ল্যাবরেটরিতে বসে একমনে কাজ করছেন ড. জামিল। হঠাৎ জগমোহন ঢুকল। জামিল মুখ তুলে তাকালেন ওর দিকে।
'সাহেব, ভীমকে দেখেছেন?' ওর চেহারায় উৎকণ্ঠা।
'না।' এক শব্দে জবাব দিলেন জামিল।
'সকাল থেকে ওকে খুঁজে পাচ্ছি না। কোথায় যে গেল!'
'চিন্তা করো না জগমোহন। সেখানেই থাক, ঠিক ফিরে আসবে।'
[justify][justify][left][center][justify]আজকাল মেয়েটি একদম চুপচাপ থাকে। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর টুকটাক কিছু কথাবার্তা বলার পরেই হটাত করেই চুপ হয়ে যায়। কেমন যেন একটা অদ্ভুত নিরব অন্ধকার এসে গ্রাস করে নেয় তাকে। ছেলেটি বুঝতে পারে তার মনের মধ্যে একটা ঝড় উঠবে যে কোন মুহূর্তে। কিছুক্ষন চেষ্টা করে একটু ভাল রাখার, কিন্তু যখন দেখে মেয়েটি তাকে বুঝতে দিতে চায় না, তখন আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, সময় দেয় ম
আজ বিকেলটা যেন অন্য সব দিনের চেয়ে আলাদা। রাস্তাটা কেমন ধোঁয়া ধোঁয়া লাগছিল। গাড়ি থেকে নামতে যাচ্ছি, হঠাৎ মাথার কাছে ওয়েদার অ্যালার্ম বিপ বিপ করে বেজে উঠল। আমি বিল্ট-ইন ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলাম, ‘কী সমস্যা শোফার?’
হিলারী বাংলাদেশের সাথে আড্ডা দিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সাথে। আসলেই কি তাই?
হিলারী আরো অনেক আড্ডা দিছেন এবং ভুল না হয়ে থাকলে দিবেন। মনে করি, এই আড্ডাসকল হিলারীর জন্য গুরুত্বপুর্ণ না হলেও অন্য পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
হিলারী বাংলাদেশের সাথে আড্ডা দিয়ে গেলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের সাথে। আসলেই কি তাই?
.. কোন কোন দুপুড় বেলা যেরকম লাগে। সেরকম অপদার্থ হয়তো। খুব কষ্টে সৃষ্টে একটা ঘড়ি কিনেছি। ঘড়ি আর ঘর অদ্ভুত একটা সম্পর্ক। তবু যেসব পাপের মধ্যে বেড়ে উঠলে কিছুটা আলাদা হতে হয়। কোন কোন দুপুড়ে নীল এসে ডাক দিয়ে নিয়ে যায় আমাকে। বৃষ্টিতে দাড়িয়ে থাকা... এক পায়ে স্যান্ডেল নেই। মর্মর ছেড়া গাছ সে জানে.. না থাকার মানে।”
দৃষ্টি প্রতিবন্ধির অন্তর্দৃষ্টি
মানুষের দুটি চোখ ছাড়াও আর একটি চোখ নাকি আছে। যার নাম মনের চোখ। চোখ বন্ধ করলে সবকিছু অন্ধকার কিন্তু তারপরও অনেক কিছু অনুভব করা যায়। আর এই অনুভুতি ক্ষমতার প্রখরতা যার দৃষ্টি নেই মনে হয় তারই সবচাইতে বেশি। আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের কথা বলছি।
"১, ২, ৩, ৪..."
"কি করছ?"
"৭, ৮...শব্দ গুনছি।"
আফসান চৌধুরি হাতেপায়ে লিখছেন। সবশেষটা পা দিয়ে লিখে থাকবেন। চৌধুরি সাহেবের পায়ের ধুলা।
উন্নয়ন বাণিজ্যে ভাড়াখাটা অন্যথায় সাংবাদিক পরিচয়ধারী চৌধুরি সাহেব সম্প্রতি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ে গত পঞ্চাশ বছরে একজন চিন্তক বা থিংকারের জন্ম হয় নাই। হবেও না শিওর। পরপরই বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যায় থেকে স্কলার আশা করে না কেউ। চৌধুরি সাহেবকে চিন্তক বা স্কলারের (এদুইকে গুলিয়ে ফেলেছেন ইংরাজি বাগাড়ম্বরের এই পরাকাষ্ঠা) একটা তালিকা কেউ একজন ধরিয়ে দিতে পারেন। রাও ফরমান আলি প্রায় পঞ্চাশ বছর আগেও চিন্তক কি স্কলারের একটা তালিকা করতে পেরেছিল, চৌধুরি সাহেব পারছেন না।
"এই যে মূর্তিটা দেখছেন আপনারা, এটা লামিয়ার মূর্তি। পুরাণের ভয়ংকর এক দানব এই লামিয়া। এর কোমর থেকে কেমন সাপের মত, দেখেছেন? আর এই যে ছোটরা, লামিয়া কি করে জানো? বাচ্চাদের ধরে ধরে কুড়মুড় করে খায়!"