গলি
-----------
ঠায় দাড়িয়ে থাকি
যেভাবে রোদের মাঝে হেটে আসে রাত, ভাবি
প্রতিফলনে স্পর্শ নেই
প্রতি ফলনে জন্ম নেয় একটা করে মৃত্যু;
খুব অন্ধকার; খু-উ-ব
গলিত লাশের গলিতে একটা ল্যাম্পপোস্ট
আর কিছু আলো
ওরা জেগে থাকে বাতি ঘরে, ঘোরে
ঘোর
বৃষ্টি নামবে; আরো বিশটি চোখ জুড়ে
বিষ ধুয়ে যাবে
প্রতি ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি, মাঝের শূন্যতায়
ঠায় দাড়িয়ে থাকি।
১.
ইতিমধ্যে সৌরজগত ঘিরে পাঁচবার চক্কর খেয়েছে পৃথিবীটা। তবু পৃথিবী বা চাঁদ বা সূর্যের ওঠানামায় কোন তারতম্য হয়নি। পৃথিবীর ওজোন স্তরের ফুটোটা আরো একটু বড় হয়েছে দক্ষিণ গোলার্ধে, উষ্ণতা বেড়েছে নগর ও গ্রামের। পার্থক্য বলতে এটুকুই। আর সব ঠিকঠাক। কিন্তু নিশাতের পৃথিবী অবিচল, অপরিবর্তনীয়। সৌর আলোর আগুনে বৃষ্টিতে ঝলসে যাচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত রানওয়ে। শীতাতপ এয়ারপোর্টে বসে বাইরের উষ্ণতার তেজ টের পাওয়া মুশকিল। ভেতরের কাঁচঘেরা জগতটার সাথে বাইরের কোন মিল নেই। নিশাতের এই যাত্রাটা কারো জন্য বিশেষ কোন ঘটনা নয়।
আয়োজিত বিয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ বায়োডাটা। সিভি ছাড়া যেমন চাকরির বাজারে নামার উপায় নেই (সে আপনার মামা-চাচার হাত যত লম্বাই হোক না কেন), তেমনি আপনি যত যোগ্য পাত্র বা পাত্রীই হোন না কেন, বায়োডাটা ছাড়া বিয়ের বাজারে ঝাঁপি খুলতে পারবেন না। আপনার বাবার কলিগের বন্ধুর বোনের ভাসুরের হয়ত বিবাহযোগ্য দুর্দান্ত ছেলে/মেয়ে আছে, আপনার বিল্ডিংয়ের অমুক ফ্লোরের ছেলেটার বা মেয়েটার হয়ত বিয়ের বয়স হয়েছে, অফিসের অমুক কলিগের তম
কিছু কিছু শব্দ আছে যাদের কথা মনে আসলেই
বিষন্ন মেঘগুলো মূহুর্তেই উধাও হয়ে যায়।
এই যেমন ' কোমল গান্ধার ' শব্দটি মনে আসাতেই
কোথায় যেন বেজে উঠল তানপুরা, কিংবা সন্তুর অথবা এসরাজ।
ব্যাথাতুর সুরগুলোকে তখন খুব আপন মনে হয়।
কখনও কখনও পড়তে পড়তে কয়েকটা অক্ষর
বইয়ের পাতায় বিদ্যুতের মত চমক দিয়ে যায়।
যেমন ' ল ' বর্ণটি দেখলেই মনে হয়
সারা ঘরময় খিলখিল করে হেসে হেসে
…
(২১)
বৃক্ষের বল্কলে নদীর চিহ্ন দেখে-
তুমি যে চমকালে হঠাৎ !
আমি তো খুঁজিনি এতো- কোথা কোন্ বৃক্ষদেহে
কে কখন রেখেছিলো জলমগ্ন হাত !
.