আমি তখন ছোট, সবে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছি। আজকালকার ত্যাদর বাচ্চাদের মতন আমি মোটেও ত্যাদরামি করতাম না। আমার এখনো মনে আছে প্রথম দিন স্কুলে যাওয়া নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম। নতুন স্কুল জামা পরে আপুদের মতন স্কুলে যেতে পারছি- এই আনন্দে আমি ছিলাম আত্মহারা। প্লে-গ্রুপে আমার ক্রমিক নং ছিল ৭৩, সেকশন বি, কেজিতে উঠে হয় ১২, সেকশন এ। তখন শিশু মনে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো এ সেকশনে ‘ভালো’রা আর বি তে ‘মাঝারী’রা আর
“মানুষের সবচাইতে মূল্যবান অঙ্গের নাম পাসপোর্ট” কথাটা বলেছিলেন গুরু বার্থল্ড ব্রেখ্ট। জন্মের মতো খুব সহজ ও স্বাভাবিক পদ্ধতিতে পাসপোর্ট নামের অঙ্গ গজায়ও না। কিন্তু সেই বন্দরবৈতরণীর বাহক, পাসপোর্টের কল্যানে অনেক সুবিধা/অসুবিধা ভোগ করেন। কিছু মানুষ একটা বিশেষ পাসপোর্টর কল্যানে ব্রাহ্মণ্ডের প্রায় সব জায়গায় যাতায়ত, কাজকর্ম, বা বসবাস করতে পারেন নির্দিধায়। আবার পাসপোর্ট নিয়েও অনেকের কাছে বিশ্বের বিশাল অংশ
ক্যাফেটেরিয়ায় ঢুকতেই দৃষ্টি গেল মাঝের এক টেবিলের দিকে। গ্রীক-ত্রয়ী কোস্তাস, জর্জিস ও স্পিরোস বিরসবদনে নিজেদের মধ্যে কি যেন বিষয়ে গম্ভীর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। স্পিরোস হাতের ইশারায় বসতে বললো। তিনজনই আমার সহকর্মি। ফিরতি বাসে কথায় কথায় একদিন বলেছিলাম তোমাদের দেশের কাজান জাকিস নামের ভদ্রলোক আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিক'এর প্রিয়দের তাল
[justify]গত বছর বাজেট বক্তৃতার পর যে প্রতিক্রিয়াটি লিখেছিলাম, সেটি কিছুটা ঠিকঠাক করে এবারও চালিয়ে দেয়া যেত। মাননীয় অর্থমন্ত্রী বরাবরই বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও বড় কথা বলেন- এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। ধারণা করি, আগামীবারও তিনি একই ধারা বজায় রাখবেন। শিক্ষানীতি সংসদে গৃহীত হওয়ার পরবর্তী দুবছর তিনি শিক্ষার জন্য যে বরাদ্দ রাখলেন এবং যেভাবে রাখলেন- তাতে বর্তমান সরকারেরই প্রণীত শিক্ষানীতিকে উপহাস করা ছাড়া শিক্ষাবাজেটে বাড়তি কিছু সংযোজিত হয়েছে বলে মনে হয় না। অর্থমন্ত্রী অবশ্য বাজেট বক্তৃতায় মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাকেই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে ভেবেছেন এবং এজন্য তিনি এ খাতে ‘সর্বোচ্চ’ বরাদ্দ রেখেছেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন! শিক্ষার কথা বলতে গিয়ে ‘ভিশন ২০২১’ এবং নতুন শিক্ষানীতির কথাও বলতে ভুলেননি তিনি। কিন্তু শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য যে কাজটি করার কথা, অর্থাৎ যথাযথ বাজেট বরাদ্দ রাখা- সেই মূল প্রসঙ্গে তিনি নীরব থেকেছেন গতবারের মতোই।