অসভ্যতার সবগুলো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি আমরা।
নিম্নমানের এক ভিডিও'র ট্রেইলার (ধর্মান্ধরা একে মুভি বলে, আমার রুচিতে বাঁধে একে মুভি বলতে) নিয়ে আমাদের দেশের ধর্মান্ধরা যা করল, তাতে মনের মধ্যে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েছিলাম।
ধর্মান্ধরা ইউটিউব বন্ধ করার জন্য আন্দোলন করল। ওরা সফলও হল। সরকার ইউটিউব বন্ধ করে দিল।
মনে পড়ল এডমুন্ড বার্কের উক্তি-
[justify]একদিন সকালে উঠে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো।
অবাক হতেও ভুলে গেলাম যখন দেখলাম এক যুবকের সামান্য একটা ফেসবুক পোস্টে ট্যাগড হওয়া নিয়ে রামুতে তুলকালাম হতে দেখলাম। আগুন লাগানো ঘরগুলোর ছবি দেখেও ঠিক বিশ্বাস হতে চাচ্ছিলো না। খুব মনে হচ্ছিলো কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। এরকমতো হতেই পারে না। মানুষ এরকম বেকুবের মতো কাজ করে কিকরে? নিশ্চয়ই এটা ঝামেলা লাগানোর জন্য ছড়ানো খবর। পরে বুঝলাম বেকুব আসলে আমিই। দুপুর হতে হতে ফেসবুক, বিডিনিউজ২৪ এ ছেয়ে গেলো ছবিতে। পোড়ানো ঘরবাড়ির টিনের চালের ছবি, জ্বলজ্বলে গনগনে আগুনের ছবি, আয়েশে শুয়ে থাকা গৌতম বুদ্ধের শান্তি ভঙ্গের ছবি! আমার দাগী চোখ মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছিলো, পোড়া ঝলসানো লাশ হয়ে থাকা মানুষ, নির্জীব, অসহায়, দুই হাত তুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকা মানুষ! পেলাম না। কোনও মানুষের ছবি চোখে পড়লাম না। খুব আস্তে করে শব্দ নাকরে চেপে রাখা শ্বাস ছাড়লাম তখন। এখনও আশা আছে, ধর্মের নামে আমরা নরমাংস খেতে শুরু করিনি তাহলে এখনও, হালাল ভাবে জবাই করে ঘর পোড়ার আগুনে গ্রিল্ড নরমাংস এখনও তাহলে পাতে উঠেনি আমাদের!