দূরের পার্বত্য শহরে কিছুদিন কাটিয়ে এসে ঘরে ঢোকার পর মনে হল
মাঝে মাঝে দূরে থাকা ভাল, সবকিছু থেকে।
দূরে যাওয়ার মুহুর্তে মনে হয়েছিল এ নির্বাসন হবে অসহনীয়,
সেখানে বন্ধু নেই, কোন কথা নেই, পরিচিত ফুলের গন্ধ নেই,
ঘরের সামনে দিয়ে রাগ করে চলে যাওয়া চেনা বাসগুলো নেই,
আমি নির্জন কারাবাসের বন্দীর মত ছটফট করব।
অথচ ক'দিন পর টের পেয়ে যাই
দূরে না এলে বোধ হয় কখনও আমার
রোদটা একেবারে ঝলসে দিচ্ছে। এতবড় আকাশ। কিন্তু একফোঁটা ছেঁড়া খোড়া মেঘও নেই। কোথাও।
বাংলার আদি ঐতিহ্য ও সভ্যতার পন্ড্রুবর্ধন বা বরেন্দ্রভূমি এই রাজশাহী। যুগ যুগ ধরে বিশাল পদ্মার তীর ধরে পৃথিবীর কত প্রান্ত থেকে কত মানুষ এসে বসতি গড়েছে এখানে, রেখেছে স্ব স্ব ঐতিহ্যের ছাপ। রাজশাহির আনাচে কানাচে নানা উপজাতির বাস, তাদের ভিন্ন জীবন প্রণালী আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা প্রাচীন নিদর্শন তারই সাক্ষ্য বহন করে।
প্রফেসরের কাছ থেকে ব্রাজিলের সম্মেলনে যোগদানের খবরটা যেদিন পাকাপাকিভাবে পেলাম সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন, তাই সাথে একটু উত্তেজনাও কাজ করছিল। কাগজপত্র হাতে পেয়ে দেখি সম্মেলন তিনদিনের, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। “জীবনের জন্য সম্মেলন, সম্মেলনের জন্য জীবন নয়” বলে মাঝখানে কফি ব্রেক আর লাঞ্চ ব্রেক আছে। হোটেল আর সম্মেলনের বাইরে দুনিয়া দেখা বলতে তৃতীয় দি