০১।
যাব যাব করেই বইমেলায় যাওয়া হচ্ছিল না। টার্ম ফাইনাল বা অন্য কোন কারণে না, স্রেফ অলসতার কারণেই এই ফাঁকিবাজি।
যাহোক, মন্দার প্রভাব কাটিয়ে আজ সকালে মনস্থির করলাম, আজ আর না গেলেই নয়। আমার চেয়ে অবশ্য আমার ছোটভাই ফাহাদের আকুলি-বিকুলি বেশি। সে আমাকে একটা লিস্টি ধরিয়ে দিলো। এই লিস্ট অনুযায়ী বই কিনতে হবে। কোন প্রকার আঁতলামি বা অন্য কিছু গর্হিত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আমাদের বাড়ীতে একটা রঙিন টিভি ছিল, সেটাতে শুধুমাত্র বিটিভি চলত। তখনো আমাদের মফস্বল শহরে ডিশ এন্টেনা আসেনি। আমাদের শহরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডিশ আসে সম্ভবত ৯৪-৯৫ সালের দিকে। কিন্তু তার আগে অনেকের বাড়ির ছাদে এরিয়েল টিভি এন্টেনা দেখা যেতো। আমাদের ছাদেও একটা ছিল। মাসিক বিল দেওয়ার ঝামেলা না থাকাতে আমার বাবা মনে হয় এন্টেনা বসাতে কার্পণ্য করেননি। আমাদের ভাইবোনদের কোন দাবী ছিল না যে এন্টেনা বসাতে হবে। স
মেঘ পেরোলেই দেশ
দীর্ঘ ত্রিশ ঘন্টা প্লেনে কাটিয়ে আমার অবস্থা পারলে দরজা খুলে নেমে যাই, এমন সময় প্লেন পৌঁছাল ঢাকার উপরে, অবশ্য তাল তাল মেঘের আড়ালে কিছু দেখার উপায় নেই। শীতের সকালে পুকুরে ঝাপ দিতে গিয়ে ইতস্তত বালকের মত প্লেনটা বার কয়েক সাঁ করে একটু নেমেই আবার উপরে উঠে যাচ্ছিল। একটু পর পাইলটের ঘোষণা, “লো ভিজিবিলিটির জন্য আমরা এখনি নামতে পারছি না, আমাদের কাছে আরো দেড় ঘন্টা উড়ার মত তেল আছে”।
আজকে (১৫-ফেব্রুয়ারী-২০১২) চরম একটা কাজ করলাম। সেইটা বলার আগে একটু পুরানা কাসুন্দি ঘেটে নেই, নাহলে এই কাজটা চরম কাজ হইলো কিভাবে সেটা পুরাপুরি বোঝা যাবে না।
১.
দেশের প্রধান অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিডিনিউজ২৪.কম এতদিন শুধু সংবাদ পরিবেশন করত। সংবাদের গ্রহনযোগ্যতা তাদের অন্য নবিশ প্রতিদ্বন্ধীদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো হওয়ায় বিডিনিউজ দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সেক্টরে জনপ্রিয়। কিন্তু খবর প্রকাশের বাইরে ইদানীং কিছুদিন থেকে তাদের মাঝে ইন্টারনেট নিয়ে সরকারকে উপদেশ দেওয়া টেওয়াটা একটু চোখেই লাগছে আমার। অবশ্য এই প্রবণতা নতুন নয়, এদেশে কেউ একটু সাফল্য পাওয়া মাত্রই নিজেকে সর্বেসর
[justify]তোমরা কেউ হয়তো জানো না, ক্লান্তির ভারে ন্যুজ্ব ঘোলাটে এই শহরের এককোণে এক বৃদ্ধ গল্পকুহকিনীর বাস ছিলো। কেউ জানতো না, কেউ তাকে কোনোদিন দেখেনি। দেখবে আর জানবে কী করে? দেখা দিলে তো। সে কখনও কাউকে দেখা দিতো না। সে যে কোথায় থাকতো তাও ছিলো অজ্ঞাত। শহরের ছাপোষা মানুষগুলোর কাছে সে ছিলো রূপকথা মাত্র।
১।
হাতের কাছে কোনো বাংলা ব্যাকরণ বই নেই। তবে ছোটবেলায় বাংলা ব্যাকরণের যে সংজ্ঞা মুখস্থ করতে হয়েছিলো তা হয়তো সবার এখনো মনে আছে-
যে পুস্তক পাঠ করিলে বাংলা ভাষা শুদ্ধরূপে লিখিতে, পড়িতে ও বলিতে পারা যায় তাহাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
খেয়াল করে দেখুন- শুধু বাংলায় লেখা-পড়া নয়; যে বই পড়ার ফলে আমরা শুদ্ধরূপে আমাদের ভাষায় কথাও বলতে পারি তাকে বাংলা ব্যাকরণ বলে।
সেদিন সকালে নাশতার টেবিলে বসে দেখি পেপার নাই। হকার দিতে ভুলে গিয়েছে। প্রিয় দুই বড় ভাইয়ের কালের কণ্ঠের ক্রীড়া পাতায় সাংবাদিক হিসেবে থাকার সুবাদে প্রথম থেকেই আমাদের বাসায় কালু পত্রিকা চলে আলুকে বাদ দিয়ে। যাই হোক, সকালে উঠে আমি কালের কণ্ঠ পত্রিকা না পেয়ে মন খ্রাপ করলাম, আমার মনে হলো সকালে পেপার না পড়লে দিন শুরু করলে সেটাকে দিন না বলে অন্যকিছু বলা উচিত।
শুরুতেই বলি আমার কৌ্তুহল বা জানার ইচ্ছা কোনটাই জার্মান দুষ্টু ব্যাটা ফস্টাস এর মত না। যারা ফস্টাস এর নাম শোনেননি তাদের জন্য অল্প একটু বলি। এই ব্যাটা জ্ঞানের বিনিময়ে শয়তানের কাছে তার আত্মা বিক্রি করে দিয়েছিল। আমি বড় জোর শয়তানের কাছে নিজের দেহটা বিক্রি করতে পারি (শয়তান নাকি সবসময় রূপসী রমনী রূপেই আসে!) এর বেশি কিছু না।কিন্তু তারপরো ছোট থাকতে আমার কৌতুহলের অন্ত ছিল না।আব্বুর দাড়ি কেমনে গজায় থেকে শুরু করে কারেন্ট কি জিনিস বুঝার জন্য টেবিল ফ্যানের শক খাওয়া কোনটাই বাদ দেই নাই।