আমার প্রিয় কবি সেই ডাঙা ছেড়ে পৃথিবীর পথে রূপ খুঁজতে যান নি, যেই ডাঙার পথে পথে নির্জন অঘ্রাণে ছড়ায়ে থাকা বটের শুকনো পাতা এক যুগান্তের গল্প ডেকে আনে, বন্ধুদের বলেছিলেন- তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও- আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব। বাংলার মুখ দেখে পৃথিবী রূপ খোঁজার ইচ্ছাও পোষণ করেন নি আর। মালাবারের সুনীল সমুদ্র, আর ঊটির পর্বতের শোভা দেখার আমন্ত্রণ অবলীলায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলার ভোরের দোয়েল প
হরেন ডাক্তার বেঞ্চিতে বসে পা দোলাচ্ছিল। তার ময়লা ধুতির খুঁটটা গড়ায় মাটির মেঝেতে। নুরু গ্লাস ধুতে ধুতে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। একটা লোক পা দোলাতে দোলাতে কান চুলকায় কিভাবে? ডান কান চুলকানো শেষ। হরেন ডাক্তার পাখির পালকটা বাম হাতে নেয়, তারপর আবার পা দোলায় আর কান চুলকায়। নুরু এগিয়ে গিয়ে চায়ের কাপটা হরেন ডাক্তারের সামনের টেবিলে রাখে, ‘বিস্কুট দিতাম?’
সেদিন স্কুলে ছিলো অ্যাডমিশন টেস্ট। বছরের শেষ বেলায়, তবুও স্টুডেন্ট এর কমতি ছিলো না। এটার রেজাল্ট যখনই দেয়া হোক না কেন, যেদিন পরীক্ষা নেয়া হয়, সাথে সাথেই খাতা দেখা, টেবুলেশন আর মেরিট লিস্ট করে ফেলা হয়। কাজেই বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা।
গোসল-খাওয়া সেরে মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি তিনটা মেসেজ। তারমধ্যে একটা ফ্লেক্সিলোড। অবাক হলাম। আমি লোড করতে দেইনি তো। টাকার পরিমাণ দেখে টাশকি খেলাম। এক হাজার!
প্রথম আলোর প্রতিনিয়ত এই পাকিমেহনের ক্রমবর্ধমাণ ধারা নিয়ে সচলায়তন ও অন্যান্য ব্লগে নানা সময় বিচ্ছিন্নভাবে লেখা এসেছে। কিন্তু সেই ব্যাপারটাই একটু গোছানোভাবে একত্রিত করার জন্য আর এই পাকিপ্রেমের বিষবৃক্ষের প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আজ থেকে একটি নতুন সিরিজ চালু হলোঃ "আলুর আজকের পাকিমেহন" শিরোনামে। আগ্রহী যে কেউ এই শিরোনামে প্রথম আলোর পাকিমেহনের খবরগুলো নিয়ে কন্ট্রিবিউট করতে পারেন। সচল-পাঠক সবাই এতে অংশ নিয়ে এই সিরিজটি বেগবান-সমৃদ্ধ করার অনুরোধ রইলো। এখন থেকে যিনিই লিখুন, যে শিরোনামেই লিখুন, "আলুর পাকিমেহন" এই ট্যাগ দিয়ে লিখুন। তাহলে সবগুলো লেখা একসাথে পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন
সূচির ছোটো ভাইটার জন্ম নেয়ার পর থেকেই , সে তার বাবা মায়ের কাছে অনবরত আবদার করছে বাবুটার সাথে সে কিছুক্ষণ একা থাকতে চায়। তার বাবা মা ধরে নিলো অন্য আর সব চার বছরের বাচ্চাদের মতই সেও ছোটো ভাইটাকে নিয়ে ঈর্ষান্বিত এবং একা পেলেই সে হয়ত উল্টাপাল্টা কিছু করবে। তাই তারা প্রথমে রাজি হল না।
ধূসর গ্রামের গায়ে রেখে আসা
মাছের ঘামের ঘ্রাণ স্মৃতির অস্পষ্টতা
এখানে রাতের বুক চিরে
তীক্ষ্ণ ট্রাকের হর্ন সমূলে বিদ্ধ করে
কৈশরের সবুজ নোঙর
ঘুমিয়েছো? জেগে আছো?
ঋতুর বৈরী ঝড় নৈর্ঋতে
প্রশ্নবিদ্ধ জীবিকার হাড়
রুক্ষ গাছের গায়ে
রঙহীন লেপ্টে থাকা পাখি
ডানার আওয়াজে তার নাম নেই
নাম নেই পাখনার ওড়াউড়িকাল
এসব কখনো কেউ লিখে রাখে না
এ সমস্ত ক্রমশই
অবসন্ন জেলেদের ফেলে দেয়া জাল
১। একটা স্বপ্ন দেখছিলাম। স্বপ্ন , অথচ এত স্বাভাবিক ঘটনার মত আর এত স্পষ্ট যে স্বপ্ন বলে মনে হয় না প্রথমে। একটা কাহিনি, পরপর ঘটতে থাকা ঘটনামালা, ঠিক যেন একটা বহুমাত্রিক মুভি, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে চরিত্র গুলোর মনের ভাবও যেন দেখা যাচ্ছে নানা রঙের আলোছায়ায়। গোলাপি-সোনালি আলোর আনন্দ, ধূসরাভ নীল আলোর বিষাদ, সবুজাভ আকাশি আলোর ভালোবাসা, গাঢ় লাল আলোর রাগ, লালচে বেগুনী আলোর অভিমান, কচিকলাপাতা রঙে শিশির দোলা
এক - তামিম ইকবাল, জুলাই ২০০৯
দুই - জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লু, আগস্ট ২০০৩
তিন - হাবিবুল বাশার, নভেম্বর ২০০১