‘এডুকেশন ছাড়া বের হওয়ার কোন রাস্তা নাই, বুঝছ। তোমাদের পড়তে হবে, অনেক পড়তে হবে। শুধু টেক্সটবই পড়লেই চলবেনা’ তানভীর ভাইয়ের কথায় আমরা সবাই মাথা নাড়ি বিজ্ঞের মত। তানভীর ভাই অনেক স্কলার লোক। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, চোখে মাইনাস সিক্স পয়েন্ট ফাইভ পাওয়ারের মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। দেখলেই বুঝা উনি আসলে একটা জিনিস। উনার রুম ভর্তি খালি বই আর বই। আর দেয়ালে দাড়ি ওয়ালা কত গুলা মানুষের পোস্টার লাগানো। আ
প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত, আজ দবির একটি বিশাল বাক্স কাঁধে হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে আসে। আমাকে দেখে একগাল হেসে সেটি টেনেটুনে নিয়ে ঢুকে বসার ঘরে। অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। বসার ঘর থেকে নানা ধরনের ঠুকঠাক শব্দ ভেসে আসে। দবিরের এই ধরনের কাণ্ডকারখানা এতদিনে চেনা হয়ে গেছে। তাই কিছু না বলে নিজের ঘরে চলে যাই। বিছানায় বসে ডুবে যাই নিজের ভাবনা চিন্তার অতল গভীরে। অনেকক্ষণ পর দবির আসে
[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]
আকাশেতে , বাতাসেতে
শুনি কার হাহাকার?!
রাজাকার! রাজাকার !!
মীর জাফরীয় নীতি
মনে আজও তাজা কার ?!
রাজাকার! রাজাকার !!
আমি বেশ কবার কিছু ব্লগে লিখতে যেয়ে মানুষের রোষানলে পরেছি । একবার ভেবেছিলাম আর লিখবই না কিন্তু বার বার আমার মানুষ মনটা আমাকে তাগাদা দেয় কিছু বলতে । অবাক হই আমাদের সামাজিক কাঠামো থেকে শুরু করে বড় বড় লেখা পড়া জানা মানুষদের মাঝে ছেলে-মেয়ের মঝের যে চরম বৈষম্য টানা সেটা দেখে আর তখন ই আমার ইচ্ছে করে কিছু বলি । আমি বিশেষ বিদ্যান কোন মানুষ নই। আমার সঙ্গে লেখাপড়া করা ছেলেমেয়েদের অনেকে আমার চাইতে ঢের বেশী লে
[justify]১৫ ডিসেম্বর ২০১২
১৫ ডিসেম্বর দুপুরে লোকাল বাসে বাসায় ফিরছি। নিউ মার্কেটের সামনে জ্যামে অনেক ক্ষণ ধরে আটকে আছি, সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত জ্যাম। জানালা দিয়ে হঠাৎ দৃষ্টি বাইরে পড়ল। এক কিশোর দামাদামি করছে। আমি মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করিঃ কিশোরটির বয়স খুব বেশি নয়। চেহারায় সারল্য লক্ষণীয় পর্যায়ের, মায়াবী। খুব ভদ্রভাবে দামাদামি করছে যেন সে না করতে পারলে খুশি হয়। দামটা পতাকার। দামীই তো। অমূল্য রক্তের দামের পতাকাতো সহজে পাওয়া যাবে না, পরম শ্রদ্ধার দামে হৃদয়ে নিজের করে নিতে হয়। সেই ভাবটি স্পষ্ট।
[justify]
- তোমার কি মন খারাপ?
- নাতো মামা।
- তাহলে এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?
- ভালো লাগছে না মামা।
- প্রেমে পড়েছো নাকি? প্রেমে পড়লে প্রেমিক মাত্রই মাঝেমধ্যে উদাস করা মন খারাপের রোগে ভোগে!
- আমি লজ্জা পেয়ে বললাম, কি যে বলেন?
- লজ্জার কি আছে? এই বয়সের সবাই একটু-আধটু মুগ্ধ হতে ভালোবাসে। আর সেই মুগ্ধতায় যখনই হাহাকারের ঢেউ উঠে তখন উদাস উদাস লাগে। তখনই মন খারাপ করা রোগ দেখা দেয়।
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
৬-১২-১২ তারিখে কিঞ্চিৎ ছবি তুলিবার বাসনা লইয়া শাহবাগ এলাকায় গিয়াছিলুম। কিন্তু গিয়া পুরাই টাসকি…. হায় হায় ইহা আমি কোথায় আসিলুম !! এক বৎসর পূর্বেও তো এইখানকার অবস্থা এইরূপ ছিলো না। আমি কাহাদের ছবি তুলিব ?
‘সে আমাকে কথা দিয়েছে যে আমি যদি তাকে লাল গোলাপ দেই তবে সে আমার সাথে নাচবে’- কান্না ধরা কণ্ঠে কথাগুলো ভেসে আসছিল একজন তরুন ছাত্রের কণ্ঠ থেকে; ‘কিন্তু কোথায়- আমার বাগানে তো কোন লাল গোলাপ নেই’।
পাশেই একটি ওক গাছের উপরের বাসা থেকে নাইটিংগেল পাখি ছেলেটির এই কান্না ভেজা আকুতির কথা শুনছিল এবং গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সে বিস্মিত হল।
গত লেখাটি যারা পড়েছেন, পড়তে পড়তে একেবারে শেষে এসে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেকে মনে করেছেন বিচ্যুত একজন মানুষ, এবং সবশেষে ‘একটি জাগ্রত বাংলাদেশ বুকে নিয়ে আমাদের মৃত্যু হোক’ পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভেবেছেন ‘আহা, তাই যদি হতো!’ -- নিশ্চিত থাকুন এরমাঝে আপনার সর্বাঙ্গীণ চেতনার মৃত্যু ঘটেছে। মানুষের নিজের লড়াই নিজের সাথে আগে, এই লড়াইয়