সবুজ-শ্যামলে ঢাকা মাটির কাঁচা রাস্তার এক পাশ ঘেঁষে অজস্র নাম না জানা বুনোফুল, ঝোপঝাড়, পরিচিত ঘাসফুল। তারই মাঝে বাড়ন্ত এক কদম গাছের দীর্ঘ নরম পাতার আড়ালে এক টুনটুনির বাসা। বুনোফুলের সুভাস মাখা ছায়াঘেরা মাটির এই কাঁচা পথটি চলে গেছে দূরের শহরে।
রাস্তার ওপাশে নেমে যেতেই একটি খেলার মাঠ। জল-বৃষ্টি আর কাদায় লুটোপুটি খেয়ে একটি পুরোনো ফুটবল নিয়ে খেলায় মত্ত এক ঝাঁক দুরন্ত বালক।
সন্দেহ নেই, সুকুমার রায় কথিত হাসতে যাদের মানা সেই ‘রামগড়ুরের ছানা’ জাতীয় বাঙালির সংখ্যাই বৃহৎবঙ্গে অধিক। তবে নিজস্ব লেখনিগুণে পাঠককে হাসাতে পারেন এমন লেখকও কিন্তু বাংলা সাহিত্যে একেবারে কম নয়। যারা ঝকঝকে, নির্মল হাস্যরস ও সূক্ষ্ম-তির্যক ব্যঙ্গ কৌতুকের অনাবিল ‘রসের কারবারি’—এমন কয়েকজন রম্যলেখকের সাথে আমরা পরিচিত হই আরেক বিরলপ্রজ রসসাহিত্যিক আবদুশ শাকুরের রসিক বাঙালি নামক এক ব্যতিক্রমী বইয়ের মাধ্যম
[justify]ধরণীর সবচেয়ে বৃহত্তম বাহির প্রদর্শনী হিসেবে প্রচারিত ক্যালগেরী স্ট্যাম্পিড প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটককে কাছে টানে তার অসাধারণ রোডিও, ভয়ংকর সব রাইড, প্যারেড, মঞ্চ প্রদর্শনী, ঘোড়ার গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা, মেলা এবং সর্বপরি তার উৎসবমুখর পরিবেশ দারা।
বিলুপ্তপ্রায় প্রেক্ষাগৃহ ও একটি আশঙ্কা
১৯৩৯ সালের কথা। মধ্য ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডের উপরে হঠাৎ করেই দুই দিক থেকে চড়াও হল জার্মানির হিটলারের নাৎসী বাহিনী এবং স্ট্যালিনের লাল বাহিনী (সোভিয়েত সাম্যবাদের ঝান্ডা উড়িয়ে), দখল করে নিল তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ভূখণ্ড কেবলমাত্র আগ্রাসনের কারণে। আর আশ্চর্যজনক ব্যাপার এই আক্রমণের জন্য সেই দুই সরকারের মধ্যে চুক্তি পর্যন্ত সাক্ষরিত হয়েছিল!
ভোর হয়ে আসে পুবের দিগন্তে। একটা অতি হাল্কা সাদা আলোর চাদর এসে পড়ে মাটিতে, সেই ক্ষীণ নীহারশুভ্র আলোয় ঢেকে যায় নক্ষত্রমালা, হারিয়ে যায় সেই টলটলে নিবিড় রাত্রিনীল যার মধ্যে মণিকণার মতন টলমল দুলছিলো নক্ষত্রেরা, নীহারিকাসমূহ ছড়িয়ে ছিলো শুভ্র উর্ণাতন্তুর মতন!
সচলায়তনের নতুন পাসওয়ার্ড পলিসি চালু করার পর কয়েকজন সচল একাউন্টে লগইন করতে বা পাসওয়ার্ড বদল করতে পারেননি। একাধিকবার পাসওয়ার্ড বদল করতে ব্যার্থ হয়ে, কিংবা এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় অটোমেটেড সিস্টেম কোনো কোনো একাউন্ট টেম্পোরারিলি বন্ধ করে রাখে। এত করে কেউ কেউ ধরে নিয়েছেন যে মডারেটরা কোনো কারনে তার একাউন্ট ব্লক করেছেন। অথচ মডারেটররা
অফিসের ব্যক্তিগত লকারগুলো দেখতে ছোট হলে কি হবে, রাক্ষুসে পেট। ল্যাপটপসহ অন্যান্য টোপলা-টুপলি দিব্যি এঁটে যাচ্ছে। অথচ, এই অফিস বিলডিঙ এ অফিস শুরু করার আগে একদিন ঘুরতে এসেছিলাম, দেখলাম নতুন অফিসে ব্যক্তিগত স্থান বলতে শুধুমাত্র এই ছোট্ট লকার তখন কি মন খারাপটাই না হয়েছিল। আগের অফিসে সবার একটা করে কাঠের ক্যাবিনেট তো ছিলই আবার সেই সাথে কারও কারও একটা ইয়া বড় স্টিলের লকারও ছিল। এখন হবে কি উপায়, এত সব রাখব
আবার ছুটবে বেগে করতলে সূর্যের ঢেউ
বিরান মাঠের বুকে উঁকি দেবে সবুজের স্তূপ
দীর্ঘ দুপুর জুড়ে ছায়াময় নিরালা নিশ্চুপ
শুয়ে র'বো দ্বিধাহীন কোন এক পুরনো অসুখ!
এই পথে ছায়া ফেলে হাতছানি দিয়ে যাবে কেউ।
শিশুর গালের মতো কোমল অলস কোন দিনে
আবার আসবে দেখো মিলনের মধুময় তিথি
চোখের গভীর কোণে ছায়াপথ তারা ভরা বীথি
জোনাকি জ্বালিয়ে জেনো আমাদের নেবে ঠিকই চিনে
আমাদের ভালোবাসা-রক্ত-স্বেদ-দেহের পিপাসা।
শরীরের সমস্ত নোঙর একসাথে গেঁথে যায় মাটির ভেতর
আমি চোখ রাখি দিগন্ত-ধূসরে
মহাসাগরের নীল থেকে মহাকাল মুছে যায়
আমি বাতিঘর খুঁজে মরি দিগন্তে, আকাশে, আতুঁড় ঘরের বারান্দায়
যারা আমাকে নাবিক বলে ডাকেন তারা জানেন না
ক্ষুধার্ত গাঙচিলের ডানা যখন হাওয়ায় পালক মেলে
তখন নন্দনতত্ত্ব দেখতে অনেকটা ফ্লাইং ফিশের মতো
পৃথিবীর তলদেশ নিকটবর্তী হয়
শেফালির সন্ধ্যা-স্মৃতি বারবার চোখে ফিরে আসে