FIFO রোস্টারে কাজ করছি, এইজন্য সময় পাইনা। ছুটির দিন ফুতকারে উড়ে যায়; কাজের দিন গত ও আগত ছুটির দিনের কথা ভেবে। পড়ি কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনা। অনেকদিনে পড়া মনের জং ছাড়াতে লেখা।
.......................................................................................................
১.
আমার কোন গল্প ছিল না।
গল্প হবার জন্য উঠোন লাগে, তিরতির করে চলা রূপেশ্বরী নদী লাগে, খুব ভোরেতে শিউলি ফুলের গন্ধ লাগে। আর লাগে শীতলাপূজায় হরেন চাটুজ্জ্যের বাড়িতে স্নিগ্ধাদির বানানো আতপ চালের পিঠা।
আমার কোন গল্প ছিল না। আমার ছেলেবেলা সাক্ষী হয়ে আছে শুধু বড় হুজুরের আলিফ জাল দাল নুন লাম মিমের, আমার ছোট্ট পিঠ সাক্ষী হয়ে আছে শুধু হুজুরের হাতে হুশ হুশ করে বাতাসে শব্দ তোলা চিকন কঞ্চি বেতের।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ—৩
স্বদেশী সমাজের সঙ্গে বিপ্লবীদেরও সম্পর্ক হয়েছিল। এ বিষয়ে বিপ্লবী ভুপেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছেন—
মার্চের ২৫। মধ্যরাত।
ঘর ভর্তি কাঁচা ফুলের ঘ্রাণ, নীলাভ আলো
আলোর ভেতর আমাকে দেখছি না!
এখনও ছুঁইনি ওই দু’টি হাত ও আঙুল
আমি ভেবেই পাই না চোখের আলোতে
এতো রহস্য কোত্থেকে আসে
কোত্থেকে বিড়বিড় করছে যমজমায়া...
বাহ্ কি প্রাণবন্তে জোড়াঠোঁটখানি কাঁপছে একা
সাক্ষাতে, বিবাহ-মধ্যরাতে
শিহরন, ঠিক দু’টি মন; কিছুই ভাবার থাকে না
একটা সময় আসে যখন চুপচাপ দাঁড়াই
চোখ বন্ধ করলেই মনে অনেক কথা জমে
সম্ভাব্য চরিত্র -১।
কী দারুণ বাজিকর এক। চারদিকে ঘন হয়ে আসা ভীড়ে অপুষ্ট দর্শকের চোখ, কান, চুল এমনকি গলগন্ড ছুঁয়ে বের করে আনে চকচকে একশো টাকার নোট সব। অথচ নিজের জড়ানো শাল ধুসুর মলিন, সাদা রং ছিলো তার বোধ হয় কোন একদিন।
সম্ভাব্য চরিত্র -২।
শুক্রবার না হলেও সেদিন স্কুল ছুটি ছিল, এটুকু মনে আছে। ছুটিটা কীসের তা অনেক চেষ্টা করেও আজ আর মনে করতে পারছি না। স্মৃতির পর্দায় সময়ের ধুলো জমেছে ঢের। বর্ষাকাল হলেও সকালটা ছিল বেশ স্বচ্ছ। টানা বৃষ্টিতে ঢাকাবাসীর যার পর নাই কষ্ট হয়, তার উপর আমাদের মত যারা শান্তিনগরের ধারেকাছে থাকতাম, তাদের দূর্ভোগের কথা অন্যেরা বুঝবে কেমন করে?
শুক্রবার না হলেও সেদিন স্কুল ছুটি ছিল, এটুকু মনে আছে। ছুটিটা কীসের তা
[ডিসক্লেইমারঃ এই ব্লগ পাঠলব্ধ শিক্ষণের প্রয়োগে কাহারও ইন্টারভিউ ব্যার্থতার দায় ব্লগরব্লগরকের উপর বর্তাইবে না]
চাকরীর ইন্টারভিউ দেওয়া ও নেওয়ার খুচরো অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)
ধরো তোমার অফিসের পেটিক্যাশবক্স থেকে কিছু টাকা খোয়া গেছে। এই ক্ষেত্রে একজন রিজিওনাল ফাইনান্স ডিরেক্টর হিসেবে তোমার করণীয় কি আছে বলে তুমি মনে করো? তার মানে, আমি বলতে চাইছি যে তুমি কিভাবে গোটা বিষয়টাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হ্যান্ডেল করবে?
[justify]
আমি বহুদিন ধরেই মনে মনে লিখি। সেই ছোটবেলা থেকেই। বহু বিষয়েই অনেক মানসিক রচনা লিখেছি, কিন্তু আলস্য কাটিয়ে খাতায় আর তোলা হয় নি সেগুলো। অত্যন্ত বাজে হাতের লেখার কারণে লিখতেও বিব্রতবোধ হত। আমার শৈশব এবং কৈশোরের সেই লেখাগুলোর কোন পাঠক নেই – আমার বিশেষ মনেও নেই ওদের কথা । মাঝে মাঝে যদি একটু- আধটু মনেও পড়ে, তবে ওগুলোকে গতজন্মের স্মৃতি বলে উড়িয়ে দেই। ব্লগ ব্যাপারটার কথা মানুষ তখন জানতো না, সচলের নির্মাতার হাফ প্যান্ট পরা বালক, অভ্রের জনক হয়তো হামাগুড়ি দিচ্ছে। এখন লিখতে হলে আর লেখক হতে হয় না, লেখা প্রকাশ করতে গেলে পত্রিকার দ্বারস্থ হতে হয় না - এমনই এক সুসময় চলছে। হাতের লেখা নিয়েও কারুর কোন মাথা ব্যথা নেই।