[justify]ছোট বেলায় খুব স্বপ্ন ছিল একদিন বড় হয়ে ঘুষখোর পুলিশ কর্মকর্তা (একান্তই নিজের ইচ্ছে)হবো কিন্তু সে স্বপ্ন আমার পূরণ হয়নি। তারপর এমনি অনেক স্বপ্ন ভেঙ্গেছি আর গড়েছি।অবশেষে ছোট ছোট কিছু স্বপ্নকে রঙ দিতে নিজ জন্মভূমিকে ছেড়ে পরবাসী জীবন মেনে নেওয়া ।২৬ শে সেপ্টমবর ঢাকা থেকে রাত ২ টায় আমার ফ্লাইট চাইনা ইস্টার্ন এয়ারলায়েন্স এ, রাত ১০ টার মধ্যে এয়ারপোর্টে পৌছে গেলাম এবং তারপর থেকেই বিড়ম্বনার শুরু।
বাতাসে শীতের গন্ধ । প্রকৃতিতে রংয়ের উৎসব শেষ করে পাতাদের ঝরে পড়াও শেষ । বাদামী রংয়ের শুকনো পাতা মাড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোথা থেকে ভেসে এল অনেক দিন আগের এই রকম শীতের কোন ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতার গন্ধ...নজরুলের সমাধির পাশে লাইব্রেরীর গেইটে লাল রঙ্গা বাস থেকে নেমে কলা ভবন পর্যন্ত হেঁটে আসতে আসতে মাটি থেকে কুড়িয়ে নিতাম ইউক্যালিপটাসের শুকনো পাতা । একটু ছিড়লেই সেই পাতা থেকে বের হ’ত অদ্ভুত এক সৌরভ...কোথা হতে ভেসে এলো ফেলে আসা দিনের গায়ে লেগে থাকা সেই সৌরভ...আর তার হাত ধরে চলে এল বন্ধুর মত বন্ধুদের স্মৃতিরা...
[justify]আমার আম্মা বরাবরই খুব রসিক মানুষ। কথায় কথায় হেসে গড়িয়ে পড়েন। উনাকে দেখলে দুঃখ বা কষ্ট বোধ টের পাওয়া যায়না। অনেক বড় বড় ঘটনাতেও উনাকে খুব শান্ত ভাবে হাসি মুখে ঘটনার মুখোমুখি হতে দেখেছি। ছোট থেকে দেখি আম্মা কখনও খাবার নষ্ট করেননা, সব খাবারই নাকি উনার কাছে খুব সুস্বাদু মনে হয়। আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম। সব খাবারই মজা, তাই কি আর হতে পারে?
খুলনার মানুষ হিসেবে একটু অতিরিক্ত ভালোলাগায় আচ্ছন্ন হলাম যখন বাংলাদেশ দল সফরকারী ওয়েষ্ট ইন্ডিজ দলকে ওডিআই সিরিজের প্রথম দুটো ম্যাচ বেশ বড়ো ব্যবধানে হারিয়ে দিলো এবং দ্বিতীয় ম্যাচটির ফলাফলের ব্যবধান এযাবতকালের মধ্যে বাংলাদেশের জেতা ম্যাচগুলোর মধ্যে সবথেকে বড়ো। সাবাস টাইগার্স, কিপ ইট আপ।
“নজরুল-শরৎচন্দ্রের কোনো দরকার নাই তো আমার! ক্লাস ফাইভের অঙ্ক পরীক্ষায় সতের পেয়ে ফেল মারেন, তারপর আবার পড়া ফেলে ‘সাহিত্যচর্চা’?! লজ্জা করে না?! বেশরম! বেহায়া! যাহ্!”
খাতাটা ছুড়ে মারলেন বাবা, দশ-বারো হাত দূরে। তুলে আনার আর সাহস পেলাম না।