কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মুসলমান খণ্ড—৫
সুফিয়া কামাল রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে একটি কবিতা লিখে পাঠিয়েছিলেন। ১৩৪৪ বঙ্গাব্দের বৈশাখে। কবি তখন আলমোড়ায়। কবি সুফিয়া কামালকে কয়েকটি লাইন লিখে পাঠালেন—
বিদায়-বেলার রবির সনে
বনশ্রী তার অর্ঘ্য আনে
অশোক ফুলের বরুণ অঞ্জলি।
আভাস তারই রঙিন মেঘে
শেষ নিমিষে রইল লেগে
রবি যখন অস্তে যাবে চলি।
অজপাড়া গাঁয়ে থাকি আমি। সন্ধ্যায় হারিকেন আর কুপির আলোয় আলোকিত হয় গ্রামের প্রতিটি পরিবার। রাতের নির্জনতা এখানে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে গভীর হয়। শিয়ালের দল হুক্কাহুয়া শব্দে লুকোচুরি খেলে গম ক্ষেতের আড়ালে। বাতাসে লুটোপুটি খেয়ে বাঁশ ঝাড়ে একটি আরেকটির উপর আছড়ে পড়ে সৃষ্টি হয় আদি ভৌতিক শব্দ। ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ভর করে ভেসে আসে হুতুম পেঁচার ডাক। ভোরে মুয়াজ্জিনের আহবান ও পাখির গানে জনপদ জেগে উঠে। আলো আধারীতে মাটির ক
বিগত বছরের কাজের হিসাব এবং এই বছরে কি কি কাজ করতে হবে, সেটা নিয়ে ম্যানেজারের সাথে ঘন্টা দু'যেক বৈঠক। গতবছরের হিসেবে সবই সবুজ বাত্তি। তারপরও ম্যানেজারের ভাবসুলভ কিছু কিন্তু বলতেই হবে ভেবে উনি আমার কিছু নেগেটিভ ব্যাপার উল্লেখ করলেন। প্রথম কিন্তু, আমার জার্মান ভাষার উপর অদক্ষতা। উত্তরে বল্লাম, ঐটা এই জনমে আমাকে দিয়ে হবে না। দ্বিতীয় কিন্তু, আমি মিটিংয়ে কথা (আর্গুমেন্ট) কম বলি। উত্তরে হেসে পাল্টা প্রশ্
একটা খবর পড়ে ভালই লাগলো। সরকার সংসদে বলছে বাংলাদেশে এখন ৯৯’৪৭ শতাংশ বাচ্চা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু এটা কততুকু সত্য সেটা নিয়ে একটু সন্দেহ আছে। আশেপাশের অবস্থা দেখে তেমন টি মনে হয় না। তবুও আশাবাদি হতে ভাল লাগে, ১০০ শতাংশ হলে আর ভাল লাগত। এবারের সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল টা অবশ্য আশাপ্রদ......।
বড় হইতে হইলে হয় অতীত ভুলিয়া গিয়া নবজীবন লাভ করিতে হয়, নতুবা অতীতের পশ্চাদদেশে পদাঘাত করিয়া সম্মুখে আগাইয়া যাইতে হয়। আমি দ্বিতীয়টা বাছিয়া লইয়াছিলাম। ফলাফল- ছিলাম নৌকার মাঝি, হইয়া পড়িলাম জাহাজের সারেং। পুরাতন মাঝিমাল্লা বন্ধুদের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করিয়া নতুন জীবনের স্বাদ লইতে লইতে নিজের নাম আর বাপের নাম বাদে বাকী সব ভুলিয়া গেলাম। আমার এখন নিত্য ওঠাবসা জাহাজওয়ালাদের সাথে।
[justify]ভোরবেলা পুকুর ঘাটে এসে মধুসূদন বাবু হকচকিয়ে গেলেন।
ঢাকা শহরে হোটেলগুলি একটি অলিখিত রুটিন মাফিক চলে। ভোরবেলা পাঁচটার দিকে সবাই হঠাত ঝাঁপ খুলে রুটি বেলতে বসে যায়। হালকা সবজি রান্না চলে পিছনে, সামনে বিশাল ব্যাসের ফ্ল্যাট কড়াইতে পাশাপাশি ভাজা হয় পরোটা আর ডিম। বেশুমার পরোটা ভাজি ডিম সবজি আগের রাতের মাংসের তরকারি উড়ে যায় মিনিটে মিনিটে। দশটা বাজে। এইবার সকলে শুরু করে গণ সিঙ্গাড়া ভাজা। আচমকা দোকানের সামনে ঝুড়ি উপচে সঙ্গাড়া সমুচা হাজির হয়। রামপুরার আবুল হোটেল অথবা নীলক্ষেতের চিপা দোকান, সায়েদাবাদ অথবা মীরপুর যেখানেই থাকুন দুপুর এগারোটায় হোটেলে গেলেই দেখবেন ঝুড়িভর্তি সিঙ্গাড়া ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। এই সিঙ্গাড়ারা সকাল দশটার আগে অনুপস্থিত। এদের জন্ম দশটায় মৃত্যু একটায়। স্বল্পস্থায়ী একটি অর্থপূর্ণ জীবন।