তিনটে রঙ্গীন মাছ। একটি কচ্ছপ ছানা। জলের সংসার।
সংসারে খেয়াল। খেয়ালে আদর। আদরে উচ্ছ্বাস।
উচ্ছ্বাসে বেখেয়াল।
জলেতে বিস্বাদ। তিনটে রঙ্গীন মাছ। নিঃশ্বাসে কষ্ট। শরীরে স্থবিরতা।
একাকী কচ্ছপ ছানা।
1971
পাকিস্তান আমলে প্রতিটি ইসলামি অনুষ্ঠান খুব ঘটা করে পালন করা হতো। শবেবরাত থেকে শুরু হতো উৎসবের আমেজ আর তার রেশ চলতো ঈদ পর্যন্ত। রোজা শুরুর আগেই এ্যনুয়াল পরিক্ষা শেষ হয়ে যেতো। শুরু হতো আমাদের লাগাতার ফুর্তি আর আনন্দ!
এক ছিলো সাগরঘেরা দেশ, উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম যেদিকেই যে যাক না কেন পথ শেষ হয় নীল সমুদ্রের তীরে। দেশটা একটা বিরাট দ্বীপ।
সেই দেশে এক ছেলে ছিলো, লোকে তাকে ডাকতো বরণ বলে, তার বাবামা প্রয়াত, ভাইবোনেরাও সব নিজের নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। নিজের বাসায় একাই থাকতো বরণ, কাজকর্ম করতো সারাদিন, বিকাল থেকে সন্ধ্যে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতো, তারপরে পানভোজনশালা থেকে খেয়ে দেয়ে বাড়ী ফিরে ঘুমাতো।
[justify]
।।১।।
ইচ্ছে ছিল সচলায়তনের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটা লেখা দিব। বেশ কিছু লেখা শুরুও করেছিলাম। আশা ছিল কোনো একটা লেখা জুলাই মাসের এক তারিখের আগেই শেষ করতে পারব। কিন্তু লেখালেখি যেমন অভ্যাসের ব্যাপার ঠিক তেমনি লেখালিখি না করাও একই রকম অভ্যাসের ব্যাপার। কয়েক সপ্তাহ না লিখলে মনে হয় – কি দরকার আর এতো ঝামেলার? আর আরেকটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, লিখতে বসলেই ঘাড়ে ব্যথা শুরু হয়। অন্য সময়ে কম্পিউটারের সামনে বসলে কোনো সমস্যা হয় না, শুধু সচলের জন্য লিখতে গেলেই এই সমস্যা। এই বিষয়ে কৈরি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে মনে হয়।