বেশি বেশি লেটুস খেয়ে ফেললে নাকি অনেক ঘুম পায়। ঘুমিয়ে ত্যানা ত্যানা হওয়ার অবস্থা হয়।
আমার অবশ্য লেটুস খাবার পর কখনোই সেরকম লাগেনি। তবে আমি তো আর খরগোশ না। ফ্লপসি বাচ্চারা কিন্তু লেটুসের এই ঘুমপাড়ানি প্রভাবটা থেকে রেহাই পায়নি একদম। তারা ঠিকই ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গিয়েছিলো।
সেই গল্পটাই আজকে তোমাদের বলি।
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
আমার কথাোগুলো আত্মহত্যা করেছে
মৃত কথাগুলোও ফাঁসিতে ঝুলাবে,
অমানিশা কেটে গেলে!
বোবা চোখ অনেক জানে
চোখের দৃষ্টি যে কতটুকু ধারালো হতে পারে
ধূসর কুহেলি দূর হলে প্রকাশ পাবে!
এই নখের ভেতর জমে আছে পুরাতন রোদ
সেই রোদের তীব্রতা, স্নেহ, ভালোবাসার থেকেও মূর্ত
এই নখও সময়ে হতে জানে ঘোড়ার খুর!
আজ যে ছেলেটি অরব ধাবমান রোদ্দুরে
বুকে মায়া, মৌনতা চেপে, গোপন বিন্যাস লুকিয়ে
রোগমুক্তি
বাংলাদেশে স্যাটেলাইট টিভি দেখার সুযোগ হবার আগ পর্যন্ত টেলিভিশন চ্যানেল ছিল একটি। ফলে তখন রেডিও’র শ্রোতা সংখ্যা ছিল অনেক। স্যাটেলাইট টিভি আসার পর দুম্ করে রেডিও তার শ্রোতার বড় একটা অংশ হারায়। আবার এফ এম রেডিও চালু হবার পর থেকে রেডিওতে যখন নতুন গ্ল্যামার যুক্ত হয়, তখন নতুন শ্রোতা শ্রেণী তৈরি হয়। প্রথম আমলে বাংলাদেশ বেতারে (তখনকার রেডিও বাংলাদেশ) গানের ক্ষেত্রে এক ‘ওয়ার্ল্ড মিউজিক’ ছাড়া বাকী সময় কেবল বাংলাদেশী শিল্পীদের বা বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের গান শোনা যেত।
আগে যেখানে থেমেছিলাম
"এই দিকে এতকিছু হয়ে গেল, কিন্তু আমার ভিসা এখনও এলনা। এরি মধ্যে শুরু হল কানাডা পোষ্ট-এর অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট ও কর্মবিরতি। আমার তো পুরাই মাথায় হাত। ভিসা আসার সম্ভাবনা যাও ছিল, ধর্মঘট তার পুরাটারেই বোঙ্গা বোঙ্গা করে দিল। আমি প্রতিদিন বাসায় ফিরে মেইলবক্স খুলে দেখি, আর প্রতিদিন হতাশ হই। অইদিকে পায়ে পায়ে এগিয়া আসছে কনফারেন্সের সময়।"
মায়ের পেটে রইব না আর
যেই করেছি পণ,
বেরিয়ে দেখি এই আমি যে
সাত রাজারই ধন।
কতগুলো মুখ যে দেখি
আমার মুখের পর,
ভাবছি আমি ,কোথায় এলাম
লাগছে কেমন ডর।
সবার মুখে হাসি দেখে
কেটে গেছে ভয়,
কোলে পিঠে ঘুরে সবার
মন করব জয় ।
কপালটা নাকি নানার মতন
চোখটা নাকি দাদার,
নানি-দাদির অনেক কিছুই
আছে নাকি আমার।
হাসলে পরে টোলটা নাকি
ফুফুর থেকে নেওয়া,
হাতগুলো আর পাগুলো-তো
ষষ্ঠ পর্ব
সারা বছর ধরে ক্রীতদাসের মতো খাটে পশুরা। কিন্তু কাজে খুব আনন্দ তাদের। কোনো ক্লান্তিই তাদের কাছে ক্লান্তিকর বলে মনে হয়না, কোনো কষ্টেই ম্রিয়মাণ হয় না ওরা। যা করছে, সবই নিজেদের ও তাদের পর নতুন যারা আসছে, তাদের জন্যে। কোনো কিছুই আলসে ও চোর স্বভাবের মানুষের করতে হয় না আর।
[justify]
কায়েস চৌধুরীর মাথার ভেতরে চিন্তা চলছে ঝড়ের গতিতে। সম্মেলনকেন্দ্রের ভেতরের মৃদু শব্দে চলা এয়ার কন্ডিশনারটাও পারছে না তার কপালের ঘামের ফোঁটাগুলোকে থামিয়ে দিতে। কফির কাপে চুমুক দিচ্ছেন কায়েস চৌধুরী। তেতো কফি- অন্য সময় হলে ছুঁড়ে ফেলে দিতেন তিনি এটাকে- এই মুহুর্তে ভ্রুক্ষেপও করছেন না সেদিকে। ভয় পেয়েছেন, কায়েস চৌধুরী ভয় পেয়েছেন...
তোমরা যারা ছোট্টটি নেই আর-
তোমরা যেন কোনমতেই টম এন্ড জেরির ধার ধেরো না,
সুপারম্যানের পাওয়ার দেখে এত্তোখানি বাড় বেড়ো না,
নিনজা টার্টল দেখবে বলে সোফার দখল আর কেড়ো না,
উডপেকারের হাসির তোড়ে রামগরুড়ের মার ছেড়ো না,
সকালবেলায় পড়ার নামে গপ্পোকথার বই পোড় না,
দুই টাকাতেই ঝালমুড়ি আর চানাচুরের জেদ ধোর না,
কমিক্স পেলেই চোখ চকচক অমনি হঠাৎ আর সোর না,
ঠিক দুপুরে বাধ্য হয়ে নকল ঘুমের ভান কোর না,