কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
শিলাইদহে দ্বিতীয় ভ্রমণ : দাদার সঙ্গে বাঘ শিকার
অতৃপ্ত সময়ের নির্জন দিনলিপি
এক.
গত ১ জানুয়ারি ফেইসবুকে বুয়েটের আপডেট পাচ্ছিলাম বিভিন্ন বন্ধুর স্ট্যাটাস, ব্লগ ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে। দেখলাম, সবাইকে বুয়েটে যেতে বলা হয়েছে বিকাল চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে। যাবো কিনা যখন ভাবছিলাম, তখনই ফেইসবুকে ইশানের এক্সরে রিপোর্টের ছবি দেখলাম। এটা দেখে আর থাকতে পারি নাই। ছুটে গেলাম বুয়েটে। ’০৬ ব্যাচের অনেকেই তখন হলে গেছে সারা রাত ক্লান্তির পর হয়তো একটু জিরিয়ে নেবার আশায়। সন্ধ্যার পর থেকে আবারো যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কিনা! যাই হোক, সন্ধ্যার দিকে আমাদের ’০৪ ব্যাচের বেশ কিছু বন্ধু আসলো, অন্যান্য ব্যাচের স্টুডেন্টরাও আসতে শুরু করলো একে একে। আমরা ’০৬ এর ভাইদের বললাম যে আমরা তাদের সাথে আছি। তারা আমাদের বলল তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে। তখন তাদের যে কথাগুলো বলেছিলাম, সেগুলোই আজ এখানে লিখে দিচ্ছি।
ভীমকায়া, তবে সে যে কোমল হৃদয়,
কথা কহিবার কালে মাথা নিচু হয়;
হাতে লয়ে পেন্সিল আঁকিলাম তাঁকে,
খোমা তাঁর ধরে না যে কাগজের ফাঁকে
কৈঞ্ছেন্দেহি এইডা কে???
পাঁচশ বছর আগে এমনি একদিন, হয়ত বড় আড়ষ্ট ভঙ্গিতে বিদ্যাপতি গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মিথিলার রাজা শিবসিংহের রাজসভায়, হয়ত আড়ালে এককোণে একলাই লুকিয়ে ছিলেন, হয়ত মনে ভাবছিলেন...
"হেসে ভালোবেসে দুটো কথা কয়
রাজসভাগৃহ হেন ঠাঁই নয়,
মন্ত্রী হইতে দ্বারীমহাশয়
সবে গম্ভীর মুখ।
মানুষে কেন যে মানুষের প্রতি
ধরি আছে হেন যমের মুরতি
তাই ভাবি কবি না পায় ফুরতি--
দমি যায় তার বুক"
সব দেখি, সব ঘটনা-রটনা আমাকেও বুঝে
ইচ্ছে করে রহস্য প্রাণে উড়াই ইচ্ছে প্রতারণা
কামনা জর্জর সম্পর্ক এমন যে, প্রাণও খুঁজে
কি আশ্চর্য, নিজের চোখটিও নিজে দেখি না
গালে রেখে হাত কি ভাবছো? একবার কও
সুদূরতা কতদূর থাকে, বিমর্ষ স্নেহের অতীত
সম্মুখে বসিবার আগে যত্নভরে একবার জাগাও
আগুনে পোড়াব না, সামলাও ব্যর্থ দু’টি হাত
আর্তনেশায় চমকে ওঠো, রাত জাগে হতাশায়
বিষে বিষক্ষয় বলে যে ব্যাপারটা আছে আমার বেলায় সেটা একবোরেই অকাট্য। দুঃখ, বিষন্নতা, হতাশা এই জাতীয় প্রতিটি ব্যাপার থেকে বের হতে আমার বিষে বিষক্ষয় পদ্ধতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। যেরকম একবার এক কষ্ট পেয়ে মূক ও বধির হবার উপক্রম হয়েছিলো, তখন আমাকে বাচাঁয় The Bicycle Thief.
শিরোনাম পড়ে ভড়কে যাবেন না যেন। এই মোল্লা কাঠমোল্লা নহে। মোল্লা আমার স্কুল জীবনের প্রাণের বন্ধু, একদম ছোট্টবেলার বন্ধু। ওর ডাক নাম মল্লিকা, মল্লিকা থেকে মোল্লা। স্কুলে আমরা পাশাপাশি বসতাম ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। মোল্লা ছিল আমার ‘শেষ ভরসা’ যাকে বলে। তার বাবা বেশ কড়া ছিলেন পড়াশুনার ব্যাপারে। সেটা আমার জন্য বেশ ভাল ছিল। কেমন করে?
'ধর্মপ্রচার নয়, বিভিন্ন ধর্মমত সম্পর্কে যৎসামান্য জানার প্রচেষ্টা মাত্র'।
ইসলাম ধর্মের প্রচারক মোহাম্মদের প্রায় ন'শো বছর পরে ভারতে শিখ ধর্মের প্রচলন হয়। এই ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক ১৪৬৯ খ্রীষ্টাব্দে পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর শহর থেকে পঁয়ত্রিশ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে 'রায় ভর দি তালবন্দী' (বর্তমান নাম, নানকানা সাহিব) গ্রামে একটি সাধারন হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আজ রাতে আমাদের গলা খুলে গান গাইতে গাইতে ভলভো বাসে উঠবার কথা ছিলো, গন্তব্য সেই সেন্ট-মার্টিন, হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ। আমরা আশা করেছিলাম দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাসের শেষ দৃশ্যের মতই অত্যন্ত নাটকীয় পরিস্থিতি দেখা দেবে আজ রাতে। আমাদের বার্মা হয়ে উঠবে উপন্যাসের বল্টু চরিত্রটি- শেষ মুহুর্তে দৌড়ে বাসে উঠতে হবে তাকে। বার্মাকে নিয়ে মজা করতে তাকে বাসে উঠানোর ব্যাপারে আমরা ব্যাপক গড়িমসি করবো, শেষমেষ নিতা