মা,খুব বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে।ভিজব?
এত ইচ্ছে হলো কেন তোর?
দেখছ না,কী গরমটাই না লেগেছে এই কয়েকদিন।
আচ্ছা,যা।তবে বেশিক্ষণ ভিজিস না।
গত কিছুদিন ধরে জামায়েতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্র শিবির সারাদেশে যে সহিংসতা-তান্ডব চালিয়েছে তার সচিত্র খবরগুলো দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি।
কখনও কখনও তেতলা একটা মাটির বাড়ি স্বপ্নে দেখি আমি;
সেই বাড়িটা, ক্লাস ফোরের বার্ষিক পরীক্ষা দেয়ার পর যেটি ছেড়ে শহরে চলে এসেছিলাম।
বাড়িটার ভেতর থেকে কে যেন আমায় ডেকে বলে
‘ আয় বাপি, আয়, মাটির দেরাজের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিলি যে পাঁচ পয়সাটা,
সেটা নিয়ে যাবি আয় ’
মাঝে মাঝে শহরের বহুদূরে মেঠোপথ আর ধানক্ষেতে ঘেরা শান্ত একটা গ্রাম স্বপ্নে আসে আমার।
“সত্যি আসবে?!”
“আসবে!”
“সত্যি সত্যি আসবে?”
“সত্যি সত্যি আসবে!”
“ও চিনবে কেমন করে?!”
“চিনিয়ে দিতে হবে!”
“তাহলেই হবে?!”
“তাহলেই হবে!”
বর্ণ’র বড্ড অবাক লাগে। নানা’র দিকে বড় বড় চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে ও। কাঁচাপাকা লম্বা দাঁড়ি, মাথায় অল্প কটা চুল, চোখে খয়েরি ফ্রেমের চশমা, চশমার কাঁচে ওকে দেখা যাচ্ছে আবছা- আর নানার স্বচ্ছ চোখের তারা, নানা তাকিয়ে ওর দিকেই, মুখে এগাল ওগাল হাসি।
মন খারাপ হতে ঠিক কোন কারণ লাগেনা। কখনো কখনো এমনিই মন খারাপ হয়ে যায়। কোন দৃশ্য যখন ভ্রমান্ধ দৃশ্য হয়ে বায়স্কোপে ফুটে উঠে ঠিক সুপান্থ দার গল্পগুলির মতো তখন একটা উদ্ভ্রান্ত সম্ভাষণ সৃষ্টি হয়। বেশ কিছুদিন ধরে ডুবে আছি সেই গল্পগুলিকে নিয়েই। একটু একটু করে জমা করা বিশ্বাস কিংবা বোধ যখন হঠাত ছাই হয়ে যায় তখন কষ্ট হয়না, কারণ কষ্ট শব্দটা সেই অনুভূতির কাছে ফিকে পড়ে যায়। কেমন জানি একটা হতাশা; এই হতাশা জিনিষটা