প্রিয় পাঠক প্রথমেই পরিষ্কার করা ভালো, এটা কোন রহস্য গল্প না। শিরোনাম দেখে, আপনি যদি রহস্য গল্পের আশায় পৃষ্ঠা উল্টে থাকেন তবে, আমি দু:খিত। এ গল্পে খুন নিয়ে কোন রহস্য নেই এবং খুনী ও আমাদের পরিচিত। আসলে সত্য কথা বলতে খুনটি এখনও হয়নি। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা খুনটি করতে যাচ্ছি।
এটা অনেক অনেক দিন আগের কথা । লঙ্কার রাজা রাবণের মত রাক্ষস- দৈত্য- দানোও তখনো জন্মায়নি, রাম-লক্ষণ বা ঈসা-মুসারও কোনও খবর ছিল না । হাজার হাজার বছর আগের কথাও না এটা । ডাইনোসররা দাপিয়ে বেড়াতো যখন তার চেয়েও আগের, কোটি কোটি বছর আগের উপাখ্যান ।
ঔপনিবেশিক ইংরেজের জাহাজে কেউ ঢিল মারলেই তাকে পাইরেট ডাকা হত, যার ঢিল যত বড় সে তত বড় নটোরিয়াস পাইরেট। এইরকম এক দুর্ধর্ষ পাইরেট ভারতের পশ্চিম উপকূলে ইংরেজকে খুবই বিরক্ত করতো, তার নাম কানোজী আংরে। মারাঠা নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল। বম্বে থেকে সাভান্তওয়াড়ি পর্যন্ত আস্ত পশ্চিম ভারতীয় উপকূল ছিল তার সাম্রাজ্য, ১৭২৯ সালে মৃত্যুর আগ অবধি প্রবল প্রতাপশালী নৌ পরাশক্তি ইংরেজ, পর্তুগীজ আর ওলন্দাজের সাথে যুদ্ধে তিনি ছিলেন আনডিফিটেড চ্যাম্পিয়ন।
গানম্যান সম্বন্ধে আমার ধারনা একেবারে নস্যি। দেশের বড়-বড় নামি দামি লোকের নিরাপত্তার জন্য নাকি গানম্যান থাকে। তা থাকবেই না কেন। তাঁরা কি আর আমার মত ম্যাংগো পিপল ? তাঁদের জীবনের দাম অনেক বেশি। আগে কখনো দামি জীবন রক্ষার্থে নিয়োজিত কোন গানম্যানের সাথে কথা হয়নি। বারে !, আমার বুঝি ঐসব বন্দুক, পিস্তল ভয় লাগে না !!
জগতের কিছু মানুষ আছে যারা বেজায় চটপটে বুদ্ধিমান। ভালো বাংলায় যাদের বলে প্রত্যুৎপন্নমতি। এরা হল নেহাত পচা মানুষ। এদের জন্যেই তো আমরা যারা অন্য দলটায় পড়ি তারা দেখে দেখে কিছু শিখতে পাইনা। এরা কিনা কোথাও আটকায়না, তরতরিয়ে এগিয়ে যায়। এরা ঠিক জায়গায় ঠিক কথা বলে, ঠিক কাজ করে, এমনকি ঠিক সময়ে হাজির হয়ে যেকোনো কাজ ঠিকঠাক উতরে দেয়। অথচ যত রাজ্যের মুশকিলে পড়ি আমরা; মানে আরও ভালো করে বললে, আমি।
যেসব গল্প কেউ জানে না-১
------------------------------------
গত কয়েকদিন খুব ভাল ছিলাম। নিজের মনের মধ্যে শান্তি পাচ্ছিলাম বেশ। প্রায়ই সবাই বলতো বাংলাদেশ হল অমানুষদের জায়গা। বাংলাদেশের সব লোক দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ফেসবুকে-ব্লগে-পত্রপত্রিকায় আমি শুধুই মানুষ দেখছিলাম। অনেক মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষ। সবাই মানবতাবোধে ভর্তি উপচে পড়া ভালবাসা দেখাচ্ছিল- ঠিক আমার মত। আজকালকার দিনে আমাদের অবশ্য প্রায়ই ভেক ধরে থাকতে হয়- কখন নাহলে আবার ছ
নুরুল ইসলাম, ৪০, তাঁর স্ত্রী রাশিদা বেগম, ৩৫, পাঁচটি সন্তান সায়মা ১২, রেহানা ১০, তানিশা ৮, আবু ৪, আন্নি ২। রাশিদার বড় বোন আয়েশা ৪৫, আয়েশার স্বামী বশির ৫০, বশিরের বোন ফরিদা ৬০, ফরিদার ছেলে নাজিম ২০।
পড়তে বিরক্ত লাগছে এতগুলো নাম আর বয়স? লাগলেও আপনাকে দোষ দেবো না।
আপনি নিশ্চিন্তে অন্য জরুরী বা আকর্ষণীয় বিষয়ের দিকে চলে যেতে পারেন।