Archive - ডিস 2012 - ব্লগ

December 19th

ইস্কুলবেলার গল্প(২০)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ১৯/১২/২০১২ - ৭:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের একদম ছোটোবেলার স্কুলটা মানে যে স্কুলে কেজি ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর অবধি পড়েছিলাম, সেটা ছিল বেশ বিচিত্র। তিনটি স্কুলের সমাহার বলা যায় সেটাকে। একটা মস্ত চৌকো উঠানের পুবের দিকে ছোটো একতলা একটা দালানে ছিলো কিন্ডারগার্টেন স্কুল, সেখানে কেজি ওয়ান আর কেজি টু এর ক্লাস হতো। উঠানের পশ্চিমের দিকে দোতলা দালান, সেদিকে প্রাইমারি স্কুল, ক্লাস থ্রী ফোর। আর উঠানের উত্তর দিকে ছিল সেই বিচিত্র সমাহার, একটা বিশাল


December 18th

একটি চিঠি

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১২/২০১২ - ১০:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লতা তোমায় করছি মনে, অনেক করে, বুঝছো লতা,
পড়ছে মনে, ভাসছে চোখে, সেই সময়ের উচ্ছলতা,
বইছে বাতাস, উড়ছে তাতে তোমার চুলের গুচ্ছলতা,
আর তুমি না আমার দেয়া গোলাপ খোপায় গুঁজছো লতা।

তোমায় ছাড়া জীবন যাপন আমার ছিলো তুচ্ছ লতা,
হঠাত দেখি চলার পথে আমার ত্রুটি খুঁজছো লতা,
আমার উপস্থিতির চাপে নিজের সাথে যুঝছো লতা,
তাই আঁধারে হারিয়ে গেলাম সাঙ্গ করে উজ্জ্বলতা।

একটা সময় আসবে যেদিন আমায় তুমি খুঁজবে লতা,


ছবিব্লগঃ প্রিয় রাজশাহী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১২/২০১২ - ১০:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

bgd (2)

রাজশাহীর পদ্মা

প্রিয় রাজশাহী,


খোঁজ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/১২/২০১২ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীত আসি আসি করা বছরের এই সময়টায় দুপুরগুলোর একটা ঝিম ধরানো ওম থাকে।

কুসুম কুসুম রোদ, রিক্সার অবিরাম ঝাঁকুনি আর রাস্তার সহস্র খুঁটিনাটি দৃষ্টিকে ক্লান্ত করে একটা স্বচ্ছ পর্দা নামিয়ে দিচ্ছিল রতনের সামনে। দু’ধারের দোকানগুলো মন্থর গতিতে সরে সরে যাচ্ছে। কোনটাকেই নজর করে দেখা হচ্ছেনা।
রতনের মাথার চারপাশে একঝাঁক ভাবনা নাছোড়বান্দা মাছির মতো ঘুরছে। বসছে, সুড়সুড়ি দিচ্ছে, আবার ঘুরে ঘুরে উড়ছে।


শিক্ষা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১২ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘এডুকেশন ছাড়া বের হওয়ার কোন রাস্তা নাই, বুঝছ। তোমাদের পড়তে হবে, অনেক পড়তে হবে। শুধু টেক্সটবই পড়লেই চলবেনা’ তানভীর ভাইয়ের কথায় আমরা সবাই মাথা নাড়ি বিজ্ঞের মত। তানভীর ভাই অনেক স্কলার লোক। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, চোখে মাইনাস সিক্স পয়েন্ট ফাইভ পাওয়ারের মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। দেখলেই বুঝা উনি আসলে একটা জিনিস। উনার রুম ভর্তি খালি বই আর বই। আর দেয়ালে দাড়ি ওয়ালা কত গুলা মানুষের পোস্টার লাগানো। আ


অতীতের সাথে পত্রালাপ (পাঁচ) – দূরদর্শন

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১২ - ৯:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত, আজ দবির একটি বিশাল বাক্স কাঁধে হাঁপাতে হাঁপাতে ঘরে আসে। আমাকে দেখে একগাল হেসে সেটি টেনেটুনে নিয়ে ঢুকে বসার ঘরে। অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। বসার ঘর থেকে নানা ধরনের ঠুকঠাক শব্দ ভেসে আসে। দবিরের এই ধরনের কাণ্ডকারখানা এতদিনে চেনা হয়ে গেছে। তাই কিছু না বলে নিজের ঘরে চলে যাই। বিছানায় বসে ডুবে যাই নিজের ভাবনা চিন্তার অতল গভীরে। অনেকক্ষণ পর দবির আসে


December 17th

রাজাকার বধাবলী- ১৩

স্বপ্নাহত এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নাহত (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১২ - ৩:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ দেশে আজো টেকা দায় ছাগুদের গন্ধে, চলো ছাগু বধে নামি, পাশবিক ছন্দে। রাজাকার ছানাপোনা, হয়োনাকো খুশি আর, আবারো জেগেছে জাতি, হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!! ]

আকাশেতে , বাতাসেতে
শুনি কার হাহাকার?!
রাজাকার! রাজাকার !!

মীর জাফরীয় নীতি
মনে আজও তাজা কার ?!
রাজাকার! রাজাকার !!


মেয়েকথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১২ - ১২:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি বেশ কবার কিছু ব্লগে লিখতে যেয়ে মানুষের রোষানলে পরেছি । একবার ভেবেছিলাম আর লিখবই না কিন্তু বার বার আমার মানুষ মনটা আমাকে তাগাদা দেয় কিছু বলতে । অবাক হই আমাদের সামাজিক কাঠামো থেকে শুরু করে বড় বড় লেখা পড়া জানা মানুষদের মাঝে ছেলে-মেয়ের মঝের যে চরম বৈষম্য টানা সেটা দেখে আর তখন ই আমার ইচ্ছে করে কিছু বলি । আমি বিশেষ বিদ্যান কোন মানুষ নই। আমার সঙ্গে লেখাপড়া করা ছেলেমেয়েদের অনেকে আমার চাইতে ঢের বেশী লে


লাল-সবুজ পতাকা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি
লিখেছেন মৃত্যুময় ঈষৎ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১২ - ১১:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১৫ ডিসেম্বর ২০১২
১৫ ডিসেম্বর দুপুরে লোকাল বাসে বাসায় ফিরছি। নিউ মার্কেটের সামনে জ্যামে অনেক ক্ষণ ধরে আটকে আছি, সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত জ্যাম। জানালা দিয়ে হঠাৎ দৃষ্টি বাইরে পড়ল। এক কিশোর দামাদামি করছে। আমি মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করিঃ কিশোরটির বয়স খুব বেশি নয়। চেহারায় সারল্য লক্ষণীয় পর্যায়ের, মায়াবী। খুব ভদ্রভাবে দামাদামি করছে যেন সে না করতে পারলে খুশি হয়। দামটা পতাকার। দামীই তো। অমূল্য রক্তের দামের পতাকাতো সহজে পাওয়া যাবে না, পরম শ্রদ্ধার দামে হৃদয়ে নিজের করে নিতে হয়। সেই ভাবটি স্পষ্ট।


প্রিয় আকাশী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/১২/২০১২ - ১১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
- তোমার কি মন খারাপ?
- নাতো মামা।
- তাহলে এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?
- ভালো লাগছে না মামা।
- প্রেমে পড়েছো নাকি? প্রেমে পড়লে প্রেমিক মাত্রই মাঝেমধ্যে উদাস করা মন খারাপের রোগে ভোগে!
- আমি লজ্জা পেয়ে বললাম, কি যে বলেন?
- লজ্জার কি আছে? এই বয়সের সবাই একটু-আধটু মুগ্ধ হতে ভালোবাসে। আর সেই মুগ্ধতায় যখনই হাহাকারের ঢেউ উঠে তখন উদাস উদাস লাগে। তখনই মন খারাপ করা রোগ দেখা দেয়।