ঢাবি’তে আমার একজন শিক্ষক বলেছিলেন মাইক্রোফাইনান্স হ্যাজ ইটস ঔন বিউটি। উন্নয়নকর্মী পেশায় একযুগ অতিক্রম করেছি, কিন্তু মাইক্রোফাইনান্সে কাজ করার ইচ্ছে ছিলোনা তাই সুযোগ হয়নি, আর ব্যাক্তিগতভাবে মাইক্রোফাইনান্সে মোটাদাগে বলার মতো কোনও বিউটি খুঁজে পাইনি। সুতরাং সেই পুরোনো দিনের সিনেমার গানটাই ভাঁজি- যার নয়নে যারে লাগে ভালো ..........।।
১.
ঘনিয়ে আসা ঝড়
ঘাটে গিয়ে বসি । ঘাট নেই । যা আছে পরিত্যক্ত জীবন । যেন কোন কালে ছিল শৈশব । ছিল ভরা পূর্ণিমা দেখা রাত বা জল ভেজা ঘোমটা বেলা । পাপ-পুণ্য ধোঁয়া বিস্তৃত সময় অনেক হয়েছে গত । প্রতিদিন দেখাদেখি নিয়মের ফাঁকে যখনই আড়াল পথ মাপা, তখনই আপন যত্নে মাকড়শা করে নিয়েছে বাসা- শেওলার কাল ।
৩
“পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি”, কাঠের রুলার গুটাতে গুটাতে স্বস্তির সাথে বলেন মিঃ উইলসন, “তুমি আমার চেয়ে লম্বা, এটা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।”
“সামান্য কিছু লম্বা।”
প্রথম অধ্যায়
সোরায়া মানুতচেরি। তার বাবার মুখে না শুনলে পুরো নামটা জানাই হতো না।
গ্রাম জুড়ে প্রস্তুতি চলে। অনেক কাজ। কবর খোঁড়া, পাথর সংগ্রহ করা, নিক্ষেপকারীদের অবস্থান ঠিক করে দেওয়া। গ্রামের মোল্লাও তৈরি হয়। অন্যদিকে আলি, সে তো অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত।
জাহরা নিয়ে যাচ্ছে সোরায়াকে। রাস্তায় ছেলে-বুড়ো সব বয়সিদের হাতে পাথর। পাথরে পাথরে 'ঠকাঠক' শব্দ ।
বছর সাতেক আগে প্রথম যখন টেলিটকের সিম বাজারে ছাড়া হলো, আমার বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই প্রায় চব্বিশ থেকে ছত্রিশ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে একটি সিম সংগ্রহ করেছিল। এমন না যে সেই সময় মোবাইল ফোন একটা দূর্লভ বস্তু ছিল, বা অন্য অপারেটরদের কল-রেট অনেক বেশি ছিল। তবে টেলিটকের একটা সংযোগ কেনার জন্য কেন এত ব্যাকুলতা? ফ্রি টিএন্ডটি ইনকামিং, অতিরিক্ত চার্জ না দিয়েই টিএন্ডটি আউটগোয়িং ইত্যাদি নানা কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু আমার কাছে যেটি সবচেয়ে বড় কারন মনে হয়েছিল তা হচ্ছে "এটা আমাদের ফোন!" সম্পূর্ণ দেশি এবং সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিজেদের ফোন! নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম নিয়ে আমরা সহসাই প্রশ্ন তুলি। কিন্তু সেদিন লাইনে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয়েছিল স্বার্থের পাশাপাশি দেশপ্রেমও একটা বড় কারন এই রাতভর অপেক্ষার!