উপলক্ষ্যটা খুব সিম্পল। আলিম আল রাজি ফার্স্ট প্রফ সাপ্লিমেন্টারিতে পাশ করেছে। সেলিব্রেট করা দরকার। সাপ্লিমেন্টারিতে পাশ করেছে এটা কোন উপলক্ষ্য হল?
শেষ বলে কিছু নেই
তাই বারবার দৃশ্য ভাঙি।
কখনো যদি ডাকে
ডুবে যাওয়া শহরতলি।
-যাবো,
ডাকলেই যাবো।
কোন কারণ ছাড়াই
হবো তাদের কথার সঙ্গী ।
প্রকাশ্যে লুকিয়ে থাকবো
মেঘশিমুলের গল্পগুলো
চেপে রেখে,
আঁকবো নৈঃশব্দের দৃশ্য-
হৃদয় নৈদাঘে!
সময় থমকে থাকে
এমন করে কাটে না দিন,
নিদ্রাহীনতার গানে
ভারি হতে থাকে রাত্রি।
পুষ্পের আড়াল থেকে
ফিরে গেছে সকাল
যাচ্ছে ফিরে আগামীকাল!
শীতের দুপুরজাগা কমলা রঙের রোদ্দুরের মধ্যে মিশে থাকা প্রিয় শব্দমালা, "হরেএএএক মাল পাঁচসিকা"র ফেরিওয়ালা, শিল-খোটাও ওয়ালা, টিন আর লোহা ওয়ালা। আরও ছিলো কাগজকুড়ানি মেয়ে, নিঃশব্দ, ছেঁড়াখোঁড়া রঙ জ্বলে যাওয়া ফ্রক পরা, রুখু চুল লালচেবাদামী হয়ে গেছে রোদে রোদে। কোথায় তারা আজকে?
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ—৪
কথা ছিলো বৈশাখের চিড়বিড়ে গরমে সচলেরা তাদের ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া, বিলুপ্তপ্রায় জ্বীন-ভূতেদের পুনরুজ্জীবিত করবেন বৈশাখ ১৪১৯-এর সচলায়তন ই-বুকের জন্যে। তা সে কথা, কথাই রয়ে যাচ্ছিলো প্রায়, বাস্তবে আর রূপ মিলছিল না। বৈশাখের ১ তারিখ পেরুল, ৭ পেরুল, ১৪ পেরুল... বই তো দূরে থাক, লেখা কই?!!
ই-বই বাহিনীর কর্মীবৃন্দ প্রতিদিন ই-বই মেইল-বক্স চেক করেন, আর ইন-বক্সে জমা হওয়া গুটিকয় লেখা নিয়ে চক্ষু-চড়কগাছ করে বসে থাকেন। শুনলাম আধি-ভৌতিক ব্যস্ততায় সচল-হাচল-ইবই বাহিনী সব্বাই জর্জরিত!
মাঝে রাগ করে মনে হলো লেখা পাঠাবার ইমেইল অ্যাড্রেসটা ‘লেখকের মৃত্যু এট জিমেইল' টাইপ কিছু দিলে ভালো হতো!
"৫ পণ কলা আনছিলাম, এখন এই কয়টা রইছে।"
বুড়া মিয়ার বয়স কমপক্ষে ৬০। বুড়া একমনে কলা গুনতেছে।
পণ এর অর্থ বুঝি না। বুড়া বুঝাইয়া দেয়। " ২০ হালিত এক পণ।" মনে মনে হিসাব কষি-৪০০ কলা।
বুড়ার দিকে তাকাই, ফুটপাতে বসে পড়ায় বুড়াকে দেখতে সুবিধা হয়।
নাহ, এখন যথেষ্ট শক্তসামর্থ্য, নাইলে ৪০০ কলা কেমনে আনে। বুড়া পাশ দিয়ে যাওয়া ভদ্রমহিলাদের উদ্দেশ্য করে বলে," আপা, দেশি কলা, আসেন। নিয়া যান।"
[justify]এক
নিজ-সোহাগী গ্রামের রইসুদ্দী বয়াতির একচালা ঘর, ঘরের চালে, খড়ের বেড়ায় জোর বাতাসে ঝন্-ঝনা-ঝন্ বাদ্য বাজে দিনদুপুরে, রাতদুপুরে,---মাঝবয়সী...
লোকজনের বোকামি দেখে আমি মাঝেমাঝে খুবই বিরক্ত হই।
আজকের কথাই ধরুন, বিরক্ত হয়েই সিদ্ধান্তটা আমাকে নিতে হলো। গ্যাস নেবার পর সবুজ রঙের গাড়িটা স্টার্ট করতেই লাফাতে শুরু করলো, লাফাক। আমার আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে কাদা ছিটিয়ে দেবে আমার গায়ে! আবার প্যাঁ পোঁ করে হর্ণ দিচ্ছে তো দিচ্ছেই। কানের বারোটা বাজিয়ে দিলো। এই বেকুব লোকটা আমার সামনেই কেন তখন এই কাজ করতে গেলো, কে জানে।