সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন নিয়ে ব্লগ-ফেসবুকে অনেক লেখালেখি, সমালোচনা-প্রতিসমালোচনা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বাঙালীদের আত্নপরিচয় ও আত্নসম্মানবোধের অভাব, মিডিয়া ব্যবসায়ী এবং ভারতীয় সরকারের ষড়যন্ত্র, সরকারী অবহেলা ইত্যাদিকে দায়ী করছেন লেখকরা। কিন্তু প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একটি ব্যাপারকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সবাই। সেটা হলো বাংলায় উপভোগ্য মাধ্যমের অভাব, বিশেষ করে শিশুদের জন্য।
[justify] সেদিন সকালে আলসেমি করে আর অফিস গেলাম না। বউ-এর ধাক্কাধাক্কি সহ্য করে বিছানায় পড়ে থাকলাম মটকা মেরে। তাতে লাভ যা হলো তা হচ্ছে একটা দিবাস্বপ্ন দেখে ফেললাম একদম ফাউ।
--------
দেখলাম - এক বিশাল জঙ্গল। সে জঙ্গলে অগুনতি পশু-পাখি। আর তাদের রাজা হলো এক ডোরাকাটা বাঘু। তার নাম 'পুটুর পুট'। বনের পশু-পাখিরা তার নাম অনেক সমিহ করে উচ্চারণ করে। রাজার নামের আগে অন্তত পাঁচবার মহামান্য বলা সেখানে আইন করে বাধ্যতামুলক।
সেই জঙ্গলের এক কোনে এক গাধা তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে। পরিবার বলতে গাধার বউ আর তার দুই আন্ডাবাচ্চা। তো সেদিন গাধা ঘাস খেতে গিয়ে আনমেন এক ঝার বুনো বোম্বাই মরিচ খেয়ে ফেলেছে। আর ফলাফল স্বরূপ কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয়েছে তার দারুন পেটে ব্যাথা আর থেকে থেকে পাতলা হাগু। যতক্ষণ হাগু করে সে ততক্ষণ কোঁকায়। আর হাগু থামলে পেটের ব্যাথায় আর পুটুর জ্বলুনিতে মাটিতে গড়াগড়ি খায়।
কবিরাজ কাহিনি-১
শুয়ে পড়েছি যে যার বিছানায়। কিন্তু লাইট নিভাইনি তখনো। সাম্যের মাথায় চিন্তার ঝড় তখনো বয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি। আমার মাথাও থেমে নেই।
একজন মানুষের ছবি শৈশব থেকেই আমার মানসপটে খোদাই হয়ে আছে-পাতলা ধরনের মানুষটির মুখে এক চিলতে হাসি, নাকের নিচে সরু গোঁফ, মুখে বিনয়ী ভাব কিন্তু চোখ দুটো যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। মানুষটির হাত ভর্তি পুরস্কারের ট্রফি, সেগুলোর সংখ্যা এটি বেশী যে দুই হাতে আগলাতে যেন হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। মলিন নিউজপ্রিন্টে ছাপা খবরের কাগজটি যেন প্রাণোচ্ছলতায় ভরে উঠেছে কেবল তার হাসিময় চোখ দুটোর জন্য। কে তিনি?
গগনে জমিছে মেঘ, হবে বরষা?
ল্যাবে একা বসে আছি, ছাতা ভরসা...
জানালার কাঁচে
----------------
জানালার ঘোলা কাঁচে দেখেছি গড়িয়ে পড়া জল
টুকরো নীলে
থোকা থোকা মেঘ;
দমকা হাওয়ায় ভেসে যায় মৌসুমী পাতারা
উড়ে যায় কবুতরের সাদা পালক
জানালার কাঁচে ঘোলা দেখেছি মুখে বিষন্ন চোখ
একটানা অবিরাম সবুজে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে থাকা
পাথরের রাত।
পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ আইভোরি কোস্ট। দেশটির পূর্বে ঘানা, উত্তরে মালি ও বুরকিনা ফাসো, পশ্চিমে গিনি ও লাইবেরিয়া এবং দক্ষিণে আটলান্টিক মহাসাগর। প্রায় দুই কোটির সামান্য বেশী মানুষের এই দেশে ৬০ টিরও বেশী বিভিন্ন গোত্রের মানুষের বসবাস। কালো বর্ণের এসব মানুষের স্থান ও গোত্র ভেদে তাদের সংস্কৃতি ও ভাষা গত পার্থক্য থাকলেও একজন আগন্তুকের জন্য এটা বোঝা মুশকিল। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। প্রায় সবাই
গঙ্গাতীরের উর্বর ভূমিতে একদল তুর্কী আর আফগান ঘোড়সওয়ার সবার পয়লা ইসলামের পতাকা হাতে হাজির হয়। তাদের তরুণ নেতার নাম ছিল মুহম্মদ বখতিয়ার, তার নেতৃত্বে সেই বাহিনী পথের সকল শহরপত্তন পায়ের তলায় মাড়িয়ে নির্দয়ভাবে এগোতে থাকে। বিহারের বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দেয় তারা, তীর্থশহর বেনারস জ্বালিয়ে দেয়া হয়। চলে লাগামছাড়া লুট। বাংলার নদীয়া শহরে এসে তারা ঘোড়ার সওদাগর সেজে ফট করে অন্দরে ঢুকে পড়ে, তারপর সহসাই কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে প্রহরীদের কল্লা নামিয়ে দিতে দিতে রাজার অন্দরমহল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। রাজামশাই মোটে ভাত খেতে বসেছিলেন, খবর শুনে তিনি দিলেন উল্টোদিকে ছুট! ছুটতে ছুটতে তিনি সেই যে কোন জঙ্গলে পালিয়ে গেলেন, আর তার কোন খবরই পাওয়া গেল না। ঐ থেকে বাংলায় তুর্কী আফগান মুসলিম শাসন শুরু হয়, যা টিকে ছিল পরবর্তী পাঁচশো বছরেরও বেশি।
১.
গল্পটি মাত্র সোয়া তিন পৃষ্ঠার। লেখক শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। নাম ভিক্টোরিয়ার হিরো।
ঠিক কিসের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে একজন অতি সাধারণ মানুষ নিজের ক্ষুদ্র জীবনের গন্ডি পেরিয়ে নিজেকে অসামান্য উচ্চতায় তুলে ধরে? ঠিক কিসের নেশায় নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা সম্ভব? কিংবা ঠিক কিসের তাগিদে একজন মানুষ প্রতিবাদের ইস্পাত কঠিন বর্ম তুলে ধরে আগলে ধরে নির্যাতিতকে?