১.
ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৬১ সনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও প্রদেশের আকাশে। জনৈক বৈমানিক একটি প্রশিক্ষণ বিমান নিয়ে আকাশে উড়ছিলেন, আকাশ ছিল ঝকঝকে পরিষ্কার। আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে নানা আকারের সাদা মেঘের ভেলা। বৈমানিক সেই মেঘের মধ্য দিয়ে ভেসে যেতে যেতেই দেখতে পেলেন একটি বিষ্ময়কর দৃশ্য।
১.
আমাদের দেশে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে বর্তমানে যে গ্রেডিং সিস্টেম চালু আছে তাতে একজন ছাত্রের ফোর্থ সাবজেক্টে/ ঐচ্ছিক বিষয়ে (অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট) প্রাপ্ত গ্রেড পয়েণ্ট থেকে ২ বিয়োগ করে যা থাকে সেই পয়েণ্টটা বাকি বিষয়গুলোতে প্রাপ্ত মোট গ্রেড পয়েণ্ট গুলোর সাথে যোগ করা হয়। তারপর গড় করে, দেয়া হয় গ্রেড পয়েণ্ট এভারেজ বা জিপিএ। উদাহরণ দিয়ে বলি, তাহলে জিনিসটা বুঝতে সহজ হবে।
(১)
-"হ্যালো হলধরবাবু, আমি সমীর বলছি, মিত্র আন্ড সন্স মিউজিক গ্যালারি থেকে। আপনার জন্য একটা দারুন জিনিস জোগাড় করেছি"
-"হ্যাঁ হ্যাঁ ক্লাসিকালের লং প্লেয়িং, খোদ ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ সাহেবের গাওয়া।"
-আরে না না, খাঁ সাহেবের গাওয়া হলেই কি জনপ্রিয় হতে হবে? আপনাকে তো আগেও খাঁ সাহেবের গাওয়া কয়েকটা লং প্লেয়িং দিয়েছি, কলকাতায় কজন সে সব রাগ শুনেছে হাতে গুনে বলতে পারবেন।"
শীতের শুরু হয়ে গেল আমার জন্য সেপ্টেম্বরেই। পুরানো সব জ্যাকেট-পুলওভার পড়ে কাজে যাই আসি। কিনি কিনি করে করে আর একটা জ্যাকেট কেনা হয় না। আসলে জার্মান জানি না বলে; যেখানে জার্মান বলতে হবে সেই পথে খুব একটা যাই না। এমন কী চুল কাটাতে পর্যন্ত নাপিতের কাছে যাই না। এখানে দেখি নাপিতের কোন জাত-পাত নেই। ছেলে নাপিতের চেয়ে মেয়ে নাপিত বেশী। চুল বাড়ছে বাড়ুক। মুখে বলছি; পয়সা বাঁচানোর জন্য নাপিতের কাছে যাই না। আসলে স
গাছে যে অনায়াসে উঠতে পারে তার জন্য বাসের ছাদে উঠা একেবারে নস্যি । তাইতো চ্যাংড়া ছেলেটাকে আছড়ে পাছড়ে উঠতে দেখে মজিদ মিয়া না হেসে আর পারল না । ছেলেটা অবশ্য তার হাসি দেখতে পায়নি । দেখতে পেলে মজিদ মিয়ার পাশে সে বসত না । খুব সহজ হিসেব এটা । মজিদ মিয়া ছেলেটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে । গায়ে লাল রংয়ের হাফ শার্ট আর চাপা প্যান্ট। চেহারাটা ..... এবার তার দেখার মাঝে ছন্দপতন হলো । হঠাৎ শুনতে পেল ....''আমি হলাম রোমিও,লেডি কিলার রোমিও....''। বুক পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বের করল ছেলেটা । তারপর গদগদ গলায় কথা বলতে শুরু করল । মজিদ মিয়ারও খুব শখ একটা মোবাইল ফোন কেনার । ছেলেমেয়ে আর বউটার সাথে মাঝেমধ্যে একটু আধটু কথা বলতে পারবে । মেয়ে দুটো অবশ্য খুব বকবক করতে পারে । কিন্তু তার বউ কথাবার্তা বলে একবারে কম । দোকান থেকে যখন সে ফোন করে ওপাশ থেকে বউ শুধু 'হ্যালু' বলে চুপ করে থাকে । তবুও ভালো লাগে মজিদ মিয়ার । পেশায় সে রিক্সাচালক । আয় একবারে খারাপ না । তবে মাঝেমাঝেই পেটের পীড়ায় ঘরে শুয়ে থাকতে হয় । তা না হলে সংসার তার খারাপ চলতো না ।
আমার ছোটছেলেটা (বয়স ৪ মাস) ক্লাবফুটেড (এর বাংলা জানিনা)। চিকিৎসা চলছে। প্রতি শুক্রবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রীনরোডে নিয়ে যাই। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের কথা জানি না, শুক্রবারের সকালে বোধহয় রাস্তাঘাট একটু ফাঁকা থাকে। সকাল ৯টা- সোয়া ৯টার দিকে রওনা দিলে মোটামুটি ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যাই। গুলশান গোল চত্বর, সাতরাস্তা, সোনারগাঁও এর মোড় আর পান্থপথ-গ্রীনরোড মোড় ছাড়া জ্যাম পাই না সাধারনত:।
ক
একটা গোটা রাত জেগে থাকার ভারী অবসাদ আর সকালে তেল চুপচুপ পরোটা আর ভুনা গরুর মাংসের ভূরিভোজন-পরবর্তী ঝাঁঝালো ঢেকুর-এই দুইয়ের সাথে লেপ্টে রইল সকালবেলার আলস্য জড়ানো অথচ টান্ টান্ কামেচ্ছা-আমার সংক্ষিপ্ত বাস যাত্রাটা এই তিনের ঘোরে ঢুলুঢুলু কেটে যেতে পারত। কেটেছিলোও কিছুটা;বেশ আয়েশি একটা অবশতা। কিন্তু আচমকাই ছিঁড়ে গেল এই ত্রিকোন ঘোর। সামনে তাকিয়ে দেখি চলমান জেগে উঠতে থাকা শহরটাকে আগলে কে যেন বসে আছে। একটা মেয়ে। কাঁধের উপর ছড়িয়ে থাকা চুল থেকে উঠে আসছে একটা অভিজাত করপোরেট সুবাস;সদ্য স্নানের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত পানির বিন্দু চারপাশে ছড়িয়ে দিয়েছে এক আবেশী মৌতাত। বুকের অনুমোদিত উপরি অঞ্চল-অবধি নগ্ন সুন্দরীর ছবি সাঁটা সাবানের ভুরভুরে গন্ধটাও পেলাম।সব মিলিয়ে একটা ঘন জমে থাকা মাদকতা যেন। এইসব চটকে ঘুম ঘুম আমেজটা ছিঁড়ে গেলেও বাইরের বাস্তবতা ঘাড়ে চেপে বসতে পারেনি তখনো।