মাঝে মাঝে পেনসিলটা হারিয়ে যায়। এই খাতাটা উলটাই, ওই বইটা উলটাই, টেবিলের তলা, খাটের নীচ কোথাও নেই। কিন্তু একটু আগেই তো দিব্বি লিখছিলাম! নামিয়ে রেখে রাবার দিয়ে একটা ভুল বানান মুছতেই কোথায় যে গেল!
[i](ভূমিকথাঃ আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার আনোয়ার শাহাদাতের সঙ্গে আমার প্রায়ই দেখা হয় বারনস এন্ড নোবলসে। এটা ইউনিয়ন টার্নপাইকে। সেন্ট জোন্স ইউনি'র পাশ দিয়ে যেতে হয়।
ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের কোন ছবি কোন রকম পোস্ট প্রসেসিং করা হয়নাই।
পায়ের তলায় সর্ষে অলা এক পর্যটকের ভয়ে আজকাল সচলে ভ্রমণ ব্লগ দিতে কলিজা লাগে, ডুপ্লিকেট পোস্ট হয়ে যায় কিনা এই আশংকায়। অনেকদিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরে ধারণা হইল, উনার পাসপোর্টে সীল ছাপ্পরের বহর দেখে আম্রিকান সরকার নির্ঘাৎ তেনারে সন্ত্রাসী ঠাউরেছে, এখনো এই ভু-খন্ডে পা দিতে পারেন নাই। উনি পোস্ট দেবার সুযোগ পাবার আগেই তাই একখানা পোস্ট ঠুকে দেই এই বেলা ভেবে লেখার সাহস করলাম।
সাধ সাধ্যের বর্ডার লাইনে যাদের বসবাস তাদের জন্য কোন শখই সহজপাচ্য থাকে না। বইকেনা ব্যাপারটাও আমার জন্য সহজ ছিল না।
সাধারণতঃ হাইস্কুল/ইন্টার বয়স থেকে বইপত্রের রোমাঞ্চকর জগত ব্যাকুল হয়ে ডাকতে থাকে স্থায়ী আসন গাড়ার জন্য। স্থায়ী আসন মানে বই কিনে একের পর এক ভাঁজ করে বুক শেলফে সাজিয়ে রাখা। হাইস্কুল থেকে বই পড়ার নেশা চাপলেও সংগ্রহে রাখার মতো বই সাজিয়ে রাখার শখটা আমাকে তীব্রভাবে ডাক দিতে শুরু করেছিল ভার্সিটির শুরুতে যখন পরিবারের সাধ আর সাধ্যের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধটা সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। ফলে বাবা-মার হোটেলে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা সহ সব মৌলিক অধিকারের বন্দোবস্ত থাকলেও 'আউট বই' কেনার কোন বাজেট ছিল না। বই কেনার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হতো। যেভাবে দিন মজুরেরা এক দিনের আয় দিয়ে আজকের খাবারটুকু ম্যানেজ করে সেভাবে বই কেনার ব্যবস্থা হতো কয়েকদিনের রিকশা ভাড়া কিংবা বাজার খরচ থেকে বাঁচিয়ে।
একবার পিকনিকে গিয়েছিলাম ইন্ডিয়ান বর্ডারের কাছে এক জায়গায়। লোকাল এক লোক আমাদের বলল সামনের আখ-খেত পার হলেই ওপার থেকে গুলি করবে। ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি তখন, খেতের শেষ মাথায় কি আছে দেখতে নেমে পড়লাম। মাঝপথে হঠাত খুব জোরে বাঁশী বেজে উঠল, ভয়ে দৌড় দিলাম। কিভাবে যেন আমি পড়ে গেছি নালায়। এক বন্ধু টেনে তুলল। একটু দূরে দাড়িয়ে এক ফকির এইসব দেখে হাসছে, রাগ করতে পারলাম না, একটা দশ টাকার নোট ধরিয়ে দ
বুড়িগঙ্গার কালচে পানি, হকারদের অবিরত ডাক আর এঞ্জিনের বিরক্তিকর শব্দ ছাপিয়ে মিষ্টি কণ্ঠটা নাহিদের কানে অনুরনন সৃষ্টি করল।
'একটু হেল্প করবেন প্লিজ।'
চাঁদপুরগামী স্টীমার ঈগলের স্টার্ন সাইডের রেলিংএ একা একা দাঁড়িয়ে ছিল নাহিদ। বর্ষাকাল দেখে স্টীমারে স্বাভাবিকের থেকে লোকজনের সমাগম কম। খোলা আকাশ আর উন্মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শ
অনেকদিন পরে আনমনা করে দিচ্ছিল সবকিছু। তখনি এই আহবান।