আমি তাকে বিকেল থেকে চিনতাম, সেই তখন থেকে, যখন আলো ছিলো অনেক বেশি। মাঠের সবুজ জ্বলজ্বল করছিলো, তার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছিলো আমাদের কাকজোড়া খেলা। মাথার উপরে উপুড় হওয়া আকাশে নীলের সঙ্গে ভাব করে উড়ছিলো সাদা, সবুজ, লাল গোলাপী ঘুড়ি- ঘুড়ির পাশে ঘুড়ি।
যখনি আমার মন খুব খারাপ থাকে, তখনি মনে মনে কল্পনা করি ট্রেন এ উঠছি, বাড়ি যাবো...বাড়ি যাওয়ার সময় আমি কখনোই ট্রেনে ঘুমাই না...কিছু অপেক্ষার প্রহর প্রচন্ড আনন্দ দেয়, এটা তেমনি...
ট্রেনে উঠেই জানালাটা খুলে দিয়ে বাইরে তাকাই...
১। ধান ভানতে শিবের গীত
ওয়েভার স্ট্রিট ধরে হেঁটে যাচ্ছি, ফুটপাথে দেখি এক প্ল্যাকার্ড, বলছে "vote against amendment 1"। কদিন ধরে নর্থ ক্যারোলাইনার যেখানেই যাই একই ঘটনা। ফেসবুক থেকে মাস দুয়েকের ছুটি নেয়ায় একটা ভালো ব্যাপার হয়েছে, বই পড়া, ডকুমেন্টারী দেখা ইত্যাদি "ভালো" অভ্যাসগুলো ফিরে এসেছে। নোভার "জাজমেন্ট ডেঃ ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন ইন ট্রায়াল" দেখছিলাম। বায়োলজি ক্লাসে বিবর্তনের অলটারনেটিভ হিসেবে "ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন" নামে সৃষ্টিতত্ত্ব পড়ানোর পায়তাড়া করছিলো স্কুলবোর্ড। অ্যামেন্ডমেন্ট ১ এর ভায়োলেশন হচ্ছে এই দাবী করে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয় এক অভিভাবক।
অতপর গর্দভকুলের প্রতিনিধি সদম্ভে কহিল,
"চৌধুরী সাহেব, গর্দভ হইতে পারি, কিন্তু আমাদিগেরও দুগ্ধ হইয়া থাকে।"
এই রক্ত ক্ষরণের দিনে
বলার শক্তিও রুদ্ধ হয়ে আসে
চোখের দৃষ্টি সবার মতো আমারও ঝাপসা এখন
যখন ষ্পষ্ট ছিলো তখনও
তোমাকে দেখতে শুয়োরের চেয়ে বেশি সুন্দর লাগেনি
তুমি দারুণ বাক ভঙ্গিমায় যখন
বেশ্যাকে মায়ের কাতারে তোলো
কী দারুণ শব্দমালা!
এবং মাকে যখন বেশ্যার কাতারে নামাও?
তোমার দক্ষতা সর্বত্র সমান!
তুমি আমাদের পথের দিশারী
শব্দের আতসবাজিতে জনসভা পুড়িয়ে করো খাক
আমাদের চোখে ঠুলি পরাও
ফোনটা দুবার বেজে উঠতেই বিরক্তি সহকারে কানে লাগালেন উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল আলম, ওপাশ থেকে সহকর্মী আহসান এর গলা ভেসে এলো।
- সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড
তারেক অনুর লেখা "শুভ জন্মদিন ডেভিড অ্যাটেনবোরো" পড়ছিলাম,একটা জায়গায় এসে চোখ আটকে গেল,তুলে দিলাম সরাসরি,যদি না আমাকে কপি পেস্ট মামলায় ফাঁসানো না হয়।
- সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড
তারেক অনুর লেখা "শুভ জন্মদিন ডেভিড অ্যাটেনবোরো" পড়ছিলাম,একটা জায়গায় এসে চোখ আটকে গেল,তুলে দিলাম সরাসরি,যদি না আমাকে কপি পেস্ট মামলায় ফাঁসানো না হয়।
[justify]
বার্ধক্যের সাথে নিজের বয়সের যোগসূত্র আছে কোথাও। সেদিন এক আড্ডায় বলে বসলাম...আরে ঝন্টু ভাই, উনিতো ইয়াং লোক আমাদের কয়েক বছরের সিনিয়ার, বয়স মাত্র ৪৬। সোভিয়েত রাশিয়ার পলিটব্যুরোর তরুণ নেতাদের বয়সই হতো ষাট। সাতচল্লিশ বেশ তরুণই বলা চলে। বন্ধুরাও সবাই একমত হলো তাতে। আমাদের বয়স যতই বাড়ছে, তারুণ্যের সিলিং ততই বেড়ে যাচ্ছে। চল্লিশ পার হওয়ার পরে মনে হয় ষাট পর্যন্ত মানুষ ছোকরা থেকে যায়। আর ত্রিশ বছর বেচে থাকলে হয়ত আশিকেও যুবক যুবক লাগবে। মনে মনে কেউ নিজেকে বুড়ো ভাবে না বোধহয়।
লেখালেখি শুরু করলেই এক মহা মুশকিল। বিভিন্ন জিনিস মাথায় এসে উঁকি দেয়, এ বলে আমায় লেখ, ও বলে আমায়। আর লেখা শুরু করলে তখন সবাই আবার হারিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ডজন খানেক আধা খ্যাচড়া লেখা পড়ে থাকে, কোনটাই শেষ হয়না। ইদানীং আবার লেখাগুলি হয় হস্তি-সম। তাই আরও গোটাকয়েক এসো নিজে করি ঝুলে আছে, শেষ হবো হবো করেও শেষ হচ্ছে না। লাইনে আছে ফাতরা কিছু অণুগল্প, লাইনে আছে জগা মিয়া , ঝুলে আছে সাহিত্যিক। অ
তখন চৈত্র মাসেই স্কুল হয়ে যেত মর্নিংস্কুল। সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দুপুরে দাপিয়ে সাতারের যো ছিলো না, গরমে পানি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে। তবুও স্কুল যতদিন চলতো, রুটিন থাকতো, হারিকেনের আলোয় গোল হয়ে বসে হোম ওয়ার্ক করতে হোত। তারপর গরমের ছুটির দিন স্কুলে হোত উৎসবের মত, সব্বাই বাসা থেকে ক্লাস টিচারের জন্য আনতো উপহার। সেবার শেফালি দুই রঙের জামরুল দিয়ে চমৎকার এক মালা গেঁথে নিয়ে এলো, সেটা