পুরাতন কিছু সিরিজ শুরু করে শেষ করা হয় নি। দায়দায়িত্ব পুরোপুরি আমার আলসেমির। এখানে আমার কোনো দোষ নাই। অনেক দিন হয়ে গেছে, তাই ওগুলো নিয়ে আবার শুরু না করে এখন কি করছি তার উপরে ভাবলাম কিছু লিখি। তড়িৎ প্রকৌশল আমার কাছে অনেকটা জাদুর মতন মনে হয়। পেছনের কার্যকলাপ কিছুই আপাতদৃষ্টিতে দেখা যায়না (সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে) কিন্তু শেষে গিয়ে ঠিক মতন ব্যবহার করলে লাইট বাল্ব জ্বালানো থেকে শুরু করে কম্পিউটার চালানোর মতন চমকপ্রদ সব ঘটনা ঘটানো সম্ভব।
ডিসক্লেইমার : এই লেখা একান্তই রসকষহীন এবং বোরিং হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা (এখানকার মানুষজন এবং আমার বন্ধুবান্ধবদের তুলনায়) আমার খুব বেশি একটা নেই, কাজ করার অভিজ্ঞতাও বেশ সীমিত। তবে যতটুকু শিখেছি চেষ্টা করবো যতটা সম্ভব নির্ভুলভাবে তুলে ধরবার।
শিরোনামে একটু সংশোধন আছে, আসলে হবে আমৃত্যু জ্বলবো। আমাদের প্রজম্নের বেশীরভাগই ( তার আগে/ পরের ও হয়ত ) , মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মত দুটি জন্মদিন পেয়ে গেল। সত্যিকারের জন্মদিনের পাশাপাশি সার্টিফিকেট জন্মদিন, যা বেশিদিন সরকারি চাকরির বা সেশনজট পেরিয়ে বেশিবার ধরে বি.সি.এস দেবার সহায়িকা। যখন নিজের মত করে ভাবার বয়স হয়নি এসব নিয়ে, তখন মনে মনে খুশিই লাগত। আমার চালাক পিতা-মাতার এহেন পরিণামদর্শিতা (!) দেখে ভাবত
রোজার মধ্যে ইফতারির ছবি না তুললে কেমনে কি? এই কথাটা আমি এই বৃহস্পতিবার রাতে চিন্তা করলাম। মহামতি ওডিনের পরীক্ষা শেষ। ওনার তাই সময়ের অভাব নাই। আলোচনা করে ঠিক করা হলো শুক্রবার বিকাল চারটায় আমরা চকবাজার যাবো। ইফতারি করতে নয়, ছবি তুলতে!
সাইকেল পর্ব
হঠাৎ হাওয়ার শব্দ এমনভাবে ঝাঁপিয়ে আসতে লাগল যে অয়ন ভড়কে গেল। উল্টো দিক খেকে বয়ে আসা প্রচণ্ড বাতাসে সাইকেলের প্যাডেল ঘোরানো এ মুহূর্তে বড্ডো কষ্টের কাজ হয়ে দাড়িয়েছে তার উপর যখন তখন বজ্রপাতের শব্দে কানে একদম তালা লেগে যাচ্ছে।
নির্দিষ্ট সময়ের কিছুক্ষণ আগেই সেলফোনে টুংটুং শব্দ। ক্ষুদে বার্তার আগমন। ও জানে কি আছে সেখানে। তাই আর কষ্ট করে পকেট বন্ধী বার্তা দেখার কোন আগ্রহ দেখা যায় না ওর ভেতর। দেরী না করে বাইকের চাবি ঘুরিয়ে গন্তব্য স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। অনেকদিন থেকেই অপেক্ষা করছে এই দিনটির জন্য।
রাধারমণের গান আমার খুবই প্রিয়। মাঝে মাঝে আমাকে রাধারমণের ভূতে পায়। আর ভূতে পাওয়া মানুষ কত কি করে, কত কি ভাবে। গানগুলো শুনতে শুনতে মনে কত কথা উঠে।
আটক লোকটা উদাস হাসে।
আর দারোগা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চৌধারির মেজাজটা কেবল গরম হয়।
#বাড়িতে ঢুকতে না ঢুকতেই বিকট শব্দে ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরিত হলো আগুনের ঝিলিক মেখে আর সমস্ত এলাকা অন্ধকার হয়ে চাঁদের আলোকে বরণ করে নিলো। চাঁদ তখনো পূর্ণ বিকশিত হয় নি। জ্যামিতিক অর্ধবৃত্তের মতো আকাশের গা বেয়ে ঝুলছে। এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে চাঁদটিকে এক বিষণ্ণ তরুণীর কপালের সাদা টিপের মতো লাগছে। সমস্ত অন্ধকার একটি বিন্দুতে মিলে গিয়ে তৈরী করছে অপার্থিব কোনো এক জাদুকরী দৃশ্য।
ন্যাভিস্টার একটি ট্রাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বাজারে মূলধণ সাড়ে তের বিলিয়ন, কর্মী সংখ্যা প্রায় একুশ হাজার (সুত্র)। প্রতিষ্ঠানটি গত প্রায় দশ বছর ভালোই করছিলো। কিন্তু কপালে সুখ বেশী দিন সহ্য হলো না।