- আমাকে কি আপনার বেহায়া মনে হয়?
কাতর স্বরে মতিন বদরুল ভাইকে প্রশ্ন করে।
- ইট ডিপেন্ডস। ফার্স্ট আমাদের জানতে হবে হায়া কথাটার মানে কি? হায়া জিনিসটার মানে জানোস নাকি কেউ?
-ধুরো, আপনে খালি ত্যানা প্যাঁচান। সোজাসুজি বলেন না।
দেশটা ডিজিটাল!
আহা, দেশটা ডিজিটাল!
শেখ হাসিনা মুরগী দ্যাখায়
খাওয়াইতেসে ডাল!
আহা, দেশটা ডিজিটাল!
শেয়ার, তেল আর মরিচ, বাগুন
সব বাজারেই বেজায় আগুন
তাইনা দেখে মোহন বাঁশি
বাজায় আবুল মাল
দাঁত ক্যালায়া কয় টিভিতে
“সিন্ডিকেটের চাল”
আহা, দেশটা ডিজিটাল!
পশ্চিমবাংলার হুগলী জেলার শ্রীরামপুর শহরকে ১৭৫৫ সালে ড্যানিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ডাকা শুরু করে ফ্রেডরিকসনগর। ৯০ বছর চলে ওই নাম, পরে ক্রমাগত লোকসান সইতে না পেরে তারা ১৮৪৫ সালে ইংরেজদের কাছে কুঠি বেচে দিলে শহরের নাম আবার শ্রীরামপুর বহাল হয়। নিচের লিখাটি ১৮৮৮ সালে প্রকাশিত জর্জ টয়েনবির A sketch of the administration of the Hooghly district from 1795 to 1845 বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের কিছু অংশের ভাবান
পশ্চিমবাংলার হুগলী জেলার শ্রীরামপুর শহরকে ১৭৫৫ সালে ড্যানিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ডাকা শুরু করে ফ্রেডরিকসনগর। ৯০ বছর চলে ওই নাম, পরে ক্রমাগত লোকসান সইতে না পেরে তারা ১৮৪৫ সালে ইংরেজদের কাছে কুঠি বেচে দিলে শহরের নাম আবার শ্রীরামপুর বহাল হয়। নিচের লিখাটি ১৮৮৮ সালে প্রকাশিত জর্জ টয়েনবির A sketch of the administration of the Hooghly district from 1795 to 1845 বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
আমাদের মফস্বলে ওই একটিই বাঁধাই ঘর ছিল।
বাঁধাইকর ছিল কালো একটা লোক। শুকনো, অথচ কেমন খানিকটা তেলতেলে লোকটা মোটা ফ্রেমের চশমা পরে সারাদিন মুখ গুঁজে বই সেলাই করে চলত! লোকটার সরু লম্বা আঙুল দেখে সেগুলোকে মায়াবী ভাবার কিছু ছিলনা! কিন্তু কীরকম মায়া করে লোকটা বইয়ের পুরনো মড়মড়ে পাতাও নরম মাংসের মতো সেলাই করে ফেলত! বই যেন না, পুরনো কাপড়! বইগুলোও যেন গলে পড়ে যেত লোকটার হাতে! সুলতা বৌদি আমার চুলে আঙুল দিয়ে বিলি কাটলে যেমন আমার অদ্ভুত আদর লাগত, সেরকম। অথবা সেইবার যখন আমি আর তনি ওদের পোড়ো ভিটের শুকনো ডোবায় পালিয়েছিলাম! তনি কেবল আমার হাত জাপটে ধরে আমার গায়ে হেলান দিয়ে পড়ে ছিল! আর আমি ওকে যতই ধাক্কাই উঠতে চাচ্ছিলোনা, সেরকম!
[justify]দিপু চুপচাপ ডক্টরস রুমে বসে আছে। রাত একটা বাজে। একটু আগে এক রোগী মারা গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার রোগী। বয়স্ক পুরুষ, পঞ্চাশ থেকে ষাটের মধ্যে বয়স হবে। পরনে খাকি রঙের লুঙ্গি, সাদা পাঞ্জাবী। দিপু পরীক্ষা করার সময় খেয়াল করেছে ডান হাতার বগলের দিকে একটা ছোট ছিদ্র আছে। সাদা পাঞ্জাবীর জায়গায় জায়গায় ছোপ ছোপ রক্ত। মাথার দিকে একটা অংশ দেবে গেছে। কপালের অনেকটা জায়গা খুবলে গেছে।
গোয়েন্দা গল্প দিয়ে বইপড়া শুরু হওয়া অন্তত আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন পর্যন্ত একটা নিয়মিত ঘটনা ছিল। গত দেড়দুই দশকে মিডিয়াবাজারের বিবর্তন অনেক কিছুকে পাল্টে দিয়েছে। তাই হয়তো এখন আর গোয়েন্দা গল্পকে মোটাদাগে নিয়মিত ঘটনা বলা নাও যেতে পারে। তবে বাজারে, মানে বইয়ের বাজারে তারা আছেন এখনো বহাল তবিয়তে। সিনেমার বাজারেও। গোয়েন্দা সিনেমা বাংলাদেশে সেভাবে হয় না। সেই সত্তর দশকের শুরুতে মাসুদ রানা, দস্যু বনহুর, কুয়াশা
শিশুর বাসযোগ্য বিশ্ব একটা বিমূর্ত ধারণা। তাই এ বিশ্বে বাসযোগ্য শিশু তৈরীর চেষ্টাতে মনোযোগ দেই আমরা। পরিবেশ সব মানুষের জীবনেই বিশাল প্রভাব ফেলে। শিশুর উপড়ে পরিবেশের প্রভাব আরো বেশী। সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে দলগত ভাবে যে কোন কাজেই মানুষ সব চেয়ে বেশী উৎসাহ ও আনন্দ পায়।
এমন একটা ধারণা থেকেই মিউনিখে বসবাসকারী অভিবাবকদের একটা বাংলাভাষা শিক্ষার স্কুল করতে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছি।
[justify]
আমার একবন্ধু রক্ত এবং চক্ষুদান কর্মসূচিতে গেলে সর্বদাই চক্ষুদান করে আসত, কখনোই রক্তদান করার নাম মুখেও আনতো না। কারণটা বেশ সহজ, রক্তদান করলে সেটা সাথে সাথেই দিতে হবে যে, চোখ দানের ব্যাপারগুলো আসবে মৃত্যুর পরে। হাতে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে আর আচমকা সুঁইয়ের খোঁচাও খেতে হবে না।
কিছু ভাবনার উপরও কী অভিকর্ষের প্রভাব আছে? উপড়ে ছুঁড়ে দিলেও ফিরে আসে কেন? ছায়ার মত পোষা কোন কুকুর হয়ে পিছু পিছু আসে। পোড়া কোন দাগের মত চামড়ার উপর শুয়ে থাকে সমস্ত দিন-রাত! ডুব সাঁতারুর মত মনের তলানি থেকে খুঁজে নিয়ে আসতে চায় ডুবে যাওয়া জাহাজের স্মৃতি চিহ্ন। সেবার সমুদ্রের আঁচলে পা রেখে আমিতো শুধু ওর ভাবনাটুকু রেখে আসছে চেয়েছিলাম, সমুদ্র কেন ফিরিয়ে দিল ওসব?
সালেক খোকন
সরকারি চাকরিতে বদলির ধাক্কা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। নাচোল থেকে হালুয়াঘাট, সেখান থেকে এসেছি দিনাজপুরে। মাঝে মাঝে যেতে হয়েছে নেত্রকোনার প্রত্যন্ত দুর্গাপুরের বিরিশিরিতে। এই অঞ্চলগুলোতে পাড়াভেদে বাস করে তুরি, মুশহর, মাহালি, ভুনজার, সাঁওতাল, মুন্ডা, কড়া, গারো এবং ওঁরাও সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে জানাশোনা হয় তাঁদের সঙ্গে ।