Archive - ফেব 2012 - ব্লগ

February 28th

১০১টা ছবির গল্প-সাত, আলহামরা প্রাসাদ

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০২/২০১২ - ১২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লাল ইটের একটা বাড়ির দিকে আঙুল তুলে হান্নান ভাই বলেন, “বুঝলেন্নি মুস্তাফিজ ভাই, ঐগুলান সব মুসলমানরা বানাইছে।” সেদিকে তাকিয়ে জিনিসটা কী ঠিকমতন ঠাহর করার আগেই তা পাহাড়ের আড়ালে চলে গেলো। আমি বললাম, বুঝলাম না, মানে দেখতে পেলাম না। উনি হি হি করে হাসতে হাসতে এক্সিলেটরে আরো জোরে চাপ দেন। দুপাশের পাহাড়, তার মাঝে মাঝে জলপাইয়ের বাগান, একটা দুইটা বাড়ি আরো দ্রুত আমাদের ছেড়ে যেতে থাকে। হান্নান ভাইয়ের ছোট্ট কনভার্টেবল তার সর্বোচ্চ গতিতে ছুটে চলে গ্রানাডার দিকে। বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দের সাথে ভেসে আসে হান্নান ভাইয়ের গলা “আপনি শুধু রাস্তায় স্পিড ক্যামেরা খেয়াল কইরেন।”


| চতুষ্পদী কষ্টগুলো… |০৬-১০|

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ১১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(০৬)
ভেজা হাতে ডাকি নি তোমায়-
সাঁতার জানো না বলে;
পুকুর শুকিয়ে কাঠ-
তবুও আসো নি তুমি জলের ভয়ে !


১ মার্চ ভারত বনধ, আগতপ্রায়, আপনি কি প্রস্তুত ?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৭:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মানুষ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কিছুকাল আগে থেকেই দেশোদ্ধারের যে নেশায় আচ্ছন্ন হয়েছিলাম তা অনেক কিছু দেখেশুনে এত দিনের ব্যবধানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছিলো।

এই সুন্দর পৃথিবীতে অনেককাল কাটিয়ে আমি এখন প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসে পৌঁছেছি। বৈষয়িক কর্মকান্ডে তেমন আর একটা জড়িত নই তাই আছে অখন্ড অবসর।


ভুলে গেছি যেই আঘাত অনায়াসে

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৭:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা জাতি হিসেবে অনেক কৃতিত্ব এর দাবীদার, আমরা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি, স্বাধীনতা যুদ্ধ করে অর্জন করেছি, স্বৈরশাসক এর পতন ঘটিয়েছি তরুণ রক্ত দিয়ে, জাতি হিসেবে আমরা বীরের জাতি, এই দাবি করতেই পারি। কিন্তু একটা দাবি আমরা করিনা, সেটা কি?


February 27th

নামের বাহার, বাহারী নাম, ফরমুলাতে, ফেলেছি ঘাম! - ৩

রাগিব এর ছবি
লিখেছেন রাগিব (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৩:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বাহার () ()
সন্তানের নামের মধ্যে পিতার নাম জুড়ে দেয়াটার চল সারা বিশ্বের বহু জায়গাতেই আছে। যেমন, অমুক বিন তমুক, সমুক বিনতে জমুক, ইত্যাদি। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সাম্য দেখা যায় স্পেন এবং পর্তুগালের নাম পদ্ধতিতে।

স্পেনে প্রচলিত নামপদ্ধতিটি চমৎকার। নামের প্রথম অংশটি হবে ব্যক্তির নিজস্ব নাম। আর শেষের দিকে থাকবে পিতার বংশগত নাম এবং মাতার বংশগত নাম।

ধরা যাক, স্পেনের অধিবাসী এদুয়ার্দো ফার্নান্দেজ গারিদো এবং তার স্ত্রী মারিয়া ডলোরেজ মার্টিনেজ রুইজ এর সন্তান হলো, তার নাম রাখা হলো পাবলো। এই পাবলোর পুরা নাম কী হবে?


হাকুল্যা

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৩:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খাওয়াদাওয়ায় অনাগ্রহী লোক আমার অপছন্দ। দাওয়াতে গেলে মন ভরে খাবে, বুফেতে গেলে খেয়ে পেট উচা করে ফেলবে, হাঁটতে বেরুলে চোখ রাখবে আশেপাশে নতুন দোকান খুলছে কিনা, কাজে বেরুলে কাজ সেরে আসার সময় কোন তেলে ভাজার দোকানে ঢুকে পড়বে, নতুন জায়গায় গেলে ওখানকার সবচেয়ে রসনাময় খাবার দোকানের নাম জানতে চাইবে, তেমন লোকই আমার পছন্দ। তেমন লোকেরা ভদ্রলোক হয় না সচরাচর। আমার বন্ধু তালিকায় ভদ্রলোকেরা তাই নিতান্তই অপ্রতুল। যে স


জাতীয়তাবাদ একটি ধর্মের নাম

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৫:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশীরা ধর্মভীরু। ইসলাম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ও জাতীয়তাবাদ নামক ধর্মগুলোর প্রতি বাঙ্গালীর দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। আমরা যারা মুক্ত-চেতনাকে প্রয়োজনীয় মনে করি, যুক্তিকে ধর্মের ওপরে স্থান দেই তাদের অনেকেই ধর্মের মতই সামনে আসা অন্যান্য প্রতিটি ধারনা ও প্রস্তাবনাকেই যুক্তি দিয়ে বুঝতে চাই, খতিয়ে দেখতে চাই। এই অবস্থান থেকে অন্ধ ধার্মিকের অনেকগুলো সমস্যা আমাদের চোখে পড়ে। যেমন ধর্মের প্রতি নিঃশর্ত বিশ্বাস


নটে গাছটি মুড়োলঃ গরীব বামুন

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: সোম, ২৭/০২/২০১২ - ৩:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৮৮৩ সালে প্রকাশিত রেভারেন্ড লাল বিহারী দে রচিত Folk Tales of Bengal বইতে গ্রামবাংলার কিছু লোককাহিনী পাওয়া যায়। সেই লোককাহিনী নিয়ে সিরিজের আজ প্রথম পর্ব, গরীব বামুন।
….........................................................

এক ছিল গরীব ব্রাহ্মণ, তার এক বউ আর চার বাচ্চা। ভারি গরীব সে, খাওয়া জুটতো না তার। নিজের সহায় সম্পত্তি বলে কিছু ছিলনা, বড়লোকের দেওয়া দানের পয়সাতেই তার দিন চলতো। কারো বিয়েশাদী কি শ্রাদ্ধ থাকলে তার মেলা ইনকাম হত, কিন্তু দুঃখের বিষয় লোকে নিয়মিত বিয়ে করতো না আর প্রতিদিন দুচারটে লোকও মরতোনা। তাই বড় কষ্টে ছিল সে। বউ তাকে দিনে দুইবার আকাইম্মা বলে ঝাড়ি দিত, বাচ্চাগুলি ক্ষিধের জ্বালায় ঘ্যানঘ্যান করতো কানের পাশে। কিন্তু সে গরীব হলেও লুক ভালো, প্রতিদিন ঘড়ি ধরে পূজাপাঠে তার কামাই ছিলনা। সে ছিল শিবের সঙ্গী দেবী দূর্গার পূজারী। লাল কালিতে দেবী দুগগার নাম একশ আটবার না লিখে সে জলস্পর্শ করতো না। সারাদিন কথায় কথায় সে দেবী দূর্গার নাম মুখে নিত।


February 26th

খাবনামা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ২৬/০২/২০১২ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুরনো বই-খাতা, খবরের কাগজ আর ম্যাগাজিনের বিনিময়ে আপা কড়কড়ে দশ টাকার নোটের সাথে বাড়তি যেটুকু কটকটি পেয়েছিলো আমাদের বাকি তিন ভাই-বোনের চোখ ছিল সেদিকে। কিন্তু আপার চোখ ছিল কটকটিওয়ালার টুকরির পুরনো অন্য বইগুলোর দিকে। সেখানে হাত বাড়িয়ে আপা একটা মলাট ছেঁড়া বই তুলে নিল, নাম - মোহাম্মদী খাবনামা। বইটা কিসের তাই বুঝতে পারলাম না। আপা বইটা নিতে আগ্রহী কিন্তু তার জন্য টাকা দিতে আগ্রহী না। কটকটিওয়ালা টাকা না দিলে কটকটি দেবে না, তাতে আমাদের তিন জনের আপত্তি আছে। আপার জেদের কাছে আমাদের আপত্তি পাত্তা পায় না। অতএব লোভনীয় কটকটির বদলে আমরা মোহাম্মদী খাবনামার মালিক হলাম। বইটা খুলে দেখা গেলো সেখানে ফালনামা আর হরকতে বদন নামের দুটো বড় অধ্যায় আছে। এগুলো কোনটারই মাথামুন্ডু বুঝলাম না। যে জিনিস বুঝিই না তার জন্য কটকটি হাতছাড়া করার কী মানে! আপা বুঝিয়ে দিলো স্বপ্নে আমরা যা দেখি তার অর্থ জানা যায় খাবনামা থেকে। হরকতে বদন মানে হচ্ছে গায়ের কোথায় তিল থাকলে কী হয়, শরীরের কোন অংশ আপনা থেকে কেঁপে উঠলে কী হয়, কারো আকৃতি আর চেহারা দেখে বুঝতে পারা সে কেমন লোক ইত্যাদি। ফালনামার অর্থ আপাও ঠিক বুঝতে পারেনি।