বর্তমান সরকার তৃতীয় বছর পার করে চতুর্থ বছরে পদার্পণের দিন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলে নানা বিশ্লেষণ ও মতামত প্রকাশিত হয়েছে। এসব আলোচনা থেকে অন্তত একটি বিষয় পরিষ্কার- সরকার যেসব সেক্টরে সফলতার পরিচয় দিয়েছে, শিক্ষা তার মধ্যে অন্যতম। একটি জাতীয় দৈনিকের দেশব্যাপী পরিচালিত মতামত জরিপ থেকেও একই চিত্র উঠে এসেছে। দেশের মানুষ সরকারের তিন বছরে অনেক কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেও কিছু কি
যে কোনো পোস্টে ঢুকলে এখন থেকে হাতের বামে সেই পোস্টের মতো পোস্টগুলোর একটা তালিকা দেখতে পাবেন। "আমারে নিবা মাঝি?" শিরোনামের এই তালিকাটি তৈরী করা হয়েছে আপনি যে পোস্টটি পড়ছেন সেই পোস্টে ব্যবহৃত ট্যাগগুলোর সাথে সচলায়তনের অন্যান্য পোস্টে ব্যবহৃত ট্যাগগুলোর মিল থেকে।
এক সময় খুব বালখিল্য কিছু করে ফেললে বা করতে চাইলে বলা হতো; বাংলা সিনেমার মতো । এখন বলা হতে পারে বাংলা নাটকের মতো। বাংলা নাটকের এই বেহাল অবস্থায় যাওয়ার আগে নাটক/ সিনেমা সম্পর্কে আমার অবস্থানটা পরিস্কার করার জন্য আমার দেখা একটা সিনেমার একমিনিটের আলোচনা করে নেই এখানে।
হাফসা বেগম একবার প্রায় চলেই যাচ্ছিল। কি একটা যেন তারে হঠাৎ আটকে দিল। এই জান’টা আসলে কে নিয়ে যায়, কই যায়, আসমানে না অন্য কোনখানে, আজরাইল আইস্যা নিয়া যায় নাকি অন্য কেউ, নাকি এমনিতেই হাওয়া হয়ে উবে যায় কোন একখানে... কতইনা ভেবেছে সে একলা একা। হয়ত খাঁচাটার যখন আর কোন কদর থাকেনা, পৃথিবীর কাছে সে খাঁচা তার, যখন এক নিষ্প্রাণ জড় কাঠ তখন কি বা মুল্য তার, জানটাকে তখনই হয়ত চলে যেতে হয়।
নজমুল আলবাব শুকনো মুখে বেরিয়ে আসে জঙ্গল ছেড়ে। তারপর হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে এসে নৌকায় ওঠে হাঁচড়ে পাঁচড়ে।
বলি, "ছবি তুলতে পাল্লেন কিছু?"
নজমুল আলবাব বিড়বিড় করে কী যেন বলে। সম্ভবত গালি দেয় আমাকে।
বনরক্ষী ফজলু শেখ চুপচাপ বসে ছিলো নৌকার পাটাতনে, আলবাব তাকে বলে, "ভাই পা ধুইতে হবে।"
ফজলু শেখ সংক্ষেপে বলে, "ধুয়ে ফেলেন।"
আজকের দিনটা অনেক বড়, শেষ হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর কোথাও দাওয়াত থাকলে ওর দিনটাকে আরও বড় মনে হয়। আজ ওর সবচেয়ে প্রিয় কলিগ লোরা আপুর মেয়ের জন্মদিন। না এসেও উপায় ছিল না। ঘরভর্তি মানুষ, সবাই কথা বলছে কেউ কারোটা শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। ভিড়, হইচই ওর কোনকালেই পছন্দ না, ইদানীং তো একেবারেই সহ্য করতে পারে না। কথা যা বলে মনে মনে, নিজের সাথে।
ছড়া কাটাকাটি না করে দিয়েই দিলাম একেবারে।
কৈঞ্ছেন্দেহি এইডা কে?
আমি উনাকে বলছি যিনি বদলে যাওয়ার কথা বলছেন। আমি উনাদের বলছি যারা রাজদণ্ড হাতে নিয়ে বসে আছেন। আমি উনাকে বলছি যিনি শুধুমাত্র বুদ্ধি দিয়ে কথা বলেন। আমি উনাদের বলছি যারা ভাষাকে কন্ঠরুধ করেন। বলছি নিজের ভেতর পরিবর্তন না করে কি করে বদলে দেওয়ার কথা বলছেন? নিজের ঘরের মধ্যে দুর্বৃত্তদের আশ্রয় দিয়ে কি করে বদলে দেওয়া সম্ভব?
মাথার ভেতরে এক অদ্ভুত শূন্যতা অনুভব করে। চট করে কিছু মনে পড়ে না। কোথায় আছে কেন আছে বুঝে উঠতে বেশ সময় লাগে। চোখের পাতা খুলতেও কষ্ট হচ্ছে ওর। নিজের শরীরের ওজনও যেন অনুভব করতে পারছে। ধীরে ধীরে সব মনে পড়ে আবার। চোখ খোলে। কিন্তু কিচ্ছু দেখতে পায় না। শুধু নিকষ কাল, একেবারে অন্ধকার, আলোর ছিটেফোটাও নেই কোথাও। প্রচণ্ড ভয়ে আত্না শুকিয়ে আসে। ওরা কি ওকে অন্ধ করে দিয়েছে তাহলে?