আমার বন্ধু শাহনুর কখনও কবিতা লেখে নাই। তখন আমাদের কবিতা ছিল ছোট নদীর বাঁকে। মাঝে মাঝে হাঁটু জলে রবি ঠাকুর নেমে পড়তেন বৈশাখ মাসে। কিছু কবিতা তুলে আনতেন। সেগুলো পড়তাম বইয়ের পাতা থাকে।
ফেসবুকে আমি বেশ কিছু প্রগতিশীল আর মুক্তমনা তরুণকে সাবস্ক্রাইব করি। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের উক্তি এবং মন্তব্য আমাকে উদ্দীপ্ত করে। বাম ধারায় বিশ্বাসী এই যুবকদের মন্তব্যে ব্যাপক লাইক এবং শেয়ার পরে, আমি নিজেও দেই। কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে যখন তারা মাওবাদ আর কমিউনিজম সম্পর্কে পোষ্ট গুলো দেন। হতাশ হয়ে দেখি, আমাদের প্রগতিশীলদের শ্রেণী মুক্তির ধারনা এখনো কৈশোরের রোমান্টিকতার স্টেজ পার হয়নি।
[justify]
তামাবিল, জাফলং গিয়েছেন নিশ্চয়ই। লালাখাল, ভোলাগঞ্জ ও হয়তো কেউ কেউ বেড়াতে এসেছেন কিংবা রাতারগুল, পাংথুমাই, লোভাছড়া। সবমিলিয়ে এক সাথে উত্তর সিলেট। কিন্তু একটু যদি পিছনে যেতে পারি আমরা- মেঘালয় পাহাড়ের নীচের এই পুরো অঞ্চল আদতে সিলেটের অংশই ছিলোনা, অংশ ছিলোনা বৃহত্তর বাংলার কিংবা আসামের। বরং এই অঞ্চল ছিলো এক আলাদা স্বাধীন রাজ্য।
যারা জানেন তারা জানেন, যারা জানেন না তারা জেনে নিতে পারেন সিলেট শহর থেকে জাফলং এর দিকে যেতে ক্যান্টনমেন্ট পেরুনোর পর থেকেই বর্তমানের জৈন্তাপুর উপজেলা এবং তার সাথে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ এই চারউপজেলার সমগ্র এলাকা নিয়ে অতীতে এক স্বাধীন রাজ্য ছিলো। অতীত বলতে হাজার বছর আগে ও না, মাত্র ১৭৭ বছর আগে পর্যন্ত। এই সেদিন মাত্র ১৮৩৫ সালে ইংরেজ হ্যারি সাহেব ছাতকের চুনাপাথর কলকাতা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে নিয়ে যাবার প্রয়োজনে পিয়াইন নদীর দখল নিতে গিয়ে তাদের কুখ্যাত ঠকবাজিতে জৈন্তিয়া রাজ্যের দখল নেন।
অবিনাশী যে আগুনে পুড়েছে সভ্যতা
আমিতো চেয়েছি তাতে পুড়ে খাঁক হতে প্রথম,
চেয়েছি অনাবাদী সব বুকে
বুনে দিতে শেষ ফাগুনের ভালোবাসা সব
চেয়েছি নদী হয়ে বয়ে যেতে
যতসব ঊষর খরচোখে
চেয়েছি পূনর্বার ফিরে আসার আগে
চিনে যেতে কোন সে গন্তব্য আমাদের।
আমিতো ভেবেছি সূর্যমুখী সব বুকে গেঁথে নিলে
তোমার ফেরার পথে ভেসে ওঠে শিউলীর কার্পেট
ভেবেছি শেষ বিকেলের রেনুয় স্নান হলে
ধুঁয়ে যায় হৃদয়ে পালিত সহস্র বাসী পাপ,
…
[স্বীকারোক্তি : এটি একটি ছবিযুক্ত দীর্ঘ আর্কাইভ-পোস্ট। তাই অখণ্ড পোস্টের দীর্ঘতার জন্য পাঠক উদাস হয়ে গেলে লেখককে দায়ী করা চলবে না। হা হা হা !]
[বিশ্রামরত সিংহ। ছবিসূত্র]
আমার অনেকগুলো বন্ধু আছে যাদের বয়স ধরতে পারেন ১০-এর নিচে। বন্ধু হিসেবে ওরা অত্যন্ত চমৎকার, কিন্তু সমস্যা হয় বন্ধুত্ব শুরু করা নিয়ে। লাজিমার কথাই যদি বলি- তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়েছে অনেক কষ্টে। তখন তার বয়স মাত্র চার। উত্তরার একটি রেস্টুরেন্টে বসে কথা বলতে বলতে তাকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দেয়ার পর সে কিছুক্ষণ চিন্তা করে উত্তর দিল- “তুমি আমাকে রাতে ফোন দিও। আমি তখন জানাবো”। রাতে তার মার মোবাইলে ফোন দেয়ার পর বললো, “উফ্, আমি তো এটা এখনো ভাবি নি। তুমি আমাকে কালকে ফোন দিও”। কী আর করা! পরেরদিন সকালে ফোন দেয়ার পর সে আরেকটু চিন্তা করে বললো, “ঠিক আছে, তুমি যখন বলছ, তখন আর কী করা!” সেই থেকে লাজিমা আর আমি বন্ধু। বন্ধুত্বের খাতিরে আমি তাকে মাঝেমাঝে ফোন করলেও তার দায়িত্ব শুধু ফোনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সেই তখন থেকেই সে মাঝেমধ্যে কার্ড পাঠায়। ফেসবুকেও যোগাযোগ আছে তার সাথে। আমার ফেসবুক প্রোফাইলে একজনই আছে আত্মীয় হিসেবে- সে আমার ভাগনী- লাজিমা।
তটভূমির কাছে মাথা নত করে বলতে চাইছি
সূর্যদেবের জ্বলন্ত চোখের দিকে এখনো তাকাতে পারিনি আমি
এমনকি স্বচ্ছ স্রোতের কাছেও রেখে যেতে পারি্নি স্পষ্ট কোনো রাত-আয়না
ভৌগলিক সীমারেখার অবলুপ্তি প্রার্থনা করি আজ
আমাকে আমার ইচ্ছের উষ্ণতায় বিনা-বাঁধায় যেতে দেয়া হোক
আর অস্থির অগ্নিপিন্ডের সাথে দৃষ্টি-বিনিময়ে আগ্রহী নই
স্মৃতিপ্রণালীর নিরাপদ রেখায় নিরপরাধ ঢেউ যেন
নিয়ে না আসে যজ্ঞের কাঠ, বাঁচবার যাদুমন্ত্র