বাংলাদেশের এই ফাটাফাটি বিজয়ের দিনে খুশিতে কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। খুশির চোটে বিনা কাপড়ে ঘরের মাঝে এক পাক নেচে নিলাম (আহেম!)। কিন্তু তাতে কী আর এমন উস্তুম-কুস্তুম আনন্দের অবসান হয়?!!
মিশন ইম্পসিবল মুভির থিম সং নিয়ে বেশ আগে একটা কাজ করেছিলাম। সেইটা আমার সাউণ্ড সিষ্টেমে সজোরে চাপিয়ে দিলাম।
এখন পুলিশ না আসা পর্যন্ত এইটাই বাজতে থাকবে আমার ঘরে--সোল্লাসে, সজোরে---
সমতলের পদ্মাপারের মানুষ, কষ্ট করে ঘাম ঝরাতে এসেছি পর্বতে চড়তে, ফ্রান্সের আল্পসে। চড়াই-উৎরাই ডিঙ্গানোতে সেবারের মতো ইতি টেনে অতি ক্লান্ত পেশীগুলোকে বিশ্রাম দিতে আস্তানা গেড়েছি আল্পসের কোলে প্রকৃতির মাঝে এক পাহাড়ী শহর শবেরিতে, পুরনো অভিযাত্রার সঙ্গিনী হেলেনের বাড়ীতে।
[justify]
পোর্ট অফ স্পেন ফিরে এলো মীরপুরে।
পাঁচ বছর আগের ২০০৭ এর ১৭ মার্চে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই প্রয়াত অলরাউন্ডার মানজারুল রানার মৃত্যুশোকে আচ্ছন্ন বাংলাদেশ বলেকয়ে করেছিলো ভারত বধ। মীরপুরের উইকেটে ভারতের ২৮৯ রানের সংগ্রহ বাংলাদেশ টপকে গেলো চার বল আর পাঁচ উইকেট ব্যব্হার না করেই।
এটা সচলে আমার প্রথম লেখা। বুকটা একটু ধুকপুক করছে। নীড়পাতায় জায়গা পাবে তো? তার ওপর একটা সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া। একটু চাপা টেনশন হচ্ছে। প্রথমেই একটু গৌরচন্দ্রিকা সেরে নেই। "পালকি" ব'লে একটা অনলাইন ম্যাগাজিনে মাহবুব আজাদের একটা সাক্ষাৎকারে প্রথম জানতে পারি সচলায়তনের কথা। তারপর থেকেই সচলের সঙ্গে আমার প্রেম। এবং গুগুল ক্রোমে হোমপেজীকরণ।
“আরে শালা , তুই হচ্ছিস একটা ইন্টার পাশ করা ইডিয়ট , উত্তরাধিকার সূত্রে যদি এই কোম্পানির এম ডি না হইতি তাইলে তো এই কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ডের চাকরিটাও তো ঘুষ দিয়ে পাইতি না , বুরবাক একটা!
[justify]পড়া এবং লেখা, এই ছাড়া আমার কোন কাজ নেই এই দুনিয়ায়। যারা আমাকে খুব বইপোকা ধরনের মানুষ ভাবছেন, তাদের আমি নিশ্চিত করেই বলতে চাই, আসলেই আমি তাই। খুব অন্তর্মূখী একজন মানুষ। আমার জীবনটাও বইয়ের পাতার মত। আলতো চোখে তাকালে মনে হলে, কাগজের উপর কিছু ছাপানো অক্ষরের মত নিস্তরঙ্গ জীবন, বইটা হাতে নিয়ে পড়তে বসলে তখন মনে হবে, এই পাত নিস্তরঙ্গ জীবনের মাঝে কত অবাক করা ব্যাপার লুকিয়ে আছে। আমায় জিজ্ঞেস করলে বলব, জীবনটা সুন্দর! সারাটা দিন আমি দুটো জিনিসের সাথে সম্পৃক্ত থাকি, বই আর ইন্টারনেট। সাথে কফির কাপ। আমার মাথায় থাকে কয়েকটি প্রশ্ন, সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করাই আমার কাজ। এভাবে সারাটাদিন চলে যায়, জানালার পাশে সকাল-বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে, আমার কারোর সাথে কথা হয় না। যখন মাথাটা কাজ করেনা, কফির কাপ হাতে চলে যাই ল্যাবের পাশের বারান্দায়। খোলা আকাশ, বাতাস, রোদ্দুর, অথবা নীচে জলের মৃদু তরঙ্গ দারুণ লাগে। আমি সূর্যের আলোর দিকে তাকিয়ে দেখি, কোনদিনই এই আলোটা বিবর্ণ হয়, পুরোনো হয় না। প্রতিদিন নতুন করে এসে হাজির হয়। আমার ছায়ার দিকে তাকিয়ে দেখি, ছায়ায় জীবনে কি নতুনত্ব এসেছে একটু? সারাটাক্ষণ এভাবে নিজের সাথে, বই এর সাথে কথা বলে দিন কেটে যায়। হডজকিন-হাক্সলির মডেল নিয়ে পড়ছি, কোন ফাঁকে হয়ত তাদের নোবেল লেকচারের ফাইলটা খুলে ফেলেছি। চোখ মেলে মডেলের পিছনের মানুষটাকে দেখার চেষ্টা করছি, দেখছি তাদের শ্রমটাকে। এমন একটা মানুষ, যার সামাজিক যোগাযোগ বলতে দুয়েকটা স্ট্যাটাস, ব্লগে বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি, ক্লাস আর ল্যাবে আসা যাওয়ার পথে কয়েকজন সহপাঠীর সাথে কুশল বিনিময়ে সীমাবদ্ধ, তাকে কি বলবেন? অন্তর্মূখী নাকি অসামাজিক?
[i]দুই হাজার এক সনে প্রফেসর রিচার্ড সাটন (Richard Sutton) কিছু ব্লগ লিখেছিলেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (কৃবু) শাখা রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং গবেষণার অন্যতম প্রবর্তক। চিন্তার গুরুত্বের কারণে অনেক কৃবু গবেষকের মাঝে ব্লগগুলো সমাদৃত। ইতোপূর্বে জর্জিয়াটেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষার প্রশ্নে (PhD Qualifying Exam) ওনা
[i]দুই হাজার এক সনে প্রফেসর রিচার্ড সাটন (Richard Sutton) কিছু ব্লগ লিখেছিলেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (কৃবু) শাখা রিইনফোর্সমেন্ট লার্নিং গবেষণার অন্যতম প্রবর্তক। চিন্তার গুরুত্বের কারণে অনেক কৃবু গবেষকের মাঝে ব্লগগুলো সমাদৃত। ইতোপূর্বে জর্জিয়াটেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষার প্রশ্নে (PhD Qualifying Exam) ওনা
মানুষের জীবন কি এই কিছু জিনিসের মধ্যে পড়ে? প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন করতে হয়, মানুষটা কি বাংলাদেশের? যদি বাংলাদেশের হয়, তাহলে আর "কিছু জিনিস" নয়, সে চলে যাবে "বাকি সবকিছু"র খাতে।