কাব্যের মলিন পাতা খুঁজতে খুঁজতে জীবনের একটা করে অধ্যায় পার হয়ে যায়। চারিদিকে কত কোলাহল। কত তুচ্ছ বিষয় নিয়েই না মেতে আছি কতকাল। কতদিন হল শুভ্রের বন্দনা করিনা, খেয়োখেয়িতে বিষ কামড় বসিয়েই ডাস্টবিনে লড়ে যাচ্ছি অবিরাম। মন্দিরে মসজিদে চার্চে গুরুদোয়ারায় গিয়ে মাথা ঠেকায় ধর্মপ্রাণ মানুষ। কিন্তু সেই নিষ্প্রাণের জন্যই আবার অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরে এটাই তো সময় - আসেন আমরা সবাই পশু হই!!!
এক
গত তিনমাসে আমি একটা পুরো অমানুষ হয়ে গেছি। গাধার মতো খাটতে খাটতে আর ঘোড়ার মতো দৌড়াতে দৌড়াতে আমি যে একটা মানুষ সেটাই ভুলে গেছি। সচল খুলেছি এক-আধবার, একটু চোখ বুলিয়ে সটকে পড়েছি। কতো প্রিয় লেখকের কতো লেখা পড়া হয়নি। তিনমাস ধরে একটা লাইন ও লিখিনি অফিসের মেইল বা মীটিং মাইনুটস ছাড়া...
একটা আস্ত শীতকাল চলে গেলো, একদিন ও লেপের ভেতর ঢুকে গল্পের বই পড়িনি।
সচল সাবরিনা সুলতানা খুবই অসুস্থ। তার মাসকিউলার ডিসথ্রপি আগে থেকেই ছিল। আজ দুপুরে নিউমোনিয়া পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শ্বাসযন্ত্রের পেশিগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। এ জন্যে বিকেলের দিকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঐ যে আকাশে চক্কর কাটছে, ওগুলো কি শকুন?
আসাদুল হক ভাবতে ভাবতে কখন প্রশ্নটা উচ্চারণ করে ফেলেন, নিজেও টের পান না। পাশের চেয়ারে বসে একটা পুরনো ম্যাগাজিনে চোখ বুলাচ্ছিলো আলী সুজা, সে চোখ তুলে তাকিয়ে ঘোঁৎ করে একটা শব্দ করে বলে, "ঢাকা শহরে শকুন আসবে কোত্থেকে?"
ছত্রপতি শুনলে মনে হয় ছাতি মাথায় মানুষ বুঝি। মারাঠি ভাষায় ছত্রপতি অর্থ সম্রাট। সংস্কৃত শব্দ ক্ষেত্র (এলাকা) থেকে ছত্র, সুতরাং ছত্রপতি=ক্ষেত্রপতি=ফিল্ড মার্শাল। মোগল সাম্রাজ্যের মাথাব্যথার কারন হয়ে ওঠা দুর্ধর্ষ মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ ভারতের সকল হিন্দু মৌলবাদীদের কলিজার টুকরা। হিন্দু প্রজানিপীড়নকারী মুসলমান মোগল বাদশার বিপক্ষে তিনি ধারাল হিন্দু তলোয়ার নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। তবে পৃথিবীর অন্যান্য নেতার মতই তার আসল ধর্ম ছিল ক্ষমতা, ক্ষমতার লোভে তিনি যে মোগলের সাথে আজ আড়ি দিতেন কাল তাকেই বুখে আয় বাবুল বলে ডাক দিতেন। শিবাজী প্রতিষ্ঠিত মারাঠা বাহিনী ছিল প্রথম শ্রেণীর গেরিলা যোদ্ধা, সংখ্যায় বৃহত্তর সৈন্যবাহিনীকে ছোট ছোট সুশিক্ষিত মারাঠা দলের হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতিতে নাকাল করতে জুড়ি ছিলনা। ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে, ছেলেবেলায় পড়া কবিতার বর্গী হল এই মারাঠা গেরিলার দল।
সচলায়তনে প্রথম পাতায় একই লেখকের একাধিক লেখা প্রকাশে নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু সচলায়তনে এখন থেকে দ্বিতীয় পাতা বলে কোনো পাতা থাকছে না। স্ক্রল ডাউন করলেই একে একে লেখাগুলো লোড হতে থাকবে।
নাচছে দেখো
যাচ্ছে নেচে
ফাটিয়ে তবলা বায়া;
যাচ্ছে চেনা
মুদ্রা নাচের,
এ যে বিশ্ব বেহায়া!
বহুকাল উপকথা শোনানো হয় না, ইস্কুলবেলার কিস্তিগুলোও থেমে গেছে কবে যেন, এমনি এমনি যা খুশি কথা আর টুকরো কবিতা নিয়ে যে লেখাগুলো নিজে নিজেই আসতো, সেগুলো ও আর আসে না কীবোর্ডে ঠকঠক করলেও। আসি যাই ঘুরে ঘুরে দেখি, লগিনও করি না। একটা কেমন ধূসর ফ্যাকাশে ন্যাড়ামতন দশা। আজ কী ভেবে ঢুকে পড়ে একটা ইঁট পেতে রেখে গেলাম।