মোটামুটি ভালোভাবেই রোযা প্রায় শেষ। অফিসে ঝামেলা কম। ছুটির মৌসুম তাই কলিগদের অনেকেই ছুটি কাটাচ্ছে। প্রায় মাসদুয়েক কোন মিটিং হয়নি তাই নতুন কোন প্রজেক্টে কাজ করতে হয়নি। পুরাতনগুলো ঝালাই হচ্ছে। কাজ কম এজন্য দেরী করে আসি, তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরি। ফলাফল, ঘন্টা জ্যামিতিক হারে নিম্মমুখী।
ছেলেবেলায় অন্নদাশঙ্কর রায়ের 'পথে প্রবাসে' গ্রন্থ থেকে 'পারী' পড়েছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচীতে। তখনকার তরুণ মনের চোখে সত্যিই প্রবন্ধটি মায়াপুরীর অঞ্জন এঁকে দিয়েছিল। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল 'পথে প্রবাসে' বইটি পড়ার। কিন্তু সেই দশম শ্রেনী থেকে শুরু করে দশটি বছর খুঁজেও বইটি পাইনি। তাই গতমাসে যখন ময়মনসিংহের 'আজাদ অঙ্গনে' বইটি আবিস্কার করলাম তখন আমার দশা হাতে চাঁদ পাবার মত। পাইরেট করা জেরক্স কপি
জীবনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কি? ওয়েল, এটাই মনে হয় জগতের সবচেয়ে বেশিবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। উত্তর পাওয়া সহজ নয়, যারা পেয়ে যান তাঁরা মহামানব। নিজেকে দিয়ে বলতে পারি, মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। খুব ছোটবেলায় ভাবতাম, বড় হয়ে খালি চা খাব। আরেকটু বড় হলে ভাবতাম, কেউ যদি ভুল করে একব্যাগ টাকা ফেলে যেত আর আমি কুড়িয়ে পেতাম, তাহলে অনেক সুতো কিনে মাঞ্জা দিতাম, বারবার ঘুড়ি কেটে গেলেও সুতোয় টান পড়ত না।
আসছে ঈদ। বাড়ি যাবো। চিন্তা করলেই মন ভাল হয়ে যায়। অকারনে পা মাড়িয়ে দেয়া সহকর্মীটিকেও ক্ষমা দেয়া যায় অনায়াসে। কিংবা বসের কঠোর চেহারার দিকে তাকিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় মেঘের কোলে এক চিলতে রোদের মত উঁকি দিয়েই মিলিয়ে যাওয়া হাসির ঝলক (উনিও বাড়ি যাবেন কিনা!)।
কিন্তু বাড়ি ফেরার টিকেট পাওয়া যাবে তো?
সকল আনন্দের সামনে উদ্যত ফণা তুলে আছে এই প্রশ্নরূপী কালকূট!
সতর্কীকরণ- কেবলই ছবি, লেখার কোন বালাই নেই। বিলাতফেরত এবং লন্ডনের অধিবাসীদের জন্য অবশ্য দর্শনীয় নহে!!
সে বহু বছর আগের কথা! কমাণ্ডোজ খেলার লোভে লোভে গিয়ে বসতাম তপু ভাইয়ের কম্পিউটারে! গ্রীন ব্যারেট যখন বুকে হেঁটে ছুরি মুঠোয় সন্তর্পণে উঁকি দিত নাজি ক্যাম্পের আনাচে কানাচে, তখন আমার মনটা দুপ দুপ করত, আহারে, এইতো তপু ভাই এসে পড়লেন! উঠতে হবে কম্পিউটার ছেড়ে! মেরিন' যখন দীর্ঘ ডুব সাঁতারে নিঃশব্দে নাজী সৈন্যের পেছনে গিয়ে উঠত আচমকা, তখন আমিও দম ধরে থাকতাম, আরেকটু, আরেকটু হলেই মিশন সফল হয়!