[justify]
১৬০ মিলিয়ন মানুষের সমবেত দীর্ঘশ্বাসের আওয়াজটা কত জোরালো হতে পারে ?? নীরব ঢাকা শহর বলছে খুব বেশি নয়। তবে মীরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের চত্বরে এশিয়া কাপ বিজয়ী পাকিস্তান ক্রিকেট দলের উল্লাসের ধ্বনিকে সেটা ছাড়িয়ে গেছে। নিশ্চিতভাবেই।
ঠিক আধাঘণ্টা আগে বাড়ি ফিরলাম,
সারাদিন কড়া রোদের নীচে দাঁড়িয়ে থাকার পর,
ঘরে ঢুকতেই টুপ করে ঝড়ে যায় রৌদ্রের গন্ধ।
ইতিহাস হয়ে যায়, তীব্র সূর্যালোক।
আমি ইতিহাস পড়ি না, বুঝি না, পাত্তা দেই না,
রৌদ্রের গন্ধরা কোথায় মিলিয়ে যায়! মুহূর্তে, ইতিহাস হয়।
রাস্তার মোড়ে দেখা ক্ষণিকের রূপসীরা -
তাদের সমস্ত চর্চিত সুতীব্র রূপ নিয়ে চোখের পলকে উধাও হয়,
বুকের ভেতর চকিত তীব্র তোলপাড়,
“রোজ ঘুম থেকে ওঠা, আর দাঁত মাজা, খবর কাগজে দুঃসংবাদ খোঁজা, দারুণ ব্যস্ততায় স্নান খাওয়া সারা হয়, জীবনে আরেকদিন আবার বাড়তি হয় হয়।” নচিকেতার গানের মত করে দিনযাপনের ঘটনাগুলো একই হলে একঘেঁয়ে হয়ে ওঠে। প্রতিদিনের গল্পে সেই ট্রাফিক জ্যামের গল্প, অনিশ্চয়তার গল্প আজ থাক। বরং বলি, ঢাকার দেয়াল লিখনের কথা। কষ্টে আছি আইজুদ্দিন অথবা অপেক্ষায় নাজির নেই। যাপনের কষ্ট এবং সুখক্ষণের অপেক্ষার এ শহরে নির্বাচন হব
“সিরাজ উদ্দৌলা, সিংহাসনে অধিরুঢ় হইয়া, মাতা মহের পুরাণ কর্ম্মকারক ও সেনাপতিদিগকে পদচ্যুত করিলেন। কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক কতিপয় অল্পবয়স্ক দুষ্ক্রিয়াসক্ত ব্যক্তি তাঁহার প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইয়া উঠিল। তাহারা প্রতিদিন তাঁহাকে কেবল অন্যায্য ও নিষ্ঠুর ব্যাপারের অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিতে লাগিল। সেই সকল পরামর্শের এই ফল দর্শিয়াছিল, যে তৎকালে প্রায় কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বা কোন স্ত্রীলোকের সতীত্ব রক্ষা পায় নাই।”
শ্রীযুক্ত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বাঙ্গালার ইতিহাস।
….....................
নবাব আলিবর্দি মারা যাবার পর তাকে গোর দেবার আগেই সিরাজউদ্দৌলা তখতে লাফ দিয়ে বসেন। বসেই তিনি প্রথম কলকাঠি নাড়া আরম্ভ করেন খালা ঘষেটি বেগমের ঘষটামি বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। ঘষেটি তার অঢেল পয়সাকড়ি নিয়ে মতিঝিল প্রাসাদে থাকতেন। প্রাসাদের চতুর্দিকে পানি, শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভিতরে ঘষেটি বেগম তার লাভার নাজির আলি আর কয়টা সিপাই। কিন্তু ফাইট হলনা, আলিবর্দির বিধবা স্ত্রীর অনুরোধে ঘষেটি আত্মসমর্পণ করেন। নাজির আলিকে কানে ধরে দরবার থেকে বের করে দেয়া হয়, ঘষেটিকে চালান করা হয় হেরেমে আর তার পয়সাকড়ি চালান করা হয় কোষাগারে। এ সবই হয় আলিবর্দি দেহরক্ষার দশ দিনের মধ্যে। নবাব কিছুটা চিন্তামুক্ত এখন। তবে পুর্ণিয়ার নবাব, শওকত জং আর ইংরেজের সাথে বোঝাপড়া বাকি।
আমার পুরনো ছাত্র পরিষ্কার বিদ্রোহ করেছে, আমার কাছ থেকে আজকে কিছুই শিখবে না। হ্যাঁ, আজ – এশিয়া কাপের ফাইনালের দিন। অথচ, আজকে কতো কিছুই না শেখানোর আছে। সকালে কিছুক্ষণ তর্ক করলাম, তারপর বিরক্ত হয়ে আমার একমাত্র জার্সিটা গায়ে চাপিয়ে বেড়িয়ে পরলাম। দিকে দিকে শুধু বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, সবাই নানা ডিজাইনের জার্সি পরে কাজ করতে যাচ্ছে। বুঝলাম, ১১ জনের দলে পোষাচ্ছে না, আরও কয়েক কোটি মানুষ ওদের সাথে খেলতে চায়।
সহজ প্রেরণা নিয়ে পথে হেঁটে যাই, বসে থাকি।
সবারই প্রেরণা আছে, প্রেরণা বুঝেছে যারা তারা জানে;
প্রেরণার অপর নাম ভালোবাসা, অথবা প্রেম? যেভাবে যে নামেই ডাকোনা
কেন, প্রেরণারা তাড়া করে ফেরে, মহৎ স্বপ্নের জন্ম হয়, স্বপ্নেরা আশৈশব বেঁচে থাকে।
প্রতিটি স্বপ্ন মানে বিবিধ জীবন, জীবন কেবলইমাত্র একটি জীবন, ভালোবাসার তবুও মৃত্যু নেই;
আমি এভাবেই গড়েছি আমার জীবনের সংজ্ঞা।
ব্যাটে বলে স্বপ্ন সাজাই
আমরা ক'জন -
স্বপ্ন দেখ অযুত কোটি
লক্ষ ডজন !
গেলারীতে আলোর মিছিল
জয় ছিনিয়ে,
যাবতীয় দুঃখ ভুলে-
এমন করে হাসতে পারো আর কি নিয়ে ?
রাত পোহালে নতুন দিনে
নতুন করে -
বাংলাদেশের লাল সবুজে
এই পতাকার গর্ব বুকে রাখবো ধরে |
-- ঈষিকা
[justify]