আমার ফেইসবুক নিউজফিডে মাঝে মধ্যে Wasfia Nazreen এর বিভিন্ন পোস্ট আসে। উনি এবং নিশাত মজুমদার প্রথম দুই বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী নারী। মোটামুটি একই সময়ে তারা এভারেস্টে ওঠেন। বাংলাদেশী মেয়ে এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে আমরা বেঁচে থাকতে, কেন জানি এটা কোনদিন ভাবিনি। একবার ৫-৭ দিনের জন্য ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম কেওকারাডং এবং তাজিনডং এর দিকে। ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। বলা যায়, সেটা ছিল আমার জীবনের একমাত্র রিস্কি এ
মফস্বলের এক কলেজে শিক্ষকতা করতেন আমার বাবা। টাকা বাঁচাতে শহর ছেড়ে জীর্ণ কলেজ কোয়ার্টারে উঠে এলাম আমরা। টিলার ধারের এক গর্তমতো জায়গায় টিনের দোচালা ঘর। মাটির দেয়াল, ওপরে চুনের প্রলেপ দেয়া। মেঝে পাকা করিয়ে নিয়েছিলেন বাবা আর অন্য দু'জন অধ্যাপক মিলে। লাগোয়া তিনটি বাসায় তিনটি পরিবার। ও বাসার যুগলের একান্ত-গোপনীয় প্রেমালাম, জগতের কুৎসিতোতম চাপা-স্বরের ঝগড়া কিংবা অস্ফুটে বলা 'ধুর্', এ বাসার
একটা সময় ছিল যতক্ষণ অফিসে থাকতাম ততক্ষণ ইন্টারনেটে যুক্ত থাকতাম। মানে আমার পিসিটা সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগ প্রাপ্ত ছিল। এক যুগেরও বেশী সময় এই সুবিধা নিয়ে কাজ করেছি। অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে ইন্টারনেট ঘুরে বেড়াতাম। অগুনতি ওয়বের মধ্যে গুগল, ফোরাম, ফেসবুক, ব্লগ ইত্যাদির ভেতরই সেঁদিয়ে যেতে থাকি ক্রমশঃ। বছরের পর বছর কেটে গেল, একটা সময় এসে দেখা গেল কাজের ফাঁকে ফাঁকে আর ইন্টারনেটে ঘুরছি না। ইন্টারনেটে
দূরের পার্বত্য শহরে কিছুদিন কাটিয়ে এসে ঘরে ঢোকার পর মনে হল
মাঝে মাঝে দূরে থাকা ভাল, সবকিছু থেকে।
দূরে যাওয়ার মুহুর্তে মনে হয়েছিল এ নির্বাসন হবে অসহনীয়,
সেখানে বন্ধু নেই, কোন কথা নেই, পরিচিত ফুলের গন্ধ নেই,
ঘরের সামনে দিয়ে রাগ করে চলে যাওয়া চেনা বাসগুলো নেই,
আমি নির্জন কারাবাসের বন্দীর মত ছটফট করব।
অথচ ক'দিন পর টের পেয়ে যাই
দূরে না এলে বোধ হয় কখনও আমার
রোদটা একেবারে ঝলসে দিচ্ছে। এতবড় আকাশ। কিন্তু একফোঁটা ছেঁড়া খোড়া মেঘও নেই। কোথাও।
বাংলার আদি ঐতিহ্য ও সভ্যতার পন্ড্রুবর্ধন বা বরেন্দ্রভূমি এই রাজশাহী। যুগ যুগ ধরে বিশাল পদ্মার তীর ধরে পৃথিবীর কত প্রান্ত থেকে কত মানুষ এসে বসতি গড়েছে এখানে, রেখেছে স্ব স্ব ঐতিহ্যের ছাপ। রাজশাহির আনাচে কানাচে নানা উপজাতির বাস, তাদের ভিন্ন জীবন প্রণালী আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা প্রাচীন নিদর্শন তারই সাক্ষ্য বহন করে।
প্রফেসরের কাছ থেকে ব্রাজিলের সম্মেলনে যোগদানের খবরটা যেদিন পাকাপাকিভাবে পেলাম সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন, তাই সাথে একটু উত্তেজনাও কাজ করছিল। কাগজপত্র হাতে পেয়ে দেখি সম্মেলন তিনদিনের, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। “জীবনের জন্য সম্মেলন, সম্মেলনের জন্য জীবন নয়” বলে মাঝখানে কফি ব্রেক আর লাঞ্চ ব্রেক আছে। হোটেল আর সম্মেলনের বাইরে দুনিয়া দেখা বলতে তৃতীয় দি