“হ্যাঁ, হ্যাঁ, স্যার, আজকের মধ্যেই ফার্নিচারগুলো আপনার বাড়ি পৌঁছে যাবে। ‘বেঘুন ফার্নিচারের’ জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছে, আপনার জন্য কিছু এক্সপোর্ট কোয়ালিটি ফার্নিচার আলাদা করে সরিয়ে রেখেছে তারা। আমরা হচ্ছি ওদের সবচেয়ে বড় ফান্ডিং পার্টনার, আপনি নিঃসন্দেহ থাকতে পারেন স্যার, ওদের সেরা জিনিসটাই দেবে আমাদের। আপনাকে তো ইন ফ্যাক্ট উপহারই দিতে চেয়েছিল ওরা, কিন্তু আপনি রাজী না হওয়াতেই স্পেশাল ডিসকাউন্টে....
সে এক ভীষন দুঃসময় এসেছিল আমাদের মাঝে
সে এক ভীষন সুসময় এসেছিল আমাদের মাঝে---
দুঃসময় এইজন্যে --আমরা হারিয়েছি আমাদের লক্ষ লক্ষ আপনজন। এই ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের ভেতরে একটি পরিবারও খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা শহিদের রক্তে স্নাত হয় নি। রক্তের দামে নাকি কিনে আনতে হয় স্বাধীনতা! মাত্র ন'মাসের পরিব্যপ্তীতে আমরা আমাদের পাঁজর খুলে বইয়ে দিয়েছিলাম রক্তের নহর।
কোন কোন মর্তবায় এরকম হয় যে পুরাতন কাদিম দোস্তের ফির মোলাকাত হাসিল করতে অনেক পাহাড়, অনেক টিলা পার হতে হয়, অনেক কাঠ ও অনেক খড়কে পুড়তে হয় দুঃসহ প্রতীক্ষার অনলে। ৭১ এর ১৫ ই ডিসেম্বরে স্বাধীনতার চৌকাঠে খাড়া বাংলাদেশের দারুল হুকুমত, বাংলার রাজধানী ঢাকায়, টাইগার নিয়াজি, শের-এ-পাকিস্তান, যখন তার জোয়ানির জানি দোস্ত জেনারেল স্যাম মানেকশ’র কাছে আত্মসমর্পণের, তার আঁতকা কুশকাস্তির বাতচিত করছিলেন
(২০০১ থেকে আমি দেশান্তরি। আমার প্রবাসকালে অনেক প্রিয় মানুষ চলে গেছেন আকাশের ঠিকানায়। সেইসব মানুষকে নিয়ে আমার স্মৃতিগদ্যের বই ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে’ প্রকাশিত হচ্ছে একুশের বইমেলায়। সচলায়তনকে কথা দিয়েছিলাম প্রভুকে নিয়ে একটা স্মৃতিকথা লিখবো। প্রভুর মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক বিহবলতা কাটিয়ে লিখতেও বসেছিলাম। কিন্তু লেখাটা শেষ করতে পারিনি। আজ শেষ করলাম।)
প্রভুর প্রস্থান