মূলতঃ আমি একটা আকাশের কথা বলছি
--------------------------------------------
চকচকে মেঝেতে চৌকোনা রোদ্দুর;
মূলতঃ আমি একটা আকাশের কথা বলছি
যেটা জানালাপ্রসূত,
তার পাশে বাসি সর জমা চায়ের কাপে
কিছু মৃত পিঁপড়ে;
একটু দূরে বইয়ের তাক, কিছু গোছানো বই; আর
ধুলো জমা বিষাদমনস্ক শোপিসের কলোনী;
মূলতঃ আমি তোমর জন্মদিনের কথা বলছি;
অথবা তোমর ফিরে আসার সম্ভাবনার কথা ভেবে
ক।
[justify]
বাবার সামনে দাঁড়ালেই বুক কেঁপে উঠতো কেনো জানি, যে কারণে বাবার কাছে মুখ ফুটে মনের কথা বলা কখনোই হয়নি তার, যত আবদার ছিলো মায়ের কাছে। এর অন্যথা হয়নি কোনদিন।
[justify]
[ডালাসের সচলাড্ডার উপর ভিত্তি করে একটি প্রায় সত্য রচনা...]
।।১।।
জীবনটা আসলে একটা শিক্ষাসফর। এই ব্যাপারটা যত বড় হচ্ছি ততই পরিষ্কার হচ্ছে। ছোটবেলাতে ক্লাসে শেখানোর জন্য স্যারেরা খুব মারধোর করতেন। এতে ভালো কাজ হতো। সমস্যা হয়েছে যে এরপর থেকে মারধোর ছাড়া আর কিছুই শিখতে পারি না। মারধোরের অভাবে বড় হয়ে আর নতুন কিছু শিখতে পারি নি, দিনে দিনে স্পঞ্জববের বন্ধু প্যাট্রিকের মতো হয়ে যাচ্ছি। বাচ্চা পালতে গিয়ে বুঝলাম যে শিক্ষাসফর থেকে মারধোরকে দূরে রাখতে হয়, যেটা আমাদের স্যারেরা জানতেন না। এটা বোঝার পর থেকে আমার প্রতিটি কাজকর্ম শিশুদের উপযোগী করে করতে হয়।
১. হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক ছিলেন না। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কেটেছে আমার তারুণ্যের বেশ কিছু আনন্দময় সময়। বইয়ের পাতায়, টিভি নাটকে। আমার সেই আনন্দের আত্মিক মূল্য অনেক। তাই তাঁকে যারা সাহিত্যিকের মর্যাদা দিতে কুন্ঠিত তাদের সাথে আমি কঠোর দ্বিমত পোষণ করি। আমার ধারণা হুমায়ূন আহমেদ না লিখলে বাংলাদেশের বিরাট সংখ্যক পাঠক কাশেম-বিন-আবু-বক্কর জাতীয় লেখকের পাঠক হয়ে থাকতো। বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যার এই পাঠক উত্তরণে হুমায়ূন আহমেদের অবদান কেউ খাটো করে দেখলে সেটা তার সংকীর্ণতার সমস্যা।
আমার বন্ধুভাগ্য নিয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। যাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবী করি, তারা যে শুধু খুব চমৎকার মানুষ তাই নয়, অসম্ভব নিঃস্বার্থ এবং উদারমনা, আমার সুখ দুঃখের সঙ্গী । আমার শত বিপদেও তারা বিন্দুমাত্র দূরে সরে যায় নি, প্রবল সুখেও তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি নি।
ক্লাসরুমে একবার হঠাৎ স্যার দাড় করালেন পেছনের বেঞ্চের সবাইকে।ক্লাশ নিশ্চুপ।স্যারের হুঙ্কার “কি ব্যাপার???সারাক্ষন পিছে বসে বসে কথা বল।আমি কি করলে তোমরা তোমাদের কথা রেখে আমার কথা শুনবা???”।