(অফিসের কাজে ফাঁকি দিয়ে লেখা। ভুল ভ্রান্তি থাকাই স্বাভাবিক)
এক
আমি যে কবি হব সেটা আমি টের পেয়েছিলাম একেবারে ন্যাদাবেলায়। তখনও মুখের কথা ফুটেছে, কি ফোটেনি, তখন থেকেই নাকি আমার সব কিছুতে এক অদ্ভুত ছন্দ। একবার কান্নার সুর উঠলে, সেই সুরে শুধু বাড়ির মানুষ না, একেবারে পাড়া-প্রতিবেশী সহ সবাইকে মাতিয়ে তুলতাম। সে নাকি এক এলাহি কাণ্ড। এরকম কথা ছোট বেলা থেকেই শুনে শুনে বড় হওয়া। তাই যখন স্কুলেই ভর্তি হয়েছি কি হইনি, হলেও বড়জোর কেজি ক্লাস বা এক-ক্লাসে পড়ি, তখন এক
এক দেশে ছিলো এক যাদুকরী। সে নানা যাদু তো জানতোই, আর জানতো নানা বনৌষধির গুণাগুণ। সেই সব বুনো লতাপাতা থেকে সে নানারকম ওষুধবিষুধ তৈরী করতে পারতো।
টাপুরটুপুর মন ভালো নেই
সকালটা আজ ভোরবেলাতেই
মেঘের সাথে ভাব করেছে, যাচ্ছে ঝরে, যাচ্ছে ঝরে...
জানালাটা পাতার ভিড়ে আনমনা মন
প্রাপক বিহীন পত্রগুলো জলের মতন
কোথায় কখন কার কাছে যায় কার কাছে যায়, এমন করে!
পাতায় পাতায় জলের ফোঁটা সূত্রবিহীন সুতোর টানে
কেবল ঝরে কেবল ঝরে --- আকাশ জানে
মেঘ জানেনা জলের খবর,
জল জানে কি!
খুব দেখেছি
গন্ধ-সোঁদা জলের বহর
মৃত্তিকাতে ঢেউ গুনে যায় সব-প্রহরে;
পায়ে হেঁটে রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে প্রায়ই সেবার কিশোর থ্রিলার, না হয় ক্লাসিক, নতুবা অনুবাদ কেনা হত প্রায়ই স্কুল জীবনে। একবার কাঙ্খিত বই না পেয়ে বেশ কিছু পুরাতন রহস্য পত্রিকা নিয়ে এসেছিলাম, বিশেষ করে একটার মলাটে অড্রে হেপবার্ণের ছবি দেখে। ঠিক মনে পড়ছে না, কিন্তু সম্ভবত সেই রহস্যপত্রিকাটির ভেতরেই ছিল গ্যালোপাগোস দ্বীপপুঞ্জের কিছু আলোকচিত্র নিয়ে দারুণ এক ফিচার। মহামতি ডারউইনের স্মৃতিধন্য দ্বীপগ
১
শৈশবে পড়া একটা গল্পের কথা মনে পড়ছে গত কয়েকদিন ধরে। গল্পের নাম ‘ফটোজ্যন্তপ্রপঞ্চ’। এক পাগলাটে বৈজ্ঞানিক একটি আশ্চর্্যথ আরক তৈরি করেন, যার দুয়েকফোঁটা যে কোনো ছবির উপর দিলে ছবিটি জ্যান্ত হয়ে ওঠে। চকলেটের বিজ্ঞাপনের ওপরে দু’ফোঁটা, এসে গেলো চকলেট ।ডিজাইনার ড্রেস, প্রসাধনী যা কিছু চাই, কেবল আরক ঢালার অপেক্ষা।
গুলশান 'আড়ং'টা দেখেছেন তো আপনারা, তাই না? এই শুক্রবার সকালে টিপটিপানি বৃষ্টি শুরুর আগে দিয়ে সামনের উইন্ডোর মাঝখানের ম্যানিকিনটাকে আমরা একটু নজরে আনতে চাই। হুঁ, ঠিক ধরেছেন, গুলশান অ্যাভিনিউ থেকে তেজগাঁও ঢুকবার সময়ে আড়ং-এর এই আউটলেটের রাস্তার দিকে যে বড় বড় কাচের জানালা পড়ে, তার বাঁয়েরটায় রাখা চারটা ম্যানিকিনের দুই নম্বরটা... কী বলছেন, বাইরে থেকে ভালো দেখা যায় না পেছন ফেরানো ম্যানিকিনগুলো! আচ্ছা, সেভাবে বোঝা না গেলে আসুন আমরা একটু ভেতর থেকে চেষ্টা করি এবার। হুম, বৃষ্টিটাও শুরু হয়ে গেছে এতক্ষণে... দারুণ। ব্যাপারটা এমন, ভেতরে, শাড়ির সেকশন এটা। এখানে জানালার কাছের উঁচু জায়গাটায় চারটে ম্যানিকিন আছে, প্রতিটায় আড়ং-এর কালেকশনের সেরা চারটে শাড়ি পরানো থাকে। এখানে আয়নাটার দিক থেকে দুই নম্বর ম্যানিকিনটায় ফোকাস করবো আমরা... রাইট, এই তো বুঝেছেন এবার! এই ম্যানিকিনের সামনেই গভীর আগ্রহ ভরা চোখে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের আজকের শুক্রবারের এই বৃষ্টি ভেজা সকালের গল্পের নায়িকা... রওনক।
আসুন, আমরা এবার রওনকের দিকে দৃষ্টি ফেরাই...
আপনের কি ক্যাম্রা আছে, কছম কইরা ঈমানে কন, আপ্নের কি সত্যি সত্যিই ক্যাম্রা আছে? আপনে কি হেইটা দিয়া চিপা চিপি টিপা টিপি কইরা ছবি তুলেন?? তারপর কি আপনের ছবি গুলান হাইলাইটের ঠেলায় এক্কেলে চেগায়া থাকে আবার শ্যাডোর যন্ত্রনায় এক্কেলে ভাঁজ মাইরা থাকে??? আপ্নের ছবি গুলা দেখতে কি নিচের যেকুনু একটা বা দুইটার মতোই লাগে -
আমি অপেক্ষায় আছি।
যীশুর মতো ক্রুশকাঠে বিদ্ধ হয়ে
অনন্ত প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি।
অধীর আগ্রহে বসে আছি নষ্ট সময়ের করতলে
কবে রাষ্ট্রযন্ত্র আসবে কালো উর্দি পরে,
সবার অলক্ষ্যে তুলে নিয়ে যাবে চোখে ঠুলী পরিয়ে!
হয়তো পত্রিকার এক ইঞ্চি কলামে ঠাঁই হবে
অজ্ঞাত পরিচয় লাশের মিছিলে,
হয়তো বা শিরোনামহীন খসে যাবো বক ফুলের মতো
পৃথিবীর পান্ডুলিপি থেকে চুপিসারে।
তবুও . . .
সুবর্নরেখা
--------------
শূন্যতার গল্প বলি;
কান পেতে শোন গ্লাসে শব্দ হয়ে গড়িয়ে যায়
তরল জোহান্সবার্গের
উপচে পড়া মেঘ গ্লাসের কাঁচ বেয়ে বেয়ে
সিরামিক বাটি
ঝাঁঝালো চানাচুর,
এবং গোলাপি নখ;
জল না হোক, যতটুকু মেঘ ঠোঁটের কার্নিশে
আমার শূন্য গ্লাসে ঢেলে দাও -
বৃষ্টির গান শোনাই।