(দেখতে দেখতে নতুন বছরের একটা মাসও শেষ হয়ে গেল, ফেব্রুয়ারি চলে আসলো। ফেব্রুয়ারি মানেই বই মেলা, ফেব্রুয়ারি মানেই একুশে... তবে এই বছর হাজার মাইল দূরে থাকার কারণে দেখা হবে না তার অনেক কিছুই। যাই হোক, পুরনো অসমাপ্ত লেখা ঘাঁটতে গিয়ে একটা কবিতা পেলাম। অনেক অনেক পছন্দের শহর ঢাকার এক শীতের রাতে এই কবিতার শুরু হয়েছিল। কবিতাটি নিয়ে বেশ কিছুদিন নাড়াচাড়া করে অবশেষে এই রূপে দাঁড়ালো সেটা...
বইকে ঘাসপাতার সাথে তুলনা করা ঠিক হবে না। কিন্তু বইয়ের পৃথিবীর একটা মডেল যদি আমরা করি, তার সাথে ঘাসপাতার মডেলের অনেক সাদৃশ্য থাকবে।
পাঠকদের ঘাসপাতাখোর ডাকার স্পর্ধা আমার নাই। কিন্তু মডেলের দুনিয়ায় বইখোর আর ঘাসপাতাখোরের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে।
মনটা বড়ই বিষন্ন। গত সন্ধ্যায় টিভিতে দেখলাম, গুলশান লেকপাড়ের বস্তি ভাঙার দৃশ্য আর বস্তিবাসীদের হা-হুতাশ। বস্তি ভাঙার সময় টিভি ক্যামেরার সামনে বস্তিবাসীদের কেউ কেউ অনুযোগ করে বলছেন, এইযে লেকের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মিত হয়েছে, সেগুলো কেন ভাঙা হচ্ছেনা ? সেগুলো আগে ভাঙা হোক তারপরে নাহয় আমাদেরগুলো...।
গায়ের রং নিয়ে তীব্র মাথাব্যথা না থাকলেও ইদানিং বিভিন্ন কারণে কেমন জানি একটা চিনচিনে অনুভুতি মনের ভিতর উঁকিঝুকি দিয়ে যাচ্ছে । এই চিনচিনে অনিুভুতিটাই হঠাৎ সেদিন কিছুটা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে কাজের মেয়েটার কথায় । বেশ কয়েক বছর ধরেই মেয়েটা আমাদের এখানে আছে তবে তার কোনো কিছুর জন্য আবদার খুব একটা নেই । দিন কয়েক আগে টিভি দেখছিলাম । হঠাৎ একটা বিজ্ঞাপন দেখে আমাকে বলল, আমার না খুব শখ এই জিনিসটা কেনার । আমি তার দিকে তাকালাম সে তা ভ্রুক্ষেপ করল না । কারণ গভীর মনোযোগের সাথে দৃষ্টি তার টিভির পর্দায় নিবদ্ধ ।
দুপুরের রোদের বিশ্রামের যাওয়ার সময়টি আজ খুব কাছ থেকে দেখতে থাকি। তিনটা পার হয়ে যাচ্ছে। জানালার গ্রিলে চুমু দিয়ে ঢুকে যাওয়া রোদ এখন চেয়ারে গা এলিয়ে দিচ্ছে। অথচ কিছুক্ষণ আগে দোর্দন্ড প্রতাপে সমস্ত টেবিল জুড়ে আদর বিলিয়ে যাচ্ছিল। আজ কোনো ব্যাচ আর পড়তে আসবে না। কিছুক্ষণ আগে না করে দিয়েছি ছাত্রদের। আজ শুধু রোদের বিশ্রাম দেখব।
এবং যথারীতি- আইডিয়া ও নামকরণ- হিমু ভাই।
(দশ শব্দের সীমা পূরণের চেষ্টায় আরও এক লাইন লিখতে হলো। )
[এইটা একটা ফাঁকিবাজি পর্ব]
আর কথা খুঁজে পায় না। চুপ হয়ে যায় দু'জনেই, বেশ কিছুক্ষণের জন্যে। বেশ অস্বস্তিকর নীরবতা বেশ কিছুক্ষণ। এদিকে মনে মনে অস্থির হয়ে উঠছে হেলাল। একবার ঘড়ির দিকে তাকায়। বেশী সময় আর হাতে নেই। আরও ছোটখাট কিছু কাজ এখনও বাকি রয়ে গেছে।
ভ্রমণ করতে খুব ভাল লাগে আমার, সেই যে এস এস সির পরপরই প্রথম বাড়ীর বাইরে অভিভাবক ছাড়া বন্ধু উদয় শঙ্করের সাথে বাহির হয়েছিলাম দক্ষিণ বঙ্গ দেখতে, দুচোখ ছাপানো বিস্ময় নিয়ে দেখেছিলাম খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, পশুর নদীর জোয়ারভাঁটা, দক্ষিণ ডিহিতে কবিগুরুর শ্বশুরবাড়ি, ষাট গম্বুজ মসজিদ, দুর্গা সাগর, ভ্যান গগের হলদে তুলির পরশ বোলানো মাইলের পর মাইল বিস্তৃত পাকা ধানের ক্ষেত, অপূর্ব সুন্দর গ
অবগাহন
ম্যাডোনা থেকে স্টিভ জবস কেন এসেছিলেন এ শহরে?
কিসের আশায় সকলেই এখানে ভিড় জমায়?
কেন ভূবন বিখ্যাত মানুষ গুলো এখানেই ঘুরতে আসে?
এখানে গঙ্গার পবিত্র জলে অবগাহনে কিসের শান্তি?
আমাকে সিটি অব লাইট ডাকছে। আমাকে যেতেই হবে। তাই এবারের আমার গন্তব্য বারণসী।
হাঁপ ধরে যায় যন্ত্র হলে, যন্ত্র হলে টের পাওয়া যায় জীবন মানে যান্ত্রিকতায় তোমার আমার ভুল হয়ে যায়; ভুল হয়ে যায় বলেই বোধহয় থমকে গেলে আর চলেনা সাড়া দেয়া, নাচেনা আর কাঠবেরালি, খরগোশেরা বন্দী এখন কারাগারে, সব ফুলেরা পালিয়ে গেছে শহর ছেড়ে; সবাই পালায়। পালাতে পালাতে অস্থির হয়ে গেছে জারুলেরা সব -- পাখীদের মত ডানাময় পাপড়ি, খসে যেতে যেতে, যেতে যেতে, কেবলই জেনে যায় -- এর চেয়ে ঝড় ভালো!