মোগল সম্রাটদের মধ্যে তৃতীয় আকবরেরই প্রথম হিন্দুস্তান পছন্দ হয়। পিতামহ বাবুরের মত তিনি ভারতের আদব লেহাজ কায়দা কানুন দেখে নাক সিটকে ছ্যা ছ্যা করেননি, হারানো মধ্য এশিয়ার ফেলে আসা ঘরের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলার বদলে তিনি সুগঠিত মোগল হিন্দুস্তান গড়ার দিকে মন দেন। এই করতে গিয়ে তিনি বাপদাদার পলিসি বদলে দিতে থাকেন। প্রচুর হিন্দু মন্ত্রীমিনিস্টার দরবারে আনা হল, বাবুর হুমায়ুনের আমলে যত ছিল তার প্রায় কয়েকগুণ। ধর্মীয় বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর বাতিল করা হল, রাজস্থান হাতড়ে যে সব হিন্দু বউ তিনি ধরে এনেছিলেন তাদের হারেমে নিজস্ব কোয়ার্টারে দেবদেবী পূজা করার অনুমতি মিলল। মাঝে মাঝে তিনি তাদের সাথে দিওয়ালিও উদযাপন করতেন।
পুরাতন কিছু সিরিজ শুরু করে শেষ করা হয় নি। দায়দায়িত্ব পুরোপুরি আমার আলসেমির। এখানে আমার কোনো দোষ নাই। অনেক দিন হয়ে গেছে, তাই ওগুলো নিয়ে আবার শুরু না করে এখন কি করছি তার উপরে ভাবলাম কিছু লিখি। তড়িৎ প্রকৌশল আমার কাছে অনেকটা জাদুর মতন মনে হয়। পেছনের কার্যকলাপ কিছুই আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায়না (সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে) কিন্তু শেষে গিয়ে ঠিক মতন ব্যবহার করলে লাইট বাল্ব জ্বালানো থেকে শুরু করে কম্পিউটার চালানোর মতন চমকপ্রদ সব ঘটনা ঘটানো সম্ভব।
ডিসক্লেইমার : এই লেখা একান্তই রসকষহীন এবং বোরিং হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা (এখানকার মানুষজন এবং আমার বন্ধুবান্ধবদের তুলনায়) আমার খুব বেশি একটা নেই, কাজ করার অভিজ্ঞতাও বেশ সীমিত। তবে যতটুকু শিখেছি চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব নির্ভুলভাবে তুলে ধরবার।
শিরোনামে একটু সংশোধন আছে, আসলে হবে আমৃত্যু জ্বলবো। আমাদের প্রজম্নের বেশীরভাগই ( তার আগে/ পরের ও হয়ত ) , মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মত দুটি জন্মদিন পেয়ে গেল। সত্যিকারের জন্মদিনের পাশাপাশি সার্টিফিকেট জন্মদিন, যা বেশিদিন সরকারি চাকরির বা সেশনজট পেরিয়ে বেশিবার ধরে বি.সি.এস দেবার সহায়িকা। যখন নিজের মত করে ভাবার বয়স হয়নি এসব নিয়ে, তখন মনে মনে খুশিই লাগত। আমার চালাক পিতা-মাতার এহেন পরিণামদর্শিতা (!) দেখে ভাবত