ডকিন্সখুড়োর বইখানা মূলত বাচ্চাদের বিজ্ঞান-পরিচিতির জন্য লেখা; তাই সম্প্রতি বেশ হইচইয়ের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হলেও পড়ার আকাঙ্খা তেমন একটা ছিল না। কিন্তু পোলাপান যখন বইটা আমার বাড়িতে কয়দিনের জন্য রেখেই গেছে, তখন হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেললে পাপ হবে।
কিশোরদের জন্য বিজ্ঞান-পরিচিতর বইগুলো লেখকেরা যথাসম্ভব আগ্রহোদ্দীপক করেই লেখার চেষ্টা করেন। ডকিন্স কিন্তু একটা অন্য পন্থা নিয়েছেন – চিরকাল আকর্ষণীয় যে কাহিনীগুলো, সেইসব উপকথা-রূপকথা-প্রবাদকাহিনী দিয়েই শুরু করেছেন তাঁর প্রতিটা অধ্যায়।
আমি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম, বলে কি এই ছেলে!আবার বললো, হাতটা ধর ।
- না, তুই চলে যা ।
- পরে কিন্তু আফসোস করবি ।
- করবোনা ।
- হুমম, যে চোখে কাজল দেয়া ফরজ সেই চোখ আমার সর্বনাশের কারণ । থাক তুই, গেলাম ।
জীববিজ্ঞানে ভাইরাসের কর্মকাণ্ডের বড়ো ভাগের জন্যে দায়ী যেমন তার প্রাতিসাম্যিক রূপায়ব বা আকার (Shape) তেমনি আমাদের ‘মিডিয়া’ও প্রতিসাম্যের আয়নায় নিজেকে বারবার দেখে নেয়। তবে সবাই নয়; কারণ সবাই পারেন না। হঠাৎ ‘মিডিয়া’ বিষয়ে আমার আগ্রহের কারন সম্ভবত এই যে, শব্দটির সঙ্গে আমার নতুন পরিচয়। পরিচিত জনেরা কথাটি শুনে হাসেন কেননা বয়সের পাল্লায় আমি বেশ ওজনদার। যদিও সম্প্রতি সুহৃদদের নানামুখী আলোচনায় আমি একটি প্রতিযুক্তিই দিয়েছিলাম যে- আমরা সেই দলের বয়স্ক, যাদের সর্বনামে চন্দ্রবিন্দু লাগে না, অতএব এ বেলাতেও কয়েকটি শব্দ নতুন ঠেকা একেবারেই অসম্ভব নয়।
আমাদের ভাষায় শীত নিয়ে উল্লেখ যোগ্য কোন কবিতা, গান, সাহিত্য কিছু নেই। কিন্তু সময়টা ভীষণ কাব্যিক। কাপড়ের অভাবে ভাল ভাবে কখনো শীত উপভোগ করতে পারি নি। তবুও পিঠা-পুলি আর সবজীর বৈচিত্র্য আসলে শীতেই। এখানে শীত নিয়ে কাব্য করা নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার মানুষের পক্ষে কঠিন। তুষার নেই যে দেখে বোঝা যাবে শীত। বাইরে হলে ঠাণ্ডায় কান ব্যথা করে। চোখ নাক দিয়ে পানি পরে আপনা থেকেই। হাতমোজার ভেতরে হাত জমে যায় শীতে। আমাদের ম
মধ্যবিত্ত যুবক,
একটি গল্প-
রাজশাহীর বাঘা থানার গাঁওতলী গ্রামে মাত্র সকাল হয়েছে।
গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কোলাহল নেই, শিশুদের হৈ-হুল্লোড় ছুটোছুটি নেই। কারণ, দু'দিন পরে ঈদ, স্কুল বন্ধ। আসন্ন উৎসবের নির্জন প্রস্তুতির সকালে হর্ণ বাজিয়ে, ধুলো উড়িয়ে গ্রামে আসে সাদা রঙের মাইক্রোবাস।
আমার পাশের গ্রাম ঢোলসমুদ্র। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নে অবস্থিত ঢোলসমুদ্র গ্রাম। এই গ্রামের রয়েছে অসংখ্য পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। ঢোলসমুদ্র দিঘি তাদের একটি। স্থানীয় লোকজন এই দিঘিকে বড়পুকুর বলেও ডাকে। এই দিঘির নামানুসারে গ্রামের নামকরন হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।
উৎসর্গঃ যারা মমতা আর ভালোবাসা মিশ্রিত হৃদয়ের শুদ্ধতম আবেগ নিয়ে লতিফুল ইসলাম শিবলী’র কথামালাগুলো সুরবিন্যাস, যন্ত্রসঙ্গীত ও কণ্ঠের যাদুকরী সম্মোহনে ছড়িয়ে দিয়েছে শহর থেকে গ্রামে . . . আলোক বার্তা নিয়ে প্রতিটি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে।
"হারামীর বাচ্চা হারামী!!"
মেজাজটা বিলা হয়ে গেছে। সেই কখন ভাত খাইছি এখনো বিকালের নাস্তা করি নাই। বিকালের নাস্তাটা কি হবে তা অবশ্য ঠিক করা হয়নি। বিকালের নাস্তাটা সবসময়ই অনিশ্চিত থাকে। কখনো কলামুড়ি, কখনো বনরুটি- চা,কখনো কাবাব পরোটাও টুপ করে জুটে যায়।
এই রাস্তায় কেবল আমার রাজত্ব। এখানে আর কেউ আসবে না। বলা আছে, অন্য কেউ আসলে ঠ্যাং ভেঙ্গে হাতে ঝুলিয়ে দেয়া হবে। সেই কাজটা আমাকে করতে হবে না। করার লোক আছে। আমাকে শুধু আওয়াজ দিতে হবে গলা উঁচিয়ে। সাথে সাথে ব্যবস্থা হয়ে যাবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ এখানে আসতে পারবে না।
সলোমন আইল্যান্ডের স্টলের সামনে এক বিশাল দেহী রাজার ছবি রাখা, তার সামনে দাঁড়িয়ে এক সলোমন আইল্যান্ডার সেই রাজার গুণগান করে যাচ্ছে। তার বর্ণনার শেষ দিকে উচ্ছাস কমে এসে দূরবর্তী বিষাদের ছোঁয়া, সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম"। তারপর? "দেন দ্যা ইউরোপিয়ান কেইম, এন্ড মেসড এভরিথিং"। আমার সাথে অ্যামেরিকান রেড ইন্ডিয়ান কারো সাথে দেখা হয়নি কখনো, তবে আন্দাজ করতে পারি, এই বিষয়ে তাদের কী বলার থাকতে পারে।