ঊননব্বুই-নব্বুই সালের কথা। আমার মেয়ে নদী তখন র্যাংকিন স্ট্রিটের ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা নামে একটা কিন্ডারগার্টেনে কেজি ওয়ানের ছাত্রী। বেশিরভাগ সময় ওর মা শার্লিই ওকে স্কুলে আনা-নেয়ার দায়িত্বটি পালন করে। মাঝে মধ্যে আমি ওকে নিয়ে যাই। আমাদের হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে ক্ষুদে পন্ডিতদের পাঠশালা খুব একটা দূরে নয়। হাঁটা পথে পাঁচ সাত মিনিটের দূরত্ব। একদিন সকালে নদী বায়না ধরলো—আজ বাবাই তাকে নিয়ে যাবে স্কুল
এতগুলো পর্ব ধরে যাঁরা সাথে থেকেছেন, পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার আর নাসিরের তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করছি শেষ পর্ব। রোজকার জীবনে হারিয়ে থাকা একটা ছেলের জীবনের গল্পকে আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা সত্যিই তুলনাহীন।
সালেক খোকন
বৈশাখ মাস। প্রচন্ড রোদ। তবুও চারপাশে শীতল অনুভূতি। বড় বড় আমগাছ। সংখ্যায় দুই হাজারের মতো। অধিকাংশই শতবর্ষী। দিনময় এখানে চলে পাখিদের কোলাহল। ছায়াঘেরা পাখিডাকা আম্রকানন এটি। খরতাপও এখানে কুর্নিশ নোয়ায়। প্রচন্ড গরমে তাই আগতরা আশ্রয় নেয় আম্রকাননের শীতলতায়।
১
বনের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে সরু রাস্তাটি খোলা মাঠে মিশেছে। সাপের মতো এঁকে বেঁকে একটু একটু করে ঢালু হয়েছে সামনের পথটা। একজোড়া বাইসাইকেল ফ্রি হুইল করে এগিয়ে আসছিল। একটিতে বাবা, অন্যটিতে ছেলে। প্যাডেলে একটুও চাপ ছিলনা, তবু এগুচ্ছিল বেশ ভ্রুতই। বাপ বেটা দুজনেই শ্বাস ফেলছিল অনায়াসেই। অবশেষে বনের প্রান্তে এসে সামনে চোখ মেলে সামনে তাকালো তারা। ফ্রি হুইলের স্বস্তি ফুরিয়ে যাবার আগেই দেখলো, ছোট্ট ঢালুটা ফুরিয়ে এসেছে। সেইসাথে রাস্তাটা আবার উপরে উঠতে শুরু করেছে।
এই লেখাটা শুরু করেছিলাম ২২শে নভেম্বর ২০১১ তে। আজ ৯ই জুন ২০১২। কত তাড়াতাড়ি সময় বয়ে যায়। হঠাৎ ল্যাপটপের “হাউস কিপিং” করতে গিয়ে অসম্পূর্ণ লেখাটা পেলাম। এরই মধ্যে চাকরীটা পাল্টেছি, মেঘাও বেশ বড় হয়ে গেছে।