স্যার, আপনাকে নিয়ে লিখবনা ভেবেছিলাম। সবাই তো লিখছে, নতুন করে আর কী লিখব? আপনার জন্যে ভালবাসা ছিল, শ্রদ্ধা ছিল, আপনার সহজ ভাষার যাদুকরী ক্ষমতায় মুগ্ধতা ছিল। আর এসব ছিল বলেই, আপনার প্রতি অনেক অভিযোগও ছিল, আক্ষেপ ছিল, মনে মনে অনেক দাবী ছিল। আপনি মারা গেলেন, এত আগে হয়ত না গেলেও চলত, হয়ত আমাদের আরও কিছু দিতে পারতেন, কে জানে!
পাক্ষিক ‘আলোর খেয়া’ সাহিত্য পুরষ্কার পাওয়ার পর থেকেই আমার জীবনে শুরু হয়েছে এক মধুর যন্ত্রণা। প্রতিদিনই ‘ভোরের আলো’, ‘গোধূলির আলো’, ‘রাতের অন্ধকার’ ইত্যাকার নানা পত্রিকা থেকে কোন না কোন সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে চলে আসে। পত্রিকার পাতায় আমার সাক্ষাৎকার আর গুরুগম্ভীর পোজ দিয়ে তোলা কৃত্রিম ছবি দেখতে আমার অবশ্য মন্দ লাগে না। তবে অমৃতেও তো কখনো কখনো অরুচি চলে আসে,আমার এখন সেই দশা চলছে। তাছাড়া মাঝে
প্রথম পর্ব
বেড়ার কাণ বা ছিদ্র দিয়ে উঁকি মারাটা তার অভ্যাস থেকে এখন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বন্ধুরা তাই তার নাম দিয়েছে কাণসিং। লোকজন এখন নিজের বাড়ীতে নিজের বউকে আদর করতে লজ্জা পায়, পূর্ণিমাপক্ষের রাত্রিগুলোতে একটু রোমান্টিক হবার সুযোগ নেই; কার দিকে চোখ রাখবে তারা, বউয়ের, না জানালার ফাঁকে, নাকি বেড়ার ছিদ্রে? বেড়াটেড়ার ছিদ্র নিয়ম করে কয়দিন আর বন্ধ করে রাখা যায়, মানুষটা বিন্দুর মতো ছিদ্র দিয়েও যখন গোটা দুনিয়া দেখতে পায়, আর না দেখার জিনিষগুলো তো দেখে আরো বেশি।
আরে নাহ, শিরোনাম দেখে যা ভাবছেন তা নয়। জীবন এখনো খিচুড়ি পাকায়নি, সচলজীবন তো নয়ই। তাহলে এরকম নামকরণ কেন?