[justify]
বাথরুমকে যে বাংলায় প্রক্ষালনকক্ষ বলে সেটা আমি আমেরিকায় না আসলে জানতে পারতাম না। একটু চিন্তায় পড়ে গেলেন কি? দাঁড়ান খুলে বলি। সারাজীবন ধরে মানুষকে এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে এসেছি - লোকজন চোখ-টোখ মুছে ভেতরে ঢুকে যাওয়ার পরে আমিও বাসে করে ফার্মগেটে ফিরে গেছি। এয়ারপোর্টের ভেতরে জীবনেও ঢুকতে হয় নি। প্লেন ছাড়াও ওতে আর কি কি আছে সেটা জানা ছিল না। প্রথমবার ঢোকা হলো আমেরিকাতে আসার উছিলায়। এতোদিন পর্যন্ত আমেরিকা গমন নাটকের অবসান হতো এয়ারপোর্টের সামনে থেকে - এই প্রথম নিজে নায়কের চরিত্র পাওয়াতে ভেতরের ব্যাপারগুলোর খুঁটিনাটি সব চোখে পড়ল।
- তোমার বয়স কত?
- উনিশ।
- আরে সার্টিফিকেট না, আসল বয়স।
- আসল বয়সই উনিশ।
গতমাসের শেষের দিকে একটি নোটিশ দেখে আনন্দে চমকে উঠলাম, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ তম সমাবর্তন আগামী ৩১ মার্চ' । এদিকে মাস্টার্স পরীক্ষার তারিখ পরে গেছে। রুটিনও দিয়ে দিয়েছে। জানি সমাবর্তনে অংশ নিতে এখানে ওখানে দৌড়াতে হবে। ব্যাংক থেকে শুরু করে রেজিস্টার ভবনেও পড়বে লম্বা লাইন। পরীক্ষার মধ্যে ওই কয়েকটি ঘন্টাও অনেক মূল্যবান (যেহেতু সাধারনত আমি পরীক্ষা ঘাড়ে এসে পরলেই পড়া শুরু করি)। তবুও মনের কোথায় জানি সপ্
চাকরিজীবী দুই বন্ধু যখন আড্ডা দেয়, তখন কি নিয়ে কথা বলে? বিশেষ করে ঢাকা শহরের দুই বন্ধু, যারা সবসময় দেশের অন্য সব এলাকার তরুণদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকে। কারণ কি – কারণ আর কিছুই না, সবকিছুই ঢাকায় আছে। মানুষের আকাঙ্খিত সব সুযোগসুবিধা, পড়াশোনা, চিকিৎসা, শিল্পসাহিত্য, বিনোদন, বইমেলা, নববর্ষ – এমনকি সরকার নামক জিনিসটাও ঢাকাতে থাকে। পত্রপত্রিকা আর টিভির সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক, বাকী বাংলাদেশ মাঝের কিছু পাতা অথবা “এখন দেখবেন অন্যান্য সংবাদ” এ হালকাভাবে জায়গা পায়। আরও জ্বালা আছে – সুন্দরী, হৃদয়বিদারক সৌন্দর্যের অধিকারী রমণীকুলও ঢাকাতে থাকে। এসব দেখে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার বাইরের তরুণরা বড্ড মনকষ্টে থাকে (কোন এককালে আমিও সেই দলভুক্ত ছিলাম)। কিন্তু এখন আমি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি, ঢাকায় থাকার কি যন্ত্রণা। রাঁধার মতো বলতে ইচ্ছা করে – ওরে কৃষ্ণ, তুমি যদি বুঝতে রাঁধা হওয়ার কি জ্বালা, কি যন্ত্রণা।
বন্ধুমহলে যারা একটু সুশীল টাইপ, তাদের সাথে গল্প করাটা মিশাতের জন্য ইদানিং একটা মুশকিলের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।। ওর গল্পে নাকি বড়োদের ব্যাপার স্যাপার বেশি থাকে। সেদিন রেনুকার সাথে কথা হচ্ছিলো ওর।
কথাপ্রসঙ্গে বললো, তোকে একটা গল্প বলি শোন
: গল্প? তোর গল্প মানেই তো পঁচা গল্প।
: কেন?
: তোর গল্পগুলো সব ইয়ে টাইপ..
: ইয়ে টাইপ, মানে?
: মানে হলো তোর সব গল্প শুধু একদিকেই যায়..
ঢাকা শহরে আমার তিনবছর পূর্ণ হয়েছে। প্রথমদিকে রাস্তা পার হতে পারতামনা, সহায় হয়ে রাস্তার পাশে দাড়ঁইয়ে থাকতাম আর করুন চোখে ফুটওভার ব্রীজ খুঁজতাম। আর না পেলে এক দৌড়!
…
সপাং করে পিঠের ওপর জালিবেতের তীব্র বাড়িটা পড়তেই শার্টের নিচে চামড়াটা যেন ঝলসে উঠলো অপুর ! অবিশ্বাস্য চোখে রহমান স্যারের এমন ভয়ঙ্কর মূর্তি দেখে শিউড়ে ওঠলো সে। বড় বড় চোখ দুটো ডিমের মতো ঠেলে বেরিয়ে আসছে তার ! চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাশ টিচার রহমান স্যারের এমন উগ্র রূপ আগে কি কখনো দেখেছে সে ! কিছুতেই মনে করতে পারলো না।
১.
একেবারে মেঘে ঢাকা নিশী, জলবিন্দু হয়ে এসেছো, অঝোরে নামবে
নাকি ? ঘাস ভিজে গেলে বসতে কষ্ট হবে, পাতারা কাঁদো কাঁদো হলে
বতাসের দু:খ বাড়বে, ঝিরিঝিরি কাঁপাতে পাতা,- কী হয়েছে কী ? পথে পথে
কাঁদে কারা, ঘরহীন মানুষের কথা শোনে নাকি কেউ ? ভাবছো কী আর
কাব্য লিখে কী হবে ? মেঘ কী পৌঁছিয়ে দেবে ? ‘এঁ বিরহে মরি’!
২.
চলে যাও ফিরে- কষ্ট হয় দেখতে, হঠাৎ রোদ নিভে যেভাবে পথের পরে
তোমার কথাই ঠিক।
তুমি যা যা বলো;
আমি মাথা-ঘাড়-লেজ নাড়ি...ঠিক...ঠিক...
তুমি বললে - ওড়াও ঘুড়ি
আমি মাঞ্জা দেয়া সূতা আর লাটাই নিয়ে তৈরি ততক্ষনাত
ঘুড়িবাজ, মাঠ-ঘাট, গাছ-গাছালি, লাটাই-সূতা
সব্ই উড়লো
হালায় খালি ঘুড়িটাই উড়লো না...
তুমি বললে - বড়শি ফেলো
আকর্ষনীয় খাবার (টোপ) আর ছিপ নিয়ে আমি তৈরি নিমিষেই
মাছ ধরা নৌকা স্থির; বড়শি ফেল্লাম -
১৯৮৯ সালের গ্রীষ্মে জ্যাক ড্যামবাখার নামের এক জীবতত্ত্ববীদ পাপুয়া নিউ গিনিতে বার্ড অফ প্যারাডাইস নিয়ে কাজ করছিলেন, গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখি ধরে পায়ে রিং লাগানো এবং সেই সাথে জালে আটকা পড়া অন্যান্য প্রজাতির পাখিদের পুনরায় বলে ছেড়ে দেওয়া, যাদের মধ্যে প্রায়ই থাকত সেই বনের স্থানীয় বাসিন্দা গায়ক পাখি হুডেড পিটোহুই ( Hooded Pitohui, Pitohui dichrous)