এই হাউয়ার পোলা, নাঈম ভাই তো বাসায়ই আছে। না দেইখ্যা খালি চাপা মারস? কইসি নাঈম ভাইয়েরে, চাপা মারা পোন্দে দিব আইসকা।
অনেক্ষণ আগে জানালায় মুখ এনে মাহবুব জিজ্ঞেস করেছিল আসলামকে
:নাঈম ভাই বাসায় আছে?
আসলাম ওহাব সাহেবের বসার ঘর ঝাট দিচ্ছিল। বিকেলে নাঈম ভাইকে বের হতে দেখেছে সে। কিন্তু ফিরতে দেখেনি। তাই ঝাটা দিতে দিতেই বলেছিল
নাঈম ভাই বাসাত নাই।
আমি সেরা প্রাপ্তির তালাসে মস্তিষ্কের অন্দরে চষে বেড়াচ্ছি। কিছুই তো অর্জন হয়নি এইটুকু জীবনে, তাই প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ কষে নতুন বছরের শুরুতে যদি বা কিছু পাওয়া যায়! তো নতুন বছরের প্রত্যুষে ঘুম থেকে জেগে উঠাটাই আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি। এ যুগের অনেক বিখ্যাত গণক তো আগেই বলে রেখেছিলেন, ২০১২ সালেই পৃথিবী শেষ!
এই স্বল্প জানার পরিধি নিয়েও এমন একটা লেখা ফেঁদে বসার কথা আমার নয়। কিন্তু গত কালকের একটা ঘটনা মনে হলো একটু আলোচনায় আনতে পারলে অন্তত কে কি ভাবছে সেটা জেনেও নিজের দুর্বলতা কিছুটা দূর হবে। লেখাটিকে কেউ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করবেন না আশা করি।
পূর্ব বাংলা বরাবরই এক ঝামেলার জায়গা, হিন্দুস্তানের মহান সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে বাংলার মোগলে আর আরাকানের মগে ব্যাপক যুদ্ধ চলতো। আরাকানের রাজার শাসনাধীন সুন্দরবনে পর্তুগীজ দস্যুর দলও উৎপাত কম করতো না।
পৌরাণিক যুগের শুরুতে দৈহিক শুচিতাই যেন ক্রমে চরিত্রের সংজ্ঞা হয়ে দাড়াচ্ছে।
অতি ক্রুর স্বভাবাপন্ন নর-নারী কোন ক্রমে দৈহিক শুচিতা রক্ষা করতে পারলেই তাঁরা চরিত্রবান আর চরিত্রবতী হচ্ছেন।
সংহিতা যুগে এ পরিবর্তনের গৈরব বহন করেছেন, উদ্দালক ঋষিপুত্র শ্বেতকেতু।
[justify]আজকে আমাদের ব্যাচের পুনর্মিলনী। কত যে পুরাতন মুখের সাথে দেখা হোল। আমাদের কেউই মনে হয় কারো চোখে বদলাইনি। যার সাথেই দেখা হচ্ছিল মনে হচ্ছিল, এইতো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনের ছবির সেই মুখ। কারও একটু দাঁড়িগোঁফ উঠেছে বেশি, কারও মুখে একটু ভারিক্কি এসেছে, কেউ বা আবার আমার মত বিয়ে করে পুরোদস্তুর সংসারী মানুষের দলে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু ওসব তো বাইরের পরিবর্তন। আরে কেমন আছিস?
খুকী তোমাদের কিচ্ছু বোঝে না মা'--