সকাল দশটা দশ মিনিট
মাঝে মাঝে যখন হীনমন্যতায় ভূগি, ক্ষমতার লোভ এবং আকাঙ্ক্ষা যখন জেগে ওঠে, তখন মনে হয় সবকিছু ছেড়ে সিয়েঞ্জি ট্যাক্সির ড্রাইভার হয়ে যাই। প্রায়ই মনে হয়, ঢাকা শহরে ক্ষমতাবান একটা পেশার নাম সিয়েঞ্জির ড্রাইভার। রোদ-বৃষ্টি-মেঘলা আকাশ, শীত-গরম-বর্ষা, সকাল অফিস টাইম, দুপুরের জ্যাম, সন্ধ্যার অফিস টাইম, রাত হয়ে গেছে; সব পরিস্থিতিতে সিয়েঞ্জির ড্রাইভাররা রাজা-বাদশা। ‘যামু না’ বলার জন্য
[justify]বঙ্গভাষা/বাঙ্গালাভাষা/বাংলা ভাষা — আমার প্রাণের ভাষা, মুখের ভাষা, মনের ভাষা, বন্ধুর সহিৎ কথা কইবার ভাষা, শত্রুকের গালাগাল করিবার ভাষা, লিখিবার ভাষা, গান গাহিবার ভাষা, আনন্দ বেদনার অশ্রুর ভাষা । হৃদয় নিঙরানো অভিব্যক্তির প্রকাশ যেমন বাংলা ভাষায় করি তেমনি মনে মনে অবিরল ভাবি এই বাংলাভাষাতেই । এইরূপে বাংলা ভাষা আমাদিগের জীবনের অংশ হইয়া গিয়াছে । তথাপি, বাংলাদেশে কেহ কেহ বাংলা ভাষা লইয়া ঠিক গর্ব
০১।
যাব যাব করেই বইমেলায় যাওয়া হচ্ছিল না। টার্ম ফাইনাল বা অন্য কোন কারণে না, স্রেফ অলসতার কারণেই এই ফাঁকিবাজি।
যাহোক, মন্দার প্রভাব কাটিয়ে আজ সকালে মনস্থির করলাম, আজ আর না গেলেই নয়। আমার চেয়ে অবশ্য আমার ছোটভাই ফাহাদের আকুলি-বিকুলি বেশি। সে আমাকে একটা লিস্টি ধরিয়ে দিলো। এই লিস্ট অনুযায়ী বই কিনতে হবে। কোন প্রকার আঁতলামি বা অন্য কিছু গর্হিত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমাদের বাড়ীতে একটা রঙিন টিভি ছিল, সেটাতে শুধুমাত্র বিটিভি চলত। তখনো আমাদের মফস্বল শহরে ডিশ এন্টেনা আসেনি। আমাদের শহরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডিশ আসে সম্ভবত ৯৪-৯৫ সালের দিকে। কিন্তু তার আগে অনেকের বাড়ির ছাদে এরিয়েল টিভি এন্টেনা দেখা যেতো। আমাদের ছাদেও একটা ছিল। মাসিক বিল দেওয়ার ঝামেলা না থাকাতে আমার বাবা মনে হয় এন্টেনা বসাতে কার্পণ্য করেননি। আমাদের ভাইবোনদের কোন দাবী ছিল না যে এন্টেনা বসাতে হবে। স
মেঘ পেরোলেই দেশ
দীর্ঘ ত্রিশ ঘন্টা প্লেনে কাটিয়ে আমার অবস্থা পারলে দরজা খুলে নেমে যাই, এমন সময় প্লেন পৌঁছাল ঢাকার উপরে, অবশ্য তাল তাল মেঘের আড়ালে কিছু দেখার উপায় নেই। শীতের সকালে পুকুরে ঝাপ দিতে গিয়ে ইতস্তত বালকের মত প্লেনটা বার কয়েক সাঁ করে একটু নেমেই আবার উপরে উঠে যাচ্ছিল। একটু পর পাইলটের ঘোষণা, “লো ভিজিবিলিটির জন্য আমরা এখনি নামতে পারছি না, আমাদের কাছে আরো দেড় ঘন্টা উড়ার মত তেল আছে”।
আজকে (১৫-ফেব্রুয়ারী-২০১২) চরম একটা কাজ করলাম। সেইটা বলার আগে একটু পুরানা কাসুন্দি ঘেটে নেই, নাহলে এই কাজটা চরম কাজ হইলো কিভাবে সেটা পুরাপুরি বোঝা যাবে না।
১.
দেশের প্রধান অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ২৪.কম এতদিন শুধু সংবাদ পরিবেশন করত। সংবাদের গ্রহনযোগ্যতা তাদের অন্য নবিশ প্রতিদ্বন্ধীদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো হওয়ায় বিডিনিউজ দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সেক্টরে জনপ্রিয়। কিন্তু খবর প্রকাশের বাইরে ইদানীং কিছুদিন থেকে তাদের মাঝে ইন্টারনেট নিয়ে সরকারকে উপদেশ দেওয়া টেওয়াটা একটু চোখেই লাগছে আমার। অবশ্য এই প্রবণতা নতুন নয়, এদেশে কেউ একটু সাফল্য পাওয়া মাত্রই নিজেকে সর্বেসর
[justify]তোমরা কেউ হয়তো জানো না, ক্লান্তির ভারে ন্যুজ্ব ঘোলাটে এই শহরের এককোণে এক বৃদ্ধ গল্পকুহকিনীর বাস ছিলো। কেউ জানতো না, কেউ তাকে কোনোদিন দেখেনি। দেখবে আর জানবে কী করে? দেখা দিলে তো। সে কখনও কাউকে দেখা দিতো না। সে যে কোথায় থাকতো তাও ছিলো অজ্ঞাত। শহরের ছাপোষা মানুষগুলোর কাছে সে ছিলো রূপকথা মাত্র।
১।
হাতের কাছে কোনো বাংলা ব্যাকরণ বই নেই। তবে ছোটবেলায় বাংলা ব্যাকরণের যে সংজ্ঞা মুখস্থ করতে হয়েছিলো তা হয়তো সবার এখনো মনে আছে-
যে পুস্তক পাঠ করিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে, পড়িতে ও বলিতে পারা যায় তাহাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
খেয়াল করে দেখুন- শুধু বাংলায় লেখা-পড়া নয়; যে বই পড়ার ফলে আমরা শুদ্ধরূপে আমাদের ভাষায় কথাও বলতে পারি তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।