কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
অস্ট্রিয়ান বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ইম্পিরিয়াল অস্টেন্ড কোম্পানি ১৭১৭ সালে ভারতের সাথে ব্যবসার পত্তন করে। প্রথম প্রথম লাভ করে ঠিকই কিন্তু মাত্র চোদ্দ বছর পরে ইংরেজের চড় খেয়ে তারা ভারত থেকে কেটে পড়তে বাধ্য হয়। নিচের অংশটি ১৮১২ সালে প্রকাশিত ডেভিড ম্যাকফারসন লিখিত “The History of the European commerce with India” এর কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
…..........................................
আমি ভাবতাম মেয়েরা বড় হলে এমনিতেই তাদের বাচ্চা হয়। কিন্তু আমাদের এলাকায় দুই অপু ছিল। তাদের বড় বোনের বিয়ে হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। যদিও বড় বোন বেশি বড় তার পরেও তার বাচ্চা হয়নি। ছোট বোনের হয়েছে। বাচ্চা বড় করতে তো বাবার সাহায্যও লাগবে। তাই বোধ হয় বিয়ে না হলে বাচ্চা হয় না। টিভিতে হিন্দু আর মুসলিম বিয়ে দেখেছি তত দিনে। হিন্দু বিয়ের সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট অংশ হলো মালাবদল, আর মুসলিম বিয়ের 'কবুল কবুল কবুল' বলা। এইটাই জানতাম। এই ঘটনা ঘটলেই মেয়েটার শরীরে এমন পরিবর্তন এসে যাবে ভেবে দারুণ ভয় হতো। কারণ ততদিনে 'জামাই-বউ' খেলতে গিয়ে কয়েকবার এধরনের ঘটনা ঘটিয়েছি। আমার দোষ না। অন্যদের দোষ। এই খেলায় জামাই হলে চুপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। শশুর-শাশুড়ি শালা-শালী হওয়া বেশি মজা। মাঝখান থেকে আমার পাওনা হলো বাবা হয়ে যাবার বাড়তি টেনশন! যদিও বাবা হইনি শেষ-মেশ। কিন্তু তাতে টেনশনে নতুন মাত্র যোগ হয়েছে। কারণ আটকুরে রাজার গল্পও শুনে ফেলেছি ততো দিনে।
মা গ্রামে যাবে।
প্রায় বছর চারেক বাদে। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার বা মা’র কারোই ওদিকে যাওয়া হয়নি।
সকাল ৬টার বাস।
ইদানীং আমার কি হয়েছে কে জানে, রাতে ১০টা-১১টা বাজলেই ঘুমে চোখ ডুবে যায়, কোনকিছু দিয়েই চোখের পাতা খোলা রাখতে পারি না। আর ঘুম ভেঙ্গে যায় ৩টা-৪টার দিকে।
ঘুম ভেঙ্গে গেলে মাকে ডেকে তুললাম।
সব গুছিয়ে নিয়ে বের হতে হতে পাঁচটা বেজে গেল।
শুক্রবারে এক্সপেরিমেন্টের ফাঁকে অভ্যসবশত পরিচিত বিজ্ঞান পত্রিকাগুলোতে ঢুঁ মারছিলাম। ন্যাচারে (nature.com) বিশেষ প্রজাতির সাধারণ পিঁপড়াদের দৈত্যাকার প্রহরী পিঁপড়া হয়ে ওঠা বিষয়ক খবরটা নজর কাড়ল। বিজ্ঞানের পৃথিবীতে চমক না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অভ্যেস হয়ে যাওয়ায় এসব খবরে এখন আর চমকাই না। তবে সত্যি সত্যি দারুণ চমকে উঠলাম পরের খবরটাতেই। একটা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অস্বীকার করা হয়েছে এইচআইভি ভাইরাসসের সঙ্গে এইডসের সম্পর্ক ! গবেষণাপত্রটি ন্যাচারে প্রকাশিত হয়নি। ন্যাচার বরং এটির উপর একটি নিবন্ধ ছেপেছে। নিবন্ধটি এবং পরবর্তীতে মূল গবেষণাপত্রটিও আমি আক্ষরিক অর্থেই হাঁপাতে হাঁপাতে পড়েছি! এইচআইভি ভাইরাস এইডসের জন্য দায়ী নয়? এইডস কোনো মহামারী নয়? এইডসের টিকা/ওষুধের যে যুগব্যপী গবেষণা, পরীক্ষামূলক ব্যবহার সেসবের দরকার ছিলনা? এইডস পূর্ববর্তী/পরবর্তী নানা সামাজিক-রাষ্ট্রীয় আয়োজন সব অর্থহীন? বলে কী!
১৯৮৪ সালের পর থেকে এইচআইভি/এইডস-এর কারণে বিশ্বের সমাজ-রাষ্ট্র-অর্থনীতি-স্বাস্থ্য যেভাবে ওলটপালট হয়েছে সেটার খুব অস্পষ্ট একটা ধারনা নিয়েই আমি বলতে পারি, এই গবেষণাপত্রটি বিজ্ঞানের বিশ্বে অন্তত গোটা দশেক নাইন-ইলেভেন-এর প্রভাব ফেলবে! ফেলা উচিত।
এই হাউয়ার পোলা, নাঈম ভাই তো বাসায়ই আছে। না দেইখ্যা খালি চাপা মারস? কইসি নাঈম ভাইয়েরে, চাপা মারা পোন্দে দিব আইসকা।
অনেক্ষণ আগে জানালায় মুখ এনে মাহবুব জিজ্ঞেস করেছিল আসলামকে
:নাঈম ভাই বাসায় আছে?
আসলাম ওহাব সাহেবের বসার ঘর ঝাট দিচ্ছিল। বিকেলে নাঈম ভাইকে বের হতে দেখেছে সে। কিন্তু ফিরতে দেখেনি। তাই ঝাটা দিতে দিতেই বলেছিল
নাঈম ভাই বাসাত নাই।