গ্রিনিচ মান সময় সন্ধ্যা ছয়টায় লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারার্থে গঠিত ট্রাইব্যুনালের আদ্যোপান্ত নিয়ে উপস্থাপনা।
এই লিঙ্কে গেলে অনলাইনে স্ট্রিম করে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।
সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। ধন্যবাদ।
দেশের টিভি চ্যানেল দেখা হয় না বলাই ভালো। মাঝে-মধ্যে একটু-আধটু। গতকাল অনলাইনে ঢাকার হরতালের খবর পড়ে খানকয়েক সচিত্র প্রতিবেদন দেখার আশায় জাগোবিডি.কম-এ ঢুঁ মারলাম। বেশ কিছু চ্যানেল ধরার বৃথা চেষ্টা করে অবশেষে মাহফুজ সাহেবের এটিএন নিউজ-এর বেলায় ভাগ্য 'সুপ্রসন্ন' হলো। দেখলাম টক শো চলছে। মুন্নী সাহার অতিথি দেশের দু'জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। কিছুক্ষণ দেখার পর মালুম হলো এটাকে বরং মুন্নী'স শো বলা উচিত। বাক
আমার জন্মের বছর দশেক আগে তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের মানুষ আমার মত ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে মোটাদাগে দুই ভাগে ভাগ হয়েছিল। একভাগ ঠিক করেছিল আমার জন্ম হবে আল্লার পছন্দের দেশ পাকিস্তানে, আমি আমার মায়ের ভাষা বাংলা বাদ দিয়ে কথা বলব খাঁটি মুসলমানি ভাষা উর্দুতে, স্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে টুপি পরে গাইব পাক সার জমিন সাদ বাদ। আমি মিশব শুধু মুসলমান বন্ধুদের সাথে, হিন্দুরা তাদের জন্মভূমিতে জিজিয়া কর দিয়ে মসলমান শাসকের দয়ায় থাকবে কিম্বা হিন্দুস্তান চলে যাবে।
এই দলের লোকগুলি জামাতি। তারা আমাকে পাকিস্তান উপহার দেবার জন্য নামাজ পড়ে বেরুত আর্মি ক্যাম্প কমান্ডারের জন্য মেয়ে খুঁজতে। তারা গ্রামের হিন্দুবাড়িতে আগুন দিয়ে আল্লার পথের গাজী ঘোষণা দিত নিজেদের। পাকিস্তান আর্মির প্রত্যক্ষ মদদে তৈরি হওয়া আল বদর বাহিনীর তরুণেরা খুঁজে খুঁজে বের করেছিল দেশের সূর্য সন্তানদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পাড়ায় আমি বিশ বছর পরে থাকব সেই পাড়ায় তারা ঢুকিয়েছিল তাদের গোপন মাইক্রোবাস। তাদের মুখ ছিল কালো কাপড়ে ঢাকা।
"এটা অবধারিত হয়, বুদ্ধিজীবীরাই জাগিয়ে রাখেন জাতির বিবেক, জাগিয়ে রাখেন তাদের রচনাবলির মাধ্যমে, সাংবাদিকদের কলমের মাধ্যমে, গানের সুরে, শিক্ষালয়ে পাঠদানে, চিকিৎসা, প্রকৌশল, রাজনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সান্নিধ্যে এসে। একটি জাতিকে নিবীর্য করে দেবার প্রথম উপায় বুদ্ধিজীবী শূন্য করে দেয়া। ২৫ মার্চ রাতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অতর্কিতে, তারপর ধীরে ধীরে, শেষে পরাজয় অনিবার্য জেনে ডিসেম্বর ১০ তা