথা, তখন আমি একটা থানা হেলথ কমপ্লেক্সে কাজ করি । একিদন সকালবেলা আউটডোরে বসে রোগী দেখছি, এমন সময় সামনে এসে দাঁড়ালেন আমাদের সিস্টার-ইন-চার্জ, অঞ্জু দিদি । হাতে একটা ওষুধের ভায়াল ।
—দাদা, দেখেন তো, এইটা কি ইনজেকশন অ্যামক্সিসিলিন?
আমার ২মাস বয়সের পিচ্চিটাকে প্রায়ই প্রতিদিন এই গল্পটা বলে ঘুম পাড়ানোর (ব্যর্থ) চেস্টা করি। সচলের পাঠকদের জন্য গল্পটা হুবহু তুলে দিলাম:
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------