বারান্দায় দাড়াতেই অলিভিয়ার চোখে চোখ পড়লো, একটু হাসি দিয়ে অন্যদিকে আমি তাকালাম। অলিভিয়া সুন্দর করে সিগারেট টানে,ফুসফুসে নিকোটিনের ধোয়াগুলো নিয়ে নাক-মুখ দিয়ে ছেড়ে দেয়,ওর এই শৈল্পিক সিগারেট টানার ভঙ্গি দেখে তখন মনেহয় সৃষ্টিকর্তা এই মেয়েটার জন্যই হয়তো সিগারেট নামক বস্তুটির উপাদান দিয়েছিল পৃথিবীতে!
ভট্টাচার্যদের বটগাছে আবার সাধুবাবার আছর হয়েছে- সঙ্গে আছে কয়েকশ’ ভুত-প্রেত। ভুত-প্রেত কারো ঘাড় মটকায়নি। তবে মটকাতে কতক্ষণ! গাঁয়ের লোক তাই ভয়ে-আতঙ্কে তটস্থ। তাছাড়া ভয় পাওয়াটা আবহমান গ্রাম-বাংলার জীবনযাত্রারই অবিচ্ছেদ্য অংশ; মরণনেশা। আর এই নেশা নিয়েই নদীর ঘাটে চলে বিস্তর পর্যালোচনা।
বেশ ছোটবেলার কথা। আমার বয়েস তখন ১০-১২ বছর হবে। জন্মদিনে উপহার পেলাম একটা 'ব্রাউনি বক্স ক্যামেরা।' দেখতে একটা ছোট জুতার বাক্সের মত এই ক্যামেরাটা, তবে জুতার বাক্স যেমন সাধারনত সাদা রঙের হয় তার বদলে এটি ছিল কাল। ছবি তোলার বদলে এটি আমি আমার ‘স্ট্যাটাস সিমবল’ হিসাবে বেশি ব্যাবহার করার সুযোগ পেলাম। তখনকার দিনে এই ক্যামেরাতে ব্যবহার করতে হত ১২০ সাইজের ফিল্ম। তখন সাদা-কালোর দুনিয়া। রঙ্গিন ফিল্ম তখনও শুর
"তিনি একজন কবি যিনি দার্শনিক তত্ত্বের চেয়ে বরং মৃত্যুর কাছাকাছি, বুদ্ধির চেয়ে বরং দুঃখের যন্ত্রণার কাছাকাছি, কালির চাইতে বরং রক্তের কাছাকাছি" — পাবলো নেরুদা সম্পর্কে এমনটিই বলেছিলেন ফেদেরিকো গার্থিয়া লোর্কা। ১৯৭১ সালে নোবেল বিজয়ী নেরুদাকে "আচ্ছন্ন করে তাঁর জন্মভূমি-- অত্যাচারিত দিগ্বিজয়ীদের দ্বারা যে ভূমি ধর্ষিত হয়েছে বারংবার। নিজেকে তিনি নির্বাসিত করেছেন, অসংখ্যবার নির্যাতিত হয়েছেন, কিন্তু কখনো থামেন নি। অত্যাচারিতের সহযাত্রী তো সারা পৃথিবী জুড়েই। তাদেরই তিনি খুঁজেছেন এবং শেষে ধর্ষিত মানবমর্যাদার কবি হয়ে দাঁড়িয়েছেন"। তাই তো তাঁর কবিতার পাঠে আমাদের রক্তে যুগপৎ খেলে যায় প্রেম ও বিপ্লব।
এক দুপুরের বৈশাখ ও কিছু মর্মান্তিক অনুভূতি
আজকে গ্র্যাজুয়েশন এর শেষ পরীক্ষা ছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই আজকের দিনটা অন্যরকম। আমার নরক থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দবার্তা। বিকেলে একটা পার্টিতে যাওয়া হলো, রাতে ফিরলাম হোস্টেলে প্রায় ১২টা বাজে তখন। সবকিছু ঠিক ছিলো, রাত ১টার দিকে জল ভরতে এক তলায় গিয়েছি, হঠাৎ দেখি দৌড়ে আসছে এক ব্যাচমেট। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই বললো, একজন জুনিয়র আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে দাড়িয়ে আছে। শোনার সাথে সাথে আমার প্রথম বছরের প্রথম দি
[justify] একটা বায়না পাওয়া গেছে অবশেষে।
চৈত্র মাসটা খুব অকাজের। মাসের একেবারে শেষে চৈত্র সংক্রান্তি ছাড়া কোন পূজা পার্বণ নেই। এই মরা বাতাসের মাসে লোকে বিয়েশাদীর আয়োজনও করেনা তেমন। অগত্যা এমাসটায় ঢোলদুটো খুব আয়েশ করে ঘরের চালার সাথে বাঁধা শিকেয় ঝুলে দোল খায় অবিরাম। মাঝে মধ্যে নেংটি ইদুরের দল দাঁতের ধার পরখ করে দেখে ঢোলের ছাউনি আর সুতোয় কামড় বসিয়ে।
‘বিতংস’ ও ‘চ-এ চুরি, ছ-এ ছবি, জ-এ জব্দ’ লেখকের কলম থেকে......
(১)
-"শেষে বাইপাসের ধারের একটা পাতি রেস্টুরেন্টে আমাদের ফার্স্ট অ্যানিভার্সারির ডিনারটা করাবে তুমি আমায়? এরকম জানলে আমি জাস্ট আসতাম না!” মউএর গলায় একরাশ বিরক্তি।
পদ্মা সেতুর ভাগ্যে কী আছে তা এখনো আমরা জানি না, বিশ্ব ব্যাংকের আনীত দুর্নীতির অভিযোগগুলোর প্রমাণও নাকি এ সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর কাছে দেয়া হয়েছে, আর নতুন যোগযোগ মন্ত্রী বলছেন- চায়না নয়, মালয়েশিয়ার অর্থায়নেই হবে পদ্মা সেতু। তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু হলো আমের মতো- সিজন ব্যাপার না, ব্যাপার হলো, জনগণের দাবীকৃত আম পাওয়া যাবে কিনা সেটা। তবে রাষ্ট্রিক কূটনৈতিক গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রেখেই বোধ করি, এম অনন্ত জলিল